বিবিধ ভাবনা (৩৫)
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on March 11, 2021
- Bangla Articles, সমাজ ও রাজনীতি
- 1 Comment.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
১. পাকিস্তান কেন ভেঙ্গে গেল?
পাকিস্তান ভেঁঙ্গে যাওয়ার কারণ যতটা অর্থনৈতিক বৈষম্য, তার চেয়ে অনেক বেশী নৈতিক ও চেতনার বৈষম্য। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে moral and intellectual disparity ছিল বিশাল। মানুষ পানাহার ও পোষাক-পরিচ্ছদের ভিন্নতা নিয়েও একই ভূমিতে একত্রে বসবাস করতে পারে; কিন্তু সেটি অসম্ভব হয় নৈতিক ও চেতনার ভিন্নতায়। একত্রে বসবাসের জন্য শুধু রাজনৈতিক ভূগোলটি এক হলে হয় না, চেতনার ভূগোলটিও এক হতে হয়। বাঙালী মুসলিমদের সমস্যা হলো অন্য ভাষার মুসলিমদের সাথে বসবাসের নৈতিক সামর্থ্য তাদের নাই। এর কারণ, বাংলার বুকে অন্য ভাষী মানুষের বসবাস না থাকাতে সে সামর্থ্য ও অভ্যাস তাদের গড়েই উঠেনি। তারা বাস করছে অন্য মুসলিমদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই; তাদের আপন করে নিতে পারেনি। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে পাঞ্জাবী, সিন্ধু, পাঠান ও বেলুচদের পাশাপাশি বসবাস শত শত বছর ধরে। ফলে চেতনায় তারা অনেক কসমোপলিটান ও প্যান-ইসলামিক। সে তূলনায় বাঙালীরা অতি আঞ্চলিক ও সংকীর্ণ মনের।
নিজ অভিজ্ঞতা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের সে কসমোপলিটান চেতনার কিছু উদাহরণ দেয়া যাক। লাহোরের কিং এডওয়ার্ড মেডিক্যাল কলেজ হলো পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে পুরাতন মেডিক্যাল কলেজ। সে্টি এখন বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজের ৯০% য়ের বেশী ছাত্র-ছাত্রীই পাঞ্জাবী। আমি যখন সে কলেজের ছাত্র, তখন সে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের প্রধান ছিলেন একজন বাঙালী। সংসদ নির্বাচনে সে ছাত্র সংগঠটিই বিজয়ী হতো। আরো বিস্ময়, লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় হলো সমগ্র পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরোন ও বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তারিকুর রহমান নামে বাংলাদেশের নলিতাবাড়ির এক ছাত্র। আরেক বিস্ময়: করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মহিউদ্দীন নামে নোয়াখালীর এক ছাত্র। এ বিষয়গুলো সামান্য নয়, এগুলি একটি জনগোষ্ঠির চেতনার পরিচয় দেয়। বাংলাদেশে কি এটা ভাবা যায়, কোন বিহারী বা অন্য কোন অবাঙালী ছাত্র বাংলাদেশের কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদে ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত হবে? কিন্তু পাকিস্তানে সেটি সম্ভব। অথচ এ বাঙালীরা সত্তরের দশকে স্লোগান দিত তারা নাকি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি! কিন্তু সেটি কিসের বলে? শ্রেষ্ঠ হতে হলে তো মনটাও বড় হতে হয়। পাকিস্তানে এখন ১০ লাখের বেশী বাঙালীর বসবাস। অনেকের মতে ১৫ লাখ। এরা গেছে ১৯৭১’য়ের পর। একাত্তরে প্রায় ৪ লাখ বাঙালী ছিল; তারা ১৯৭৪’য়ের মধ্যেই বাংলাদেশে ফিরে গেছে। তাদের কারো হত্যা করা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে বা তাদের ঘরবাড়ী কেড়ে রাস্তায় বসানো হয়েছে তার প্রমাণ নাই। অথচ সেটি বাংলাদেশে হয়েছে বিহারীদের সাথে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৬০ জন পাঞ্জাবী। অথচ দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একজন পাঠান। পাকিস্তানে পাঠানদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ। অথচ তাঁর দল পাঞ্জাবী নওয়াজ শরীফকে হারিয়ে শুধু পাকিস্তানে নয়, পাঞ্জাব প্রদেশেও ক্ষমতাসীন। সিন্ধিদের সংখ্যা শতকরা ১৬ ভাগ। জুলফিকার আলি ভূট্টো ও তাঁর মেয়ে বেনজির ভূট্টো সিন্ধি হয়েও তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু। অথচ দেশটির শতকরা ১০ ভাগ মানুষের মাতৃ ভাষা্ও উর্দু নয়। যে পাঞ্জাবীরা শতকরা ৬০ জন, তারা কখনোই এ দাবী তুলেনি যে পাঞ্জাবীকে দেশের রাষ্ট্র ভাষা করতে হবে। বাঙালীরা কি কোনদিন সেটি মেনে নিত? পাঞ্জাবী দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছে, ক্ষুদ্র আঞ্চলিক স্বার্থকে নয়।
Moral and intellectual disparity ’র বড় কারণ, বাঙালী সেক্যুলারিস্টগণ বিশ্বটাকে দেখে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে। ফলে পৌত্তলিক ভারতের প্রতি রবীন্দ্রনাথের মত তাদেরও আনুগত্য আছে। আছে ভারত বন্দনাও। রবীন্দ্রনাথের পৌত্তলিক গান তাই বাংলাদেশীদের জাতীয় সঙ্গীত। অনেক বাঙালীরাই ভারতকে দেখে বাংলাদেশের জন্মদাতা রূপে। ভারতও তাই মনে করে। এরই প্রমাণ, ভারতের The Time of India একাত্তরে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল ম্যানেক শ’কে নিয়ে একটি বিশাল নিবন্ধ প্রকাশ। তাতে তাকে father of a nation বলে আখ্যায়ীত করেছিল। বাংলাদেশ সরকার তার প্রতিবাদ করেনি। তবে প্রতিবাদ না করার কারণও রয়েছে। মুক্তিবাহিনী একটি জেলা দূরে থাক, ভারতীয় আর্মীর অনুপ্রবেশের আগে একটি থানাও মুক্ত করতে পারিনি্। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছে ভারতী সেনাবাহিনী। অথচ আফগানিস্তানে যখন ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন সৈন্যের অবস্থান, তখনও তালেবানরা শতকরা ৬০ ভাগ ভূ-খন্ডের উপর নিজেদের দখল বজায় রেখেছে। এজন্যই বাকশালীগণ বলে, ক্বিয়ামত অবধি ভারতের ঋণ শোধ দেয়া যাবে না। কথা হলো, পিতার ঋণ কি কখনো শোধ দেয়া যায়? যে পিতা, সে তো সব সময়ের জন্যই পিতা। এজন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ বাংলাদেশের পাশে কোন শত্রু দেখে না। কারণ, পিতাকে তো শত্রু ভাবা যায় না। অপর দিকে পশ্চিম পাকিস্তানীরা বিশ্বটাকে দেখে আল্লামা ইকবালের দৃষ্টিতে। ফলে তাদের আছে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জজবা। তারা ভারতকে দেখে প্রতিদ্বন্দী শত্রু রূপে। ফলে ভারত যখন পারমানবিক বোমা বানায় তখন পাকিস্তানও বানায়। ফলে দেশটি পরিণত হয়েছে ৫৭টি মুসলিম দেশের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশে। অথচ বাংলাদেশ একটি রাইফেলও নিজে বানানোর প্রয়োজনীতা বোধ করে না। দেশটির নীচে নামার কি শেষ আছে? দক্ষিণ এশিয়ার ৩টি দেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সে দেশটি হলো নেপাল, ভূটান ও বাংলাদেশ।সে তালিকায় পাকিস্তান নাই। অথচ আওয়ামী নেতাদের দাবী, তারা পাকিস্তানের চেয়ে বেশী উন্নতি করছে।
২. মিথ্যার নাশকতা ও মিথ্যার স্রোতে ভাসা মানুষ
অধিকাংশ মানুষই চলমান স্রোতের টানে ভাসে। সে স্রোতটি সুস্পষ্ট মিথ্যার হলেও -তা নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করতে রাজী নয়। সে মিথ্যাকেই তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। হিন্দুরা মুর্তিপূজা করে, গরুকে ভগবান মনে করে, গো-মুত্র সেবন করে এবং গোবর দিয়ে ঘর পবিত্র করে –এর কারণ এই চলমান স্রোতে-ভাসা স্বভাব। ভারতের স্কুল-কলেজে এখন পড়ানো হয়, বহু হাজার বছর আগে থেকেই ভারতের মুনি-ঋষিরা আকাশে উড়তো। তারা বিমান আবিস্কার করতে জানতো। মানুষ যদি চিন্তাভাবনায় অভ্যস্থ না হয় তবে এরূপ মিথ্যার স্রোতে ভাষা থেকে সে রক্ষা পায় না; বরং সে মিথ্যার প্রচারকে পরিণত হয়। এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রিও তাকে মিথ্যাসেবী হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে না। ভারতে যারা গরুকে ভগবান বলে ও গো-মুত্র সেবন করে -তাদের সবাই যে নিরক্ষর,তা নয়। তাদের অনেকেই পিএইচডিধারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
একই রূপ মিথ্যার স্রোতে ভাসছে কোটি কোটি বাংলাদেশী। তারা মনে করে ১৯৭১ তিরিশ লাখ বাঙালী পাক সেনাবাহিনীর হাতে মারা গিয়েছিল। একথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যেমন বলে, তেমনি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও বলে। বলে দেশটির বুদ্ধিজীবীরাও। মিথ্যার সে স্রোতটি সৃষ্টি করেছিল মুজিব; মুজিব-ভক্তদের কাজ হয়েছে সে মিথ্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। গরু যেমন ভগবান রূপে হিন্দুদের মাঝে বেঁচে আছে, তেমনি ৩০ লাখের মিথ্যাও বাঙালীর মাঝে বেঁচে আছে। এ মিথ্যাসেবীরা ভাবতে রাজী নয়, ৩০ লাখ মরতে হলে সাড়ে ৭ কোটি মানুষের দেশে প্রতি ২৫ জনে একজন মারা যেতে হয়। এবং ৯ মাস যুদ্ধের প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশী মানুষকে মরতে হয়। মিথ্যা থেকে তো তারাই বাঁচে যারা চিন্তা-ভাবনা ও হিসাব-নিকাশ করতে আগ্রহী। কিন্তু মিথ্যাসেবীদের সে আগ্রহ থাকে না।
৩. জাহান্নামে নেয় চেতনার অসুস্থ্যতা
রোজহাশরের বিচার দিনে দৈহিক স্বাস্থ্যহীনতার বিচার হবে না। বিচার হবে চেতনার স্বাস্থ্যের। ইসলামী পরিভাষায় সেটিই হলো ঈমান ও আক্বিদা। নামায-রোযা আসে পরে, ঈমান-আক্বিদা আসে আগে। চেতনা তথা ধ্যান-ধারণার অসুস্থতার কারণে মানুষে জাহান্নামের আগুণে যাবে। মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তাই, চেতনাকে সুস্থ্য রাখা। এবং সবচেয়ে ঘৃন্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলো চেতনাকে অসুস্থ্য করা। অসুস্থ্য করার কাজে মিথ্যা হলো মূল হাতিয়ার; সত্যের পথ তথা জান্নাতের পথ এটি বন্ধ করে দেয়। মিথ্যাকে এজন্যই সকল পাপের মা বলা হয়। মিথ্যুকেরাই হলো সবচেয়ে বড়পাপী। গরু, সাপ, মুর্তি, ইত্যাদি ভগবান রূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মিথ্যার কারণে। কোন এক মিথ্যুক আদি কালে সে মিথ্যাকে চালু করেছিল, অন্য মিথ্যুকেরা সেটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই জাহান্নামে যাওয়ার জন্য মানব-হত্যা ও নারী ধর্ষণের প্রয়োজন পড়ে না, মিথ্যুক হওয়াই সে জন্য যথেষ্ট্। শেখ মুজিবের অপরাধ শুধু এ নয়, সে গণতন্ত্র হত্যা ও ভারতের দালালী করেছে। বরং সবচেয়ে বড় অপরাধটি হলো, সে ৩০ লাখের মিথ্যার জন্ম দিয়েছে; এবং কোটি কোটি বাঙালীকে মিথ্যুকে পরিণত করেছে। এটিই মুজিবের বড় পাপ। এবং সে পাপ নিয়ে বাঁচছে কোটি কোটি বাঙালী।
মহান আল্লাহতায়ালা লক্ষাধিক নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। সেটি মানুষকে বিজ্ঞান শেখাতে নয়; বরং সত্যসেবী করতে এবং জনগণের চেতনায় সুস্থ্যতা দিতে। চেতনা পুষ্টি পায় ওহীর জ্ঞান থেকে। জ্ঞানের বলে জ্ঞানীরা তখন স্রোতের উজানে সাঁতরায়। সে জ্ঞানদান নিশ্চিত করতেই মহান আল্লাহতায়ালা আসমানী কিতাব পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোর’আন হলো সে লক্ষ্যে সর্বশেষ কিতাব। যারা সে কোর’আনের জ্ঞান পায়, তারাই সত্যের সন্ধান পায় এবং তাদের চেতনা পায় সুস্থ্যতা। বাঙালী ফ্যাসিস্টদের অপরাধ হলো, সে কোর’আনী জ্ঞানের প্রতিষ্ঠা দিতে তারা রাজী নয়।
৪. ঈমানদারের পরিচয়
ঈমানদারের ব্যস্ততার দুটি প্রধান খাত: এক). কুর’আনী জ্ঞানের বৃদ্ধি। কারণ, জ্ঞানই চেতনায় পুষ্টি ও সুস্থ্যতা দেয় এবং আমলের ওজন বাড়ায়। এবং পথ দেখায় জান্নাতের। দুই). নেক আমল। নেক আমলে তাড়াহুড়া আসে মহান আল্লাহকে খুশি করা ও আখেরাতে সঞ্চয় বৃদ্ধির প্রেরণা থেকে। অপর দিকে বেঈমানের পরিচয় হলো: সে আগ্রহহীন কুর’আন বুঝায়। তার সর্বক্ষণের চিন্তা ও ব্যস্ততা সম্পদের বৃদ্ধিতে। সে নিজে পরিণত হয় সম্পদের পাহারাদারে।
৫. চোরডাকাতদের সমর্থণে!
কোন সভ্য মানুষই চোরডাকাতদের চুরিডাকাতিকে সমর্থণ করে না।এরূপ কাজ চোরডাকাতদের। সভ্য ও ভদ্র লোকদের এ চারিত্রিক বলটি থাকতেই হয়। অথচ সে সামর্থ্য বিলুপ্ত হয়েছে তাদের মধ্য থেকে যারা নিজেদের শিক্ষিত বলে পরিচয় দেয়। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচর সুষ্ঠ হয়েছে। এবং সমর্থণ দিচ্ছে ভোট ডাকাত হাসিনাকে। সমর্থণ দিচ্ছে নির্বাচনি কমিশনার, আদালতের বিচারকগণ, বুদ্ধিজীবী এবং সেনাপ্রধান! ডাকাত পাড়ার সংস্কৃতি কীরূপে ছেয়ে গেছে -এ হলো তার নমুনা।
৬. বিশ্বমিথ্যুক ও বিশ্বভীরু
মিথ্যার জন্য বিশ্বমিথ্যুক রূপ খেতাব পাওয়া উচিত ভোটডাকাত হাসিনার। অপর দিকে বিশ্বভীরু রূপে আখ্যায়ীত হওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের। কি বিস্ময়! দেশের ১৬ কোটি মানুষ রুখতে পারলো না ভোটডাকাতদের! শুধু তাই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছে ভোটচোরকে!
৭. চরিত্র দেখা যায়
চরিত্র দেখা যায় দুর্বলের সাথে আচরণ দেখে। সবলের সামনে অতি অসভ্য দুর্বৃত্ত ব্যক্তিও ভদ্র আচরণ করে। অথচ পা ভাংঙ্গা হাঁসকে শিশুও লাথি মারে। বাঙালীর সে চরিত্রটি অতি নগ্ন ভাবে দেখা গেছে প্রতিরক্ষাহীন বিহারী নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপর হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের ঘরবাড়ী ও ব্যবাসা-বাণিজ্য দখল করার মধ্য দিয়ে। একই কারণে দুর্বল নারীকে অতি ভীরু এবং কাপুরুষও পিটাতে পারে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ, নারী নির্যাতন ও নারী হত্যায় ভারত বিশ্বে প্রথম। ফলে দেশটি সংকটের মুখে পড়েছে অসহায় মুসলিম ও দলিত শ্রেণী। কাপুরুষেরা দুর্বলদের পেলে অতিশয় নৃশংস হয়। তেমন এক নৃশংস হিংস্রতা নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজিপি ও আর.এস.এস স্লোগান দেয়: মুসলমান কি লিয়ে দো স্থান- কবরস্থান ইয়া পাকিস্তান। অর্থ: মুসলমানদের জন্য দুই জায়গা: হয় পাকিস্তান, অথবা কবরস্থান। অথচ সে ভারতের বন্ধু হলো শেখ হাসিনা।
৮. উপেক্ষিত মুসলিম অবদান
ভারতীয় মুসলিমদের জন্য বড়ই দুর্দিন। তাদেরকে বহিরাগত ও দেশের শত্রু ভাবা হয়। অথচ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বেশী অবাদান মুসলিমদের। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে ৯২,৩৫৩ জনের নাম লেখা আছে যারা প্রাণ দিয়েছে ভারতের স্বাধীনতার জন্য। তাদের মধ্যে ৬২,৯৪৫ জন মুসলিম। অথচ নরেন্দ্র মোদির বিজিপি মুসলিমদের সে অবদানের কথা বলে না। এমন কি বলেনা ভারতীয় মিডিয়া। ১১/০৩/২০২১।
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
- সংবিধানে প্রতিটি ব্যক্তির রায়ের ইজ্জত সুনিশ্চিত করত হবে
- একাত্তর প্রসঙ্গ, কিছু আলেমের বিভ্রান্তি এবং মুসলিমের জিহাদে কবিরা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018
মাশাল্লাহ, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন তথ্য দেওয়ার জন্য।