জনগণের বিরুদ্ধে হাসিনার যুদ্ধ এবং তার যুদ্ধাপরাধের বিচার

ফিরোজ মাহবুব কামাল

হাসিনার যুদ্ধ জনগণ, ইসলাম ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে 

শেখ হাসিনার রাজনীতির অর্থই হলো বিরামহীন যুদ্ধ। বাংলাদেশের বুকে সে হলো শয়তানের প্রধানতম খলিফা। এজন্যই শয়তানের আরেক খলিফা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার এতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শয়তানের এজেন্ডাই হলো তার এজেন্ডা। এজন্যই হাসিনার যুদ্ধ যেমন ইসলামের বিরুদ্ধে, তেমনি জনগণ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে। জনগণের বিরুদ্ধের তার প্রতিটি যুদ্ধই হলো যুদ্ধ-অপরাধ। এবং যারাই এ যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা সবাই যুদ্ধাপরাধী।  সম্প্রতি হাসিনার পরিচালিত এ যুদ্ধটি অতি প্রবল ও নৃশংস রূপ নিয়েছে। এ চলমান যুদ্ধে হাসিনা বাংলাদেশের আদালতের বিচারক, প্রশাসনিক কর্মচারি, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সেনাবাহিনী এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডাদের  নিযুক্ত করেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর ডাকাতির যুদ্ধে হাসিনা দেশের আদালতকে হাতিয়ার রূপে ব্যবহার করে। আদালতের বিচারপতি আবুল খায়েরকে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে বিলুপ্ত করে। এতে হাসিনা ও তার দলের পক্ষে জনগণের ভোটের উপর বারবার ডাকাতি করা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা অতি সহজ হয়ে যায়। অপরাধটি এখানে গণতন্ত্রকে কবরে পাঠানোর এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র নির্মাণের। বাংলাদেশের আদালত এবং স্বৈরাচারি হাসিনার যৌথ অপরাধের কারণেই বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে ডাকাত-শাসিত এক অসভ্য দেশে। এদেশে জনগণ হারিয়েছে কথা বলা, লেখালেখি করা, মিটিং-মিছিল করা এবং ভোট দেয়ার অধিকার। যে কোন সভ্য দেশে সম্পদের উপর ডাকাতি করা যেমন অপরাধ, তেমনি অপরাধ হলো জনগণের অধিকারের উপর ডাকাতি করা। অথচ বিচারের নামে বিচারপতি আবুল খায়ের সেরূপ অপরাধই করেছে।

সম্প্রতি হাইকোর্টের এক রায়ে ২০১৮ সালে বিলুপ্ত করা কোটা পদ্ধতিকে পুনরায় বহাল করা হয়। এটিও ছিল আদালতের পক্ষ থেকে ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের উপর ডাকাতি। অপরাধটি এখানে সংবিধানের বিরুদ্ধেও। কারণ, সংবিধান সকল নাগরিকের সম অধিকারের কথা বলে, কিন্ত আদালত প্রতিষ্ঠা দেয় বৈষম্যের। নাগরিক বৈধ অধিকারের উপর এরূপ বৈচারিক ডাকাতির মাধ্যমে উসকে দেয়া হয় এক ছাত্র আন্দোলনের। হাইকোর্টের সে অপরাধের সাথে যোগ হয় শেখ হাসিনা নৃশংস অপরাধ । নিরস্ত্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে হাসিনা লেলিয়ে দেয় পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, RAB ও নিজ দলীয় গুন্ডাদের। তারা হত্যা করে ও আহত করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শতশত ছাত্র-ছাত্রীকে। রাজপথ রঞ্জিত হয় নিহতদের রক্তে। ‌এরূপ হত্যাকান্ডে অপরাধী যেমন শেখ হাসিনা, তেমনি দেশের আদালত, পুলিশ, বিজিবি ও তার দলীয় গুন্ডারা।

 

আন্দোলন থামানোর সুযোগ নেই

যতদিন রাস্তায় লাশ পড়ে না এবং কেউই আহত হয়না, ততদিন সুযোগ থাকে আপোষের ও আন্দোলন থামানোর। কিন্তু শত শত মানুষ যখন নিহত ও আহত হয় তখন নতুন ইস্যু এসে খাড়া হয়। তখন প্রধান দাবী হয় খুনিদের বিচারের। তখন সে বিচার না করাই আরেক বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়ায়। তখন কোটার বিলুপ্তির চেয়ে অধিক গুরুত্ব পায় খুনির শাস্তি। তাই সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে কোটার বরাদ্দকে শতকরা ৫৬ ভাগ থেকে শতকরা ৭ ভাগে নামিয়ে আনলেও আন্দোলন থামানোর নাম নিচ্ছে না। ছাত্র আন্দোলনের নেতাগণ নতুন দাবী তুলেছে। আন্দোলনের ইস্যু এখন খুনিদের আশু বিচার এবং হুকুমের আসামী হাসিনার পদত্যাগ ও শাস্তি।

হাসিনার লেলিয়ে দেয়া পুলিশ রংপুরে নিরস্ত্র আবু সাঈদকে তাক করে গুলি করে হত্যা করে। এটি ছিল ঠান্ডা মাথায় অতি নৃশংস হত্যাকান্ড। খুনের সে ছবি কোটি কোটি মানুষ দেখেছে। যে কোন সভ্য দেশে এমন নৃশংস খুনিকে ত্বরিৎ গ্রেফতার করা হয় এবং বিচারের সম্মুখীন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটি হয়নি। সভ্য দেশ হতে ভোটডাকাত শাসিত দেশের এখানেই মূল পার্থক্য। ডাকাত দলের সর্দার কখনোই নিজ দলের ডাকাত সদস্যকে তার নৃশংসতারও জন্য শাস্তি দেয় না, হাসিনাও দেয়নি। কারণ নৃশংসতা সেখানে গুণ রূপে গণ্য হয়। 

অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর হাসিনা ছাত্র-আন্দোলন থামানোর দাবী করলেও সে তার নিজের যুদ্ধ থামায়নি। বরং সে যুদ্ধে বর্বরতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যার রাতে এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। সমগ্র শাপলা চত্বরকে পরিণত করা হয় অন্ধকার পুরীতে। সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেয়া হয় ঘটনাস্থল থেকে। দিগন্ত টিভি এবং ইসলামচ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর  চলে ইচ্ছামত গণহত্যা। হত্যাকান্ডের পর পানি ঢেলে রাস্তা থেকে রক্তের দাগ গায়েব করা হয়। নিহতদে লাশ গায়েব করা হয় ঢাকা মিউনিসেপালিটির ময়লা ফেলার গাড়িতে তুলে। গণহত্যার পর দাবী করা হয়, শাপলা চত্বরে কোন গুলী চলেনি, একজনকেও হত্যা করা হয়নি। এরপর মস্করা করা হয়, হেফাজতের কর্মীরা শাপলা চত্বরে গায়ে রং মেখে শুয়ে ছিল। এই হলো হাসিনা মিথ্যাচারের নমুনা। এ ভোটডাকাত প্রায়ই দাবী করে, সে নাকি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে!  

এবারেও এ গণ-আন্দোলন থামাতে একই পলিসি নিয়েছে নৃশংস হাসিনার সরকার। সারা দেশে জারি করা হয়েছে কার্ফিউ। বাংলাদেশের সমগ্র ইতিহাসে কোন কালেই দেশ জুড়ে এরূপ কার্ফিউ জারি করা হয়নি। ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলেও নয়। গত তিন দিন যাবত বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বন্ধ করা হয়েছে ফোন যোগাযোগ, ইন্টারনেট যোগাযোগ, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার। মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবি, সেনা বাহিনী, পুলিশ ও  RAB’য়ের  হাজার হাজার সশস্ত্র ক্যাডার। চলছে হত্যা. গুম, ও নির্যাতন; কিন্তু কোন খবরই বাইরে আসার উপায় নাই।

 

এবার নিশ্চিহ্ন হবে আওয়ামী লীগ

১৯৬৯’য়ের গণ-আন্দোলনে স্বৈরাচারি আইয়ুবের পতন হয়েছিল, কিন্তু মুসলিম লীগের সদস্যরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। তাদের ঘরে আগুন দেয়া হয়নি। তেমনি ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন হলেও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বেঁচে গিয়েছিল। কারণ, প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ও  প্রেসিডেন্ট এরশাদ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন।  কিন্তু আন্দোলন থামাতে তারা সেনা বাহিনী দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি এবং গণহত্যাতেও নামেনি। তারা দেশজুড়ে দিনের পর দিন কার্ফিউ লাগায়নি। ফলে তাদের আমলে দেশ গৃহযুদ্ধ থেকে বেঁচেছিল।

কিন্তু হাসিনা নেমেছে জনগণের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত যুদ্ধে ও গণহত্যায়। এটি তো ভয়ানক গৃহযু্দ্ধের পথ। এভাবে হাসিনা নিজেকে প্রমাণ করেছে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী রূপে। ১৯৭৫’য়ের ১৫ আগস্ট মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা মারা যায়। কিন্তু সে যাত্রায় আওয়ামী লীগ বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু হাসিনা যে পথ ধরেছে তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীগণ। আওয়ামী নেতাকর্মীগণও সেটি টের পেয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কাছে এ সংকট গণ্য হয়েছে অস্তিত্বের সংকট রূপে।      

                   

শাস্তি দিতে হবে অপরাধীকে                                                   

যে কোনো সভ্য দেশে প্রতিটি অপরাধই শাস্তিযোগ্য। ‌কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়। কিন্তু বাংলাদেশে সে সভ্য নীতি চলে না।  এ দেশে যারা চুরি-ডাকাতি করে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, যারা দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ও গণহত্যায় লিপ্ত হয় -সে ক্ষমতাধর অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হয় না। তাদেরকে আইনের উর্দ্ধে রাখা হয়। তাই এ দেশে আদালতের অপরাধী বিচারকদের এবং পুলিশ বাহিনী ও সেনা বাহিনীর খুনিদের বিচার হয়না। যেন তারা ফেরেশতা; যেন কোন অপরাধই তারা করতে পারে না।

অপর দিকে হাসিনার গুরুতর অপরাধ শপথ ভঙ্গের। হাসিনা ভঙ্গ করেছে দেশের শাসনতন্ত্রের। শাসনতন্ত্র অনুযায়ী দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু হাসিনা নিজেই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, ২০১৮ সালে রাগের বশবর্তী হয়ে সে কোটা সিস্টেমকে বাতিল করেছিল। এটি হলো তার শপথ ভঙ্গের অপরাধ। এরূপ অপরাধের পর সে ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তার আরো অপরাধ, নতজানু আদালতকে দিয়ে কোটা প্রথাকে আবার বহালো করানোর। এবং ছাত্ররা যখন কোটা বিলুপ্তির দাবী নিয়ে আন্দোলন শুরু করে, তখন তাদের বিরুদ্ধে খুনী পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়। 

সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণের শর্ত হল প্রত্যেকেই আইনের অধিনে আনতে হয়। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী, আদালতের বিচারপতি, সেনাবাহিনীর অফিসার এবং পুলিশের কর্মকর্তাদেরও। অথচ অসভ্য, অভদ্র ও বর্বর দেশের আলামত হলো, এসব দেশে ক্ষমতাধর ভয়ানক অপরাধীদের আইনের উর্দ্ধে রাখা হয়। এমন দেশে আদালতের বিচারকগণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর ডাকাতির ন্যায় ভয়ানক অপরাধ করলেও তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয় না। তাই যে বিচারপতি আবুল খায়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথাকে বিলুপ্ত করে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রথাকে কবরে পাঠালো এবং ভোটডাকাতির পথ খুলে দিল  -তার সে অপরাধের শাস্তি হয়নি। এবং হাইকোর্টের যে বিচারপতি বিলুপ্ত কোটা পদ্ধতিকে আবার বহাল করলো এবং ছাত্র-আন্দোলন উসকে দিয়ে বহুশত ছাত্রের মৃত্যু ঘটালো  -তারও শাস্তি হয়নি। বাংলাদেশ যে সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং ব্যর্থ হয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় -এ হলো তার নমুনা।

 

ঘাটে এসে নৌকা ডুবানো যাবে না 

বাংলাদেশে ভোটডাকাত হাসিনা বিরোধী আন্দোলন এখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। তাই এ আন্দোলনে হেরে যাওয়াটি কোন অপশন নয়। সেটি হবে ঘাটে এসে নৌকা ডুবানোর মত অপরাধ। হাসিনার অপসারণের সাথে জড়িত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনরুত্থান। দেশটিতে সভ্য ও ভদ্র ভাবে বাঁচা একমাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন নির্মূল হবে হাসিনার এই অসভ্য ও নৃশংস শাসন। তার পূর্বে নয়। এবং তার ফ্যাসিবাদী বর্বরতাকে দাফন করার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়।

এ মুহূর্তে প্রতিটি গণতান্ত্রিক শক্তিকে একতাবদ্ধ হতে হবে। পাড়ায় ডাকাত পড়লে সবাইকে মিলে ডাকাত তাড়াতে হয়। এ সময় ঘুমানো অপরাধ। এবং বিভক্তি ও নিষ্ক্রিয়তা হারাম। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ দেশবাসীর সামনে এক অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে। সেটি হাসিনার ফ্যাসিবাদী নৃশংস শাসন থেকে মুক্তির। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের এটি এক অপূর্ব সুযোগ। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না। বুঝতে হবে এমন সুযোগ বারবার আসে না। তাই সবাইকে লড়াই’য়ে নামতে হবে। সবাইকে দুর্বৃত্তমুক্ত এক সভ্য, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে অংশ নিতেই হবে। 

সারা পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশীদের দিকে তাকিয়ে আছে এবং মহান আল্লাহ সুবহানা ওয়া তায়ালাও দেখছেন, একটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণে কিরূপ হয় আমাদের ভূমিকা। নিজের সর্বসামর্থ্যের বিনিয়োগের এটিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। বাঙালি মুসলিমের জীবনে এটি এক বিশাল পরীক্ষা। এখানে আমাদের নেক নিয়তের ও সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে হবে। হাসিনার যুদ্ধাপরাধ থামাতে হলে আমাদেরও যুদ্ধে নামতে হবে। বুঝতে হবে, অপরাধী হাসিনা ও তার দুর্বৃত্ত বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধের যুদ্ধটি কোন মামূলি যুদ্ধ নয়। এটি পবিত্র জিহাদ। ইসলামে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। তাই এ লড়াইয়ে জিহাদের খালেছ নিয়েত বাঁধতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধী হাসিনার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ময়দানে নামতে হবে। এখানে বিফল হলে বাঁচতে হবে হাসিনার অসভ্য শাসনের সীমাহীন নৃশংসতা ও কদর্যতা নিয়ে ।  ২২/০৭/২০২৪

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *