জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ: বেশি বেশি ভাবুন ও ভাবতে শিখুন

ফিরোজ মাহবুব কামাল

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের সম্প্রতি বলেছেন, জামায়াতের বর্তমান নেতাদের কেউই একাত্তরের সাথে জড়িত ছিলেন না। এ কথা বলে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, ১৯৭১’য়ে যারা অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের কেউই এখন আর জামায়াতের নেতৃত্বে নাই। মনে হচ্ছে, বিষয়টি উনার কাছে বড়ই গর্বের। তাই সেটি জনগণকে জানিয়ে দেয়াকে তিনি নিজের দায়িত্ব মনে করেছেন। এ কথা বলে তিনি কি বুঝাতে চান? এ কথা বলে কি বাঙালি সেকুলারিস্ট, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী এবং বামধারার কাপালিদের থেকে বাহবা পেতে চান? 

প্রশ্ন হলো, তারা কি তবে মাওলানা আব্দুর রহিম, অধ্যাপক গোলাম আজম, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ইউসুফ, শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ, শহীদ কামরুজ্জামান -প্রথম সারীর এসব নেতৃবৃন্দ যারা ১৯৭১’য়ের সাথে জড়িত ছিলেন তথা অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের চেয়ে উত্তম? তিনি কি বুঝাতে চান, বাঙালি মুসলিমদের স্বাধীনতা ও কল্যাণের বিষয়গুলি একাত্তরের নেতাদের চেয়ে আজকের নেতারা বেশী বুঝেন? একটু ভেবে দেখুন, আপনাদের মাথা ঠিক আছে কি?

মহান আল্লাহ তায়ালা একাত্তরের জামায়াত নেতাদেরকে হাসিনার ন্যায় ফ্যাসিস্ট ফেরাউনের হাতে শহীদ হওয়ার মর্যাদা দিয়েছেন। এটি এক বিশাল অর্জন। শত বছর পরও জামায়াতের এ বিশাল অর্জনটি মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। মানব জীবনে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে? শহীদ নেতারা সেটি পেয়ে গেছেন। জামায়াতের নেতাকর্মীদের তো তাদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। অথচ তারা আজ জামায়তের নেতৃত্বে নাই  -সেটিই যেন আজকের জামায়াত কর্মীদের নিকট অতি গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়েছে! তাই গর্বভরে জনাব তাহের বলছেন, তারা আজ আর নেতৃত্বে নাই। কি বিস্ময়! এটা কি জামায়াতের অতীত নেতাদের চেতনার সাথে গাদ্দারী নয়? এটা কি আজকের জামায়াতের আদর্শিক পরাজয় ও বিচ্যুতি নয়?

জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীগণ ১৬ই ডিসেম্বর এলেই ভারতীয় পৌত্তলিক কাফির, বাঙালি জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট ও বামধারার নাস্তিকদের থেকেও এক ধাপ এগিয়ে একাত্তরের ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়কে নিজেদের বিজয় রূপে প্রচার দিতে রাস্তায় বিশাল বিজয় মিছিল বের করে। স্লোগান তোলে “স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রাখবো।” প্রশ্ন হলো, স্বাধীনতা বলতে যদি তারা একাত্তরের পাকিস্তান ভাঙ্গা বুঝায়, তবে কি সেটি জামায়াত শিবির এনেছিল? ইতিহাস নিয়ে এ মিথ্যাচার কেন? এটুকুও তারা বুঝতে পারে না, একাত্তরের বিজয়টি ছিল ভারতের এবং ভারতসেবী বাঙালি ফ্যাসিস্ট, হিন্দুত্ববাদী পৌত্তলিক ও বামপন্থী নাস্তিকদের বিজয়। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের ন্যায এরাও সবাই ইসলামবিরোধী। তাদের উৎসব তো পাকিস্তানের ন্যায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রকে খণ্ডিত করায়। রাজার বিজয়ে যেমন তার চাকর-বাকরেরাও উৎসব করে, তেমনি একাত্তরের বিজয় নিয়ে উৎসব করে ভারতসেবী বাঙালি ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও কম্যুনিস্টরাও।

সম্প্রতি এক মিটিংয়ে সন্তোষ শর্মার মত র’য়ের এজেন্টকে মঞ্চে ডেকে এনে জামায়াত তাকে সম্মানিত করেছে। যুক্তি দেখানো হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে জামায়াত inclusive তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির প্রদর্শন করতে চায়। কথা হলো, এরূপ inclusiveness কি নবীজী (সা:)’র নীতি ছিল? তিনি তার দলে বা সেনাবাহিনীতে কাফিরদেরও কি স্থান দিয়েছিলেন? কম্যুনিস্টরাও কি inclusive? সেখানে কি পুঁজিবাদীদেএ কোন স্থান আছে? যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট তারাও কি inclusive? তাদের দলে কি ইসলামপন্থীদের কোন স্থান আছে? যারা আদর্শ নিয়ে কাজ করে তাদের পক্ষে inclusive হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তাদের রাজনীতি করতে হয় তাদের আদর্শে যারা বিশ্বাসী তাদের নিয়ে। তাই মুসলিম দল বা উম্মাহ হলো exclusive; সেখানে ইসলামে অবিশ্বাসীদের জন্য স্থান নাই। অথচ জামায়াত তাদের জলসায় র’য়ে এজেন্টকে ডেকে এনে নিজেদের inclusive রূপে জাহির করছে?      

জামায়াতের বর্তমান নেতৃবৃন্দ তাদের একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে এতো স্পর্শকাতর কেন? অথচ এটি জামায়াতের জন্য সবচেয়ে বড় পজিটিভ রাজনৈতিক এসেট হতে পারতো -বিশেষ করে ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর। কারণ এখন তো বয়ান পাল্টানোর উপযুক্ত সময়।  একাত্তরের হিন্দুত্ববাদী বয়ান তো জয়বাংলা হয়ে গেছে। অথচ মনে হচ্ছ জামায়াত একাত্তরের সে হিন্দুত্ববাদী বয়ানকেই বাঁচিয়ে রাখতে চায়।

আল্লাহ তায়ালার মুসলিম ভূমিকে খণ্ডিত করাকে হারাম করেছেন। সেরূপ হারাম কাজে অতি খুশি হয় শয়তান ও শয়তানের অনুসারীরা। কারণ, কোন মুসলিম রাষ্ট্রকে খণ্ডিত করাটি শয়তানের এজেণ্ডা। কারণ তাতে মুসলিম উম্মাহ দুর্বল হয়। তাই একাত্তরে পাকিস্তান ভাঙ্গাতে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব প্রচণ্ড শোকাহত হলেও তা নিয়ে উৎসব করেছে শয়তানপন্থী পৌত্তলিক ভারত। উৎসব করেছে ভারতসেবী বাঙালি ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও কম্যুনিস্টগণ। কারণ, মুসলিমদের দুর্বল দেখার মধ্যেই তাদের আনন্দ। বিস্ময়ের বিষয় হলো, প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তাদের এ মিছিল দেখে মনে হয় তারাও একাত্তর নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের এ বয়ানটি মেনে নিয়েছে যে, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ অবধি আমরা পূর্ব পাকিস্তানীরা পরাধীন ছিলাম? এবং স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ১৯৭১’য়ের ১৬ ডিসেম্বর। চিন্তা-চেতনার দিক দিয়ে জামায়াত-শিবিরের বর্তমান নেতারা একাত্তরের নেতাদের থেকে কতটা দূরে সরেছে -এ হলো তার নজির। 

বুঝতে হবে, ইসলাম শুধু পানাহার ও আয়-উপার্জনে হালাল-হারামের বিধান দেয়। হারাম-হালাল রয়েছে ভূ-রাজনীতিতেও। সে বিধান থেকে বিচ্যুৎ হওয়ার কোন সুযোগ নাই। সেটি হলো, কোন একটি মুসলিম দেশের ধ্বংসে ভারতের ন্যায় একটি কাফের দেশের সাথে জোট বেঁধে যুদ্ধ করাটি হারাম। সে মুসলিম দেশটি পাকিস্তান বা অন্য কোন মুসলিম দেশ হতে পারে। মুসলিম কখনোই কোন কাফির দেশকে বিজয়ী করার যুদ্ধে অংশ নিতে পারে না। সেটি হারাম। কাফিরদের বিজয়কে কখনোই সে নিজের বিজয় বলে উৎসবও করে না। ভারতীয় কাফিরদের যুদ্ধ এ কারণেই কোন মুসলিমের যুদ্ধ হতে পারে না। তাদের বিজয়ও কোন মুসলিমের বিজয় হতে পারে না। তাই ভারতের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে হারাম বলেছেন মাওলানা আতাহার আলী, মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ মাওলানা মোস্তাফা আল মাদানীসহ একাত্তরের সকল প্রখ্যাত আলেম । পাকিস্তান বাঁচানোর যুদ্ধকে তারা জিহাদ বলেছেন। যুদ্ধকালীন নয় মাসে ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকাগুলোতে আলেমদের দেয়া ফতোয়াগুলির দিকে তাকালেই সেটি জানা যাবে।

১৯৭১’য়ে ভারতের সাথে মিলে পাকিস্তান ভাঙার যুদ্ধটি করেছে ইসলামী চেতনাশূন্য বাঙালি ফ্যাসিস্ট, হিন্দুত্ববাদী পৌত্তলিক ও বামধারার দলগুলি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ‌একাত্তরের সে ভারতীয় কাফেরদের আয়োজিত যুদ্ধে যোগ দিতে কোন ইসলামী দলের নেতা-কর্মী, কোন আলেম, কোন ইমাম, কোন পীর সাহেব বা পীরভক্তরা ভারতে যায়নি। জেনে বুঝে এরূপ হারাম কাজ যারা করে তারা কখনোই মুসলিম হতে পারে না। হয় তারা কাফের, নতুবা মুনাফিক। এটি অতি মৌল বিষয়। উল্লেখ্য যে,শর্ষিণার পীর, ফুলতলীর পীর, হাফেজজী হুজুরসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব একাত্তরে অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন।

এ নিয়ে বিতর্ক নাই যে, একাত্তরে বহু লক্ষ বাঙালি ও অবাঙালি নিহত হয়েছে। এমন মানব হত্যা অতি নিন্দনীয় ও অতি ক্ষতিকর। তবে মানব হত্যার চেয়েও অধিক ক্ষতিকর হলো একটি মুসলিম দেশ খণ্ডিত হয়ে যাওয়া। সাম্প্রতিক কালে মার্কিন, ইংরেজ ও ফরাসীদের হাতে লক্ষ লক্ষ আরব মুসলিম নিহত হয়েছে। ফরাসীদের হাতে একমাত্র আলজিরিয়ার নিহত হয়েছে ১৫ লাখ মুসলিম। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনসহ আরব দেশগুলিতে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বহু লক্ষ নাগরিককে হত্যা করেছে।

কিন্তু আরবগণ এরূপ গণহত্যার জন্য দুর্বল হয়নি। তারা দুর্বল হয়েছে অখণ্ড আরব ভূখণ্ড ২২ টুকরোয় খণ্ডিত হওয়ার কারণে। সেটি আত্মঘাতী ফিতনার কারণে। এজন্যই মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারায় ২১৭ নম্বর আয়াতে ফিতনাকে মানব হ্ত্যার চেয়ে অধিকতর গুরুতর অপরাধ বলেছেন। কারণটি সুস্পষ্ট।  ফিতনা উম্মাহর মাঝে বিভক্তি আনে। এবং সে বিভক্তির পথ ধরে পরাজয় ও পরাধীনতা আসে। তখন আসে গণহত্য, ধর্ষণ ও গণনির্যাতন। বাংলাদেশে বাঙালি ফ্যাসিস্টদের হাতে সেটি অতি নৃশংস ভাবে সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ তাই ২৫ মার্চের গণহত্যার কারণে দুর্বল ও গোলাম হয়নি। বরং ভারতের হাতে স্বাধীনতা হারিয়েছে বাঙালি ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও কম্যুনিস্টদের সৃষ্ট আত্মঘাতী ফিতনার কারণে। এরা শুধু গণতন্ত্রকেই কবরে পাঠায়নি, দেশবাসীকে বার বার গণহত্যার শিকার করেছে এবং ২০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে।      

মুসলিম বিশ্ব জুড়ে ফিতনার প্রচারক হলো জাতীয়তাবাদী ও বর্ণবাদী ফ্যাসিস্ট এবং সেক্যুলারিস্ট ও নাস্তিক কম্যুনিস্টরা। এরা সবাই শয়তানের বিশ্বস্থ পক্ষ। শয়তানের এ পক্ষটিই আরবদের ২২ টুকরোয় বিভক্ত করেছে। ফলে গাজার মজলুমদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই। এরাই একাত্তরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ভেঙ্গেছে। ফলে কাশ্মীর ও রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়াবার কেউ নাই। ইসলামের শত্রুরা নিজেদের এ ভয়াবহ নাশকতাকে উৎসবে পরিণত করেছে। অথচ পাকিস্তান আজ বেঁচে থাকলে ৪৩ কোটি জনসংখ্যার তৃতীয় বৃহত্তম পারমানবিক শক্তিতে পরিণত হতো। এবং সে দেশটির সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠি রূপে বাঙালি মুসলিমগণ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার সুযোগ পেত। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের ২৩ বছরে দেশটির দুই জন রাষ্ট্রপ্রধান, তিন জন প্রধানমন্ত্রী, তিন জন স্পীকার, কয়েকজন প্রধান বিচারপতি এবং বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে পূর্ব পাকিস্তানীরা। তাই পূর্ব পাকিস্তানের লড়াইটি হওয়া উচিত ছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লড়াই, দেশভাঙ্গায় নয়। অথচ ফ্যাসিস্ট মুজিবের এজেণ্ডা ছিল গণতন্ত্রের কবর দেয়া ও ভারত সেবায়; গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় তার সামান্যতম আগ্রহ ছিল না।   

দেশে দেশে এরূপ শয়তানপন্থীরাই মুসলিমদের বিভক্ত ও শক্তিহীন করে রেখেছে। পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে শয়তানের এ পক্ষই একাত্তরে বিজয়ী হয়েছে। ইসলাম থেকে দূরে সরা এই ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও কম্যুনিস্টগণ যেহেতু হিন্দুত্ববাদী ভারতীয়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, তাদের কাছে তারা অতি প্রিয়। তাদের কাঁধে অস্ত্র রেখে ভারত ইসলামপন্থীদের কুপায়। ইসলামকে তথা মহান আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তাঁর শরিয়তী আইনকে পরাজিত রাখাই তাদের এজেণ্ডা। এরূপ ভারতসেবীদের কারণেই ১৯৭১’য়ে পাকিস্তান ভেঙ্গ বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হলেও বাঙালি মুসলিমের স্বাধীনতা মেলেনি। বরং জুটেছে ভারতের পদতলে দাসত্ব। মুজিব, এরশাদ, হাসিনা ছিল ভারতের অনুগত খলিফা। অপরদিকে নাগরিক হতে পারিনি বাংলাদেশের জনগণ, তারা প্রজাই থেকে গেছে।  

প্রশ্ন হলো, ভারতের পদতলে সমর্পিত দাসত্ব নিয়েই কি প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীগণ বিজয় উৎসব করেছে? হাসিনার শাসনামলে স্বাধীনতা লাভের বিজয় উৎসব পালন করলে কি ২০২৪’য়ের ৫ আগস্টের বিপ্লবকে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” বলা যা‌য়? একটু ভেবে দেখুন। জামায়াত-শিবিরের নেতাদের প্রতি অনুরোধ, এ বিষয়গুলি নিয়ে বেশি বেশি ভাবুন, ভাবতে শিখুন। নিজেদেরকে আদর্শিক বিচ্যুতি থেকে বাঁচান। ক্ষমতার নেশায় পাগল হবেন না। ক্ষমতার এ নেশা থেকে না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না, আপনারাও বাঁচবেন না। ২৮/০৪/২০২৫  

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *