বিবিধ ভাবনা (৪২)
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on April 12, 2021
- Bangla Articles, সমাজ ও রাজনীতি
- No Comments.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
১. আসক্তি হারাম রাজনীতিতে
মহান আল্লাহতায়ালা শুধু নামায-রোযা ও হজ্জ-যাকাতের হুকুমই দেন না। একতাবদ্ধ হওয়ার হুকুমও দেন। ঈমানদারের উপর তাঁর মহান প্রভুর প্রতিটি হুকুম মানাই বাধ্যতামূলক। সে হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হওয়া হারাম -যা অনিবার্য করে আযাব। বিদ্রোহের এ পথ শয়তানের। রাস্তায় গাড়ি চালনায় কোন একটি ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করলে দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তেমন জীবন চালনার ক্ষেত্রেও। নামায-রোযা ও হজ্জ-যাকাতের মধ্য দিয়ে পরিশুদ্ধি আসে ব্যক্তি জীবনে। কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতার নির্মাণের কাজটি একাকী হয় না। দুর্বৃত্তদের নির্মূল ও সমষ্ঠির মাঝে পরিশুদ্ধি আনার সে কাজে অপরিহার্য হলো বহু মানুষের ঐক্য। ঐক্যের সে পরিসর যতটা বাড়ে অর্থাৎ যত বেশী মানুষ একতাবদ্ধ হয় ততই বাড়ে সৃষ্টিশীল কর্মের সামর্থ্য। এজন্যই ফরজ হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
অপর দিকে শয়তান চায় কাফেরদের ঐক্য। ভারতের ১১০ কোটি হিন্দু তাই বর্ণ, ভাষা ও আঞ্চলিকতার উর্দ্ধে উঠে একতাবদ্ধ। অথচ ভারত ভেঙ্গে ১০টির বেশী বাংলাদেশ হতে পারতো। শয়তান চায়, মুসলিমদের বিভক্তি। মুসলিমগণ মেনেছে শয়তানের হুকুমকে। মহান আল্লাহতায়ালার একতার হুকুমের সাথে গাদ্দারী করে তারা টুকরো টুকরো করেছে মুসলিম ভূগোলকে। আরব ভূখন্ডকে বিভক্ত করছে বিশের বেশী টুকরোয়। বিভক্তি একাকী আসে না, সাথে আনে পরাজয় এবং গোলামীও। আরবদের বিভক্তির কারণেই তাদের ঘাড়ের উপর আজ ইসরাইল। এ গোলামী তাদের নিজ হাতের কামাই। বাঙালী মুসলিমগণ তেমনি কাফেরদের এজেন্ডা পূরণে ও তাদের অস্ত্র কাঁধে নিয়ে পাকিস্তান ভেঙ্গেছে। এ কাজটি ছিল শতভাগ হারাম। এ হারাম কাজে খুশি হয়েছে শয়তান ও ভারতীয় কাফেরগণ। এবং ক্ষতি হয়েছে মুসলিম উম্মাহর। এর পিছনে ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ -যা হলো শতভাগ হারাম। হারাম পানাহারে যেমন অকল্যাণ, তেমনি অকল্যাণ আনে হারাম মতবাদও।
ইসলাম মানুষকে ভাষা, ভূগোল, গোত্রীয় পরিচয়ের উর্দ্ধে উঠে প্যান-ইসলামীক মুসলিম হতে শেখায়। এটিই মুসলিমদের গৌরব যুগের লিগ্যাসী। আরব, ইরানী, কুর্দি, তুর্কি ইত্যাদি নানাভাষী মানুষ বিভক্তি না হয়ে একত্রে কাজ করেছে। জাতীয়তাবাদ ইসলামে অঙ্গিকারহীন, বিদ্রোহী ও বিভক্ত হতে শেখায়। সে বিদ্রোহ নিয়ে ভারতের ন্যায় কাফেরদের সাথে একাত্ম হতেও আপত্তি থাকেনা। বাঙালী মুসলিম জীবনে সেটাই দেখা গেছে একাত্তরে। সে হারাম পথে চলার ফল হলো, বাংলাদেশ আজ ভারতের অধীনত এক গোলাম রাষ্ট্র। বাঙালী মুসলিমদের ঘাড়ের উপর এখন ভারতের নওকরদের শাসন। এ থেকে কি সহজে মুক্তি আছে? এটি হলো, বাঙালী মুসলিমদের নিজ হাতের অর্জিত আযাব। অবাক করার বিষয় হলো, সে গোলামী নিয়েও মার্চ ও ডিসেম্বর এলেই উৎসব হয়। মানুষ বিভ্রান্ত হলে নিজের ভাল-মন্দ বোঝার সামর্থ্য থাকেনা। তখন গোলামীও স্বাধীনতা মনে হয়। খুনিরাও বন্ধু মনে হয়। নরেন্দ্র মোদীর ন্যায় খুনিরাও তখন সন্মানিত হয়।
মুসলিমদের বিভক্তিতে খুশি হয় কাফের শক্তি। তাই একাত্তরে বাঙালী মুসলিমরা বিজয়ের বিপুল সামগ্রী জুগিয়েছে দিল্লির শাসক মহলে। বিভক্তি মানেই দুর্বলতা ও পরাধীনতা । নামায-রোযা, হজ্জ-যাকাত ও দোয়া-দরুদ আদায় করে বিভক্তির আযাব থেকে বাঁচা যায় না। তখন বাঁচতে হয় ঘাড়ে গোলামীর জোয়াল নিয়ে। বাঙালী মুসলিমগণ সজ্ঞানে গোলামীর সে পথই বেছে নিয়েছে। তবে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতার জন্য বড় আযাবটি আখেরাতে।
২. বিজয় হারাম রাজনীতির ও ভাবনাশূণ্যতার
পানাহারের ন্যায় রাজনীতিতেও হালাল-হারাম আছে। হারাম হলো জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম ও মুসলিম দেশ ভাঙ্গার রাজনীতি। কোর’আন-হাদীস খুঁজে এ হারাম রাজনীতির পক্ষে একটি দলিলও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে একাত্তরে হারাম রাজনীতিই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। সে হারাম রাজনীতিরই ফসল হলো ভোটচোর স্বৈরাচারি হাসিনা।
মশামাছি মলমূত্রে বসে ও রোগজীবাণু ছড়ায়। এতে রোগব্যাধীর মহামারি শুরু হয়। বেঈমানেরা তেমনি মিথ্যায় বিশ্বাসী হয় এবং মিথ্যা ছড়ায়। তাতে বাড়ে নৈতিক রোগের মহামারি। একটি দেশে বেঈমানদের সংখ্যা ও তাদের বিপুল বিজয়টি বুঝা যায় মিথ্যার বাজার দেখে। বাংলাদেশে মিথ্যার বাজারটি যেমন বিশাল; তেমন বিশাল হলো মিথ্যায় বিশ্বাসীর সংখ্যা। দেশবাসী মিথ্যাকে যে কতটা বিশ্বাস করে -সেটি বুঝা যায় একাত্তরে ৩০ লাখের মৃত্যুর ন্যায় মিথ্যার বিশাল বাজার দেখে। মিথ্যার বড় নাশকতা হলো, সেটি মানুষকে চিন্তা শূণ্য করে। চিন্তাশূণ্যতার ফল হলো, গরু, সাপ, মুর্তি, ইত্যাদিও ভগবান গণ্য হয়। ফিরাউনের না্য় মানুষও তখন ভগবানে পরিণত হয়। অথচ তারা বুদ্ধিশূণ্য ছিল না; বিস্ময়কর পিরামিড তো তারাই নির্মাণ করেছিল। বিদ্যাবুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও মানুষ যেমন মিথ্যাবাদী হয়, তেমনি চিন্তাশূণ্যও হয়।
সেরূপ চিন্তাশূণ্যতার কারণেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, প্রশাসনের সচিব এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলগণও মনে করে একাত্তরে তিরিশ লাখ বাঙালী মারা গেছে। তারা ভাবতে ব্যর্থ হয়, ৯ মাসে ৩০ লাখ মারা গেলে প্রতি দিন ১১ হাজার নিহত হতে হয়। একথাও তারা ভাবে না, সাড়ে সাত কোটির (৭৫ মিলিয়ন) মাঝে ৩০ লাখ (৩ মিলিয়ন) মারা গেলে প্রতি ২৫ জনে একজনকে মারা যেতে হয়। বাঙালীল ইতিহাসে আরেক বড় মিথ্যা হলো, মুক্তিবাহিনী নাকি বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। অথচ মুক্তিবাহিনী একটি জেলা দূরে থাক একটি থানাও কি স্বাধীন করতে পেরেছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পৃথক করে বাংলাদেশ বানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিপুল সংখ্যক বাঙালী যে কতটা মিথ্যসেবী ও চিন্তাশূণ্য সেটি বুঝার জন্য কি কোন গবেষণার প্রয়োজন আছে? এমন মিথ্যসেবী ও চিন্তাশূণ্য চরিত্র নিয়ে কি কোন জনগোষ্ঠি সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্র গড়তে পারে? বাঙালীর কল্যাণ যারা চায় তাদের প্রচেষ্ঠা হওয়া উচিত এ রোগমুক্তির জন্য জিহাদে নামা। জিহাদের এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
৩. রাজাকার প্রসঙ্গ ও কিছু বেঈমানের কান্ড
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অতি স্বাভাবিক ব্যাপার হলো, রাজাকারদের গালী দেয়া। যারা ভারতের দালালী করেএমন কি তাদেরও ভারতের রাজাকার বলে গালি দেয়া হয়। যেন রাজাকার শব্দটি একটি গালির শব্দ। বিষয়টি কি যথার্থ? যারা চিন্তাশীল ও দেশপ্রেমিক – এনিয়ে তাদের চিন্তা করা উচিত। একাত্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়ের পর রাজকারদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে এবং তাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধ শেষ হলেও রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি। সে কাজটি তারাই বেশী বেশী করে যারা একাত্তরে ভারতে গিয়েছিল, ভারতের হাতে প্রতিপালিত হয়েছিল এবং ভারতের এজেন্ডা পূরণে তাদের অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিল। অপরদিকে রাজাকারগণ অস্ত্র ধরেছিল ভারত ও তার দালালদের বিরুদ্ধে। ভারত যে মুসলিমদের শত্রু এবং কখনোই বন্ধু হতে পারে না –সে সত্যটি সেদিন রাজাকারগণ যথার্থ ভাবে বুঝতে পেরেছিল। অথচ সে সত্যটি বুঝতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বাঙালী প্রফেসর,বহু রাজনীতিবিদ ও বহু প্রবীন বাঙালী বুদ্ধিজীবী।
বাংলাদেশের বুকে ভারতের আজ যে দখলদারী এবং বাঙালী মুসলিম জীবনে আজ যে গোলামী -সেটি রাজকারগণ একাত্তরেই বুঝতে পেরেছিল। অখন্ড পাকিস্তানের মধ্যে তারা বাঙালীর কল্যাণ দেখেছিল। কোন একটি মুসলিম দেশ ভাঙ্গা যে হারাম ও সে কাজে জড়িত হওয়া যে সুস্পষ্ট বেঈমানী -সেটি রাজাকারগণ মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো। মুসলিমদের আজকের দুর্গতির মূল কারণ তো বিভক্তির এ হারাম পথ। রাজাগণ সেটি বুঝতো বলেই তারা একাত্তরে ভারতে যায়নি। মুসলিম দেশ ভাংগার হারাম রাজনীতিও করেনি। তারা পরাজিত হতে পারে কিন্তু তাদের বিশ্বাসকে তো মিথ্যা বলা যায় না। এজন্য কি রাজাকারকে কি গালী দেয়া যায়? সেটি তো ইসলামের মূল বিশ্বাসের সাথে বেঈমানী। ভারতীয় কাফেরদের সেবাদাসগণ রাজাকারকে গালী দিবে, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটি কি কোন ঈমানদারের কাজ হতে পারে?
৪. ঈমান ও বেঈমানীর রূপ
ব্যক্তির ঈমানদারী ও বেঈমানী খালি চোখে দেখা যায়। ঈমান দেখা যায় ব্যক্তির চরিত্র, কর্ম, সংস্কৃতি ও রাজনীতির মধ্যে। সেটি দেখা যায়, দুর্বৃত্ত শাসকের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃনা ও লাগাতর জিহাদে। দেখা যায়, দুর্বৃত্ত নির্মূলের জিহাদে অর্থদান, শ্রমদান, রক্তদান ও বুদ্ধিবৃত্তির মধ্যে। অপর দিকে বেঈমানী দেখা যায় দুর্বৃত্ত শাসকের পক্ষে ভোট দেয়া, তাদের পক্ষে লড়া্ই করা ও তাদের রাজনীতিকে সমর্থন দেয়ার মধ্যে।
চুরিডাকাতি করাই শুধু অপরাধ নয়, অপরাধ হলো চুরিডাকাতিকে সমর্থন করাও। সামান্যতম ঈমান থাকলে কেউ কি সেটি করে? তেমনি চরম বেঈমানী ও অপরাধ হলো স্বৈরাচারকে সমর্থন করা। এরূপ বেঈমানেরা নামায-রোযা করলেও তারা বেঈমান। পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিজয়ী হলো বেঈমানেরা এবং পরাজিত হয়েছে ঈমানদারেরা।
৫. বিজয় হারাম রাজনীতির
পানাহারের ন্যায় রাজনীতিতেও হালাল-হারাম আছে। হারাম হলো জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও মুসলিম দেশ ভাঙ্গার রাজনীতি। একাত্তরে হারাম রাজনীতি প্রবল ভাবে বিজয়ী হয়েছে। হারাম রাজনীতির ফসল হলো ভোটচোর হাসিনা ও তার দুর্বৃত্তির শাসন। এবং তাতে মারা পড়েছ গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবিক অধদিকার। বাংলাদেশ চলছে সেক্যুলারজিমের রাজনীতি। দেশটির জন্মও সেক্যুলারিজমে। সেক্যুলারিজমে ব্যভিচার যেমন প্রেম, তেমনি মুসলিম দেশ ভাঙ্গার হারাম রাজনীতিও সিদ্ধ। তাই দেশটিতে কাফেরদের সাথে জোট বেঁধে পাকিস্তান ভাংঙ্গা ও ভারতের গোলামী করাও গণ্য হয় স্বাধীনতা রূপে।
৬. অভাব ঈমানদার মানুষের
বাংলাদেশে ঈমানদার মানুষের বড্ড অভাব। ঘরে আবর্জনা দেখে বলা যায়, সে ঘরে কোন সভ্য মানুষ বাস করে না। কারণ, সভ্য মানুষ কখনো আবর্জনার মাঝে বাস করে না। তেমনি দেশে দুর্বৃত্ত ভোটডাকাতের শাসন দেখে বলা যায় দেশে ঈমানদার নাই। কারণ, ঈমানদার থাকলে অবশ্যই বেঈমান তাড়াতো।
৭. অপরাধীর কান্ড
চুরি-ডাকাতি করে যে চোর বা ডাকাত মসজিদ বানায় -তাতে কি চুরি-ডাকাতির অপরাধ মাফ হয়? হাসিনা ভোটডাকাতি করেছে। ভোটডাকাতির মাধ্যমে পুরা দেশ ডাকাতি করেছে। এখন পদ্মা ব্রিজ নিয়ে নিজের কৃতিত্ব জাহির করছে। কথা হলো, পদ্মা ব্রিজ কি তার নিজের বা পিতা শেখ মুজিবের টাকার? ডাকাতির অপরাধ কি তাতে মাফ হয়? বরং হাসিনার সহচরদের দুর্বৃত্তির কারণে বিশ্ব ব্যাংক দূরে সরেছে এবং তাতে পদ্মা ব্রিজ নির্মাণের কাজ এক যুগ পিছিয়ে গেছে। সে সাথে বহুগুণ বেড়েছে নির্মাণ-খরচ। বিশ্ব ব্যাংক না হঠলে পদ্মা ব্রিজের উপর দিয়ে বহু আগে থেকেই গাড়ি চলতো।
৮. বাঙালীর ব্যর্থতা ও অর্জিত আযাব
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ থামাতে ২০ লাখ মানুষ লন্ডনে মিছিল করেছিল। অনেকে বলে, সেটি ছিল তিরিশ লাখ মানুষের মিছিল। বাংলাদেশের মানুষের উপর চলছে হাসিনার নৃশংস যুদ্ধ। ২০ লাখ মানুষ ঢাকার রাজপথে নামলে কি হাসিনা থাকতো? তখন বিনা রক্তপাতে হাসিনার পতন ঘটতো। ঢাকার লোকসংখ্যা তো লন্ডনের দ্বিগুণ। গণতন্ত্র নিয়ে সভ্য ভাবে বাঁচার একটি খরচ আছে। সে খরচ দিতে মায়ানমারের লোকেরা প্রতিদিন রক্ত দিচ্ছে। বাঙালী গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তার মূল্য দিতে তারা রাজী নয়। এখানেই বাঙালীর ব্যর্থতা।
জঙ্গলে বাঘ-ভালুকের বিরুদ্ধে মিছিল হয়না। দেশ যখন জঙ্গলে পরিণত হয় তখন ডাকাতদের বিরুদ্ধেও লড়াই হয় না। কারণ সেরূপ লড়াই নিয়ে বাঁচাটি তো সভ্য মানুষদের কাজ। যে দেশ দুর্বৃত্তিতে ৫ বার বিশ্বে প্রথম হয়, যে দেশে ভোটডাকাতি, শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা ও গুম-খুনের রাজনীত হলেও প্রতিবাদ হয়না –সে দেশে কি সভ্য সমাজ নির্মিত হয়? বরং সত্য হলো, এরূপ দেশে দুর্বৃত্তি ও স্বৈরাচার নিয়ে বাঁচাটাই সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।
দেশকে ডাকাত মুক্ত করার দায়ভার কোন দলের নয়, এ দায়ভার প্রতিটি নাগরিকের। কিন্তু নাগরিকগণ যখন সে দায়ভার পালন করে না -তখন অসভ্য সমাজের আযাব তাদেরকে ঘিরে ধরে। তখন শুধু বিরোধী নেতারাই গুম-খুন হয় না, জনগণও তখন গুম, খুন, নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়। এসবই হলো অর্জিত আযাব।
৯. ভারতের চাওয়া ও পাওয়া
বাংলাদেশে ভারত শুধু তার সেবাদাস আওয়ামী-বাকশালীদের স্বাধীনতা দেখতে চায়। জনগণ ভোটের আজাদী পেলে ভারতের দালালগণ যে নির্বাচনে পরাজিত হবে -সেটি ভারত জানে। ভারতীয়দের মনে এজন্য গণতন্ত্রভীতি। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু হলো ভারত ও তার সেবাদাস আওংয়ামী-বাকশালী গোষ্ঠি।
নিরপেক্ষ নির্বাচন কোন জটিল রকেট সায়েন্স নয়। নেপালেও সেটি সম্ভব। সেরূপ একটি নির্বাচন হচ্ছে পাশ্ববর্তী পশ্চিম বাংলাতেও। অথচ ভারত সেরূপ নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দিতে রাজী নয়। বরং বাংলাদেশে যা চায় তা হলো ভোট ডাকাতির নির্বাচন। চায়, নির্বাচনের নামে ব্যালেট ডাকাতি করে আওয়ামী বাকশালীদের বিপুল বিজয়। তেমন একটি নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে ভোটডাকাতিকে জায়েজ করতে ভারতীয় দূতাবাসগুলি ও মিডিয় বিশ্বজুড়ে প্রচারে নেমেছিল। ভারত চায়, বাংলাদেশ বেঁচে থাকুক একটি জেলখানা রূপে। জেলখানার লোকদের ভোটের অধিকার থাকে না। তেমনি ভোটাধিকার নাই বাংলাদেশীদেরও। ১২/০৪/২০২১
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের সংকটের শুরু কিরূপে?
- রাজনীতিতে কবিরা গুনাহ ও দুর্বৃত্তকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর আযাব
- আল্লাহর আনসার এবং শয়তানের আনসার
- নবীজী (সা:)’র সফল রাজনীতি এবং আজকের মুসলিমদের ব্যর্থ রাজনীতি
- মুসলিম দেশে বিজয় শয়তানের এবং পরাজয় নবীজী (সা:)’র ইসলামের
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- December 2024
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018