বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গণ: শত্রুশক্তির অধিকৃত ভূমি

ফিরোজ মাহবুব কামাল

অজ্ঞতা ইসলাম ও মুসলিমের এজেন্ডা নিয়ে

অজ্ঞতাই অনিবার্য পরাজয় ও বিপর্যয় আনে। সেটি যেমন সামরিক যুদ্ধে, তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে। মুসলিম উম্মাহর মূল যুদ্ধটি শুধু রণাঙ্গণে হয় না, সেটি হয় শিক্ষাঙ্গণে। যুদ্ধটি বুদ্ধিবৃত্তির তথা জ্ঞানের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাংলাদেশের ন্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে লড়াইয়ের সে ভূমিটি প্রচণ্ড অরক্ষিত। এর কারণ, জনগণের অজ্ঞতা। মুসলিমদের অজ্ঞতা স্রেফ বিজ্ঞানের জ্ঞানে নয়, বরং প্রচণ্ড অজ্ঞতা ইসলামের মূল এজেন্ডা, জীবনের মূল দায়ভার, কীরূপে সত্যিকার বিজয় এবং কীরূপে হিদায়েত তথা জান্নাতের পথ প্রাপ্তি -গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলি নিয়েও। এমন কি অজানা রয়ে গেছে মানব কল্যাণে ইসলাম ও মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ অবদানগুলি নিয়েও। এ অজ্ঞতার জন্ম মুর্খদের বস্তিতে নয়, বরং মুসলিম দেশগুলির স্কুল, কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। বিস্ময়ের বিষয়, মুসলিম বিশ্ব জুড়ে কয়েক লক্ষ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় সত্ত্বেও সে অজ্ঞতা দূর না হয়ে বরং দিন দিন গভীরতর হচ্ছে।

পরিতাপের বিষয় হলো, যে বিষয়গুলির উপর জ্ঞান লাভ করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর নামাজ-রোজার ন্যায় ফরজে আয়ীন, সেগুলিতে অজ্ঞতা বাঁচিয়ে রাখাই বাংলাদেশের ন্যায় সেক্যুলারিস্ট শাসিত দেশের শিক্ষানীতি। এরই ফলে নবীজী (সা:)’র যুগের ইসলাম অপরিচিত রয়ে গেছে শুধু অমুসলিমদের কাছে নয়, বরং খোদ মুসলিমদের কাছে। মুসলিম দেশগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে ইসলাম ও মুসলিম প্রসঙ্গে মিথ্যার প্রচার ও পরিচর্যা দেয়ার কাজে। মিথ্যার জোয়ারে ইসলামের মূল শিক্ষাগুলো এতটাই বিলুপ্ত হয়েছে যে, নবীজী (সা:)’র আমলের পূর্ণাঙ্গ ইসলাম ৫০টির বেশী মুসলিম দেশের কোথাও বেঁচে নাই। একমাত্র আফগানিস্তানে এ পথে চেষ্টা হচ্ছে। মুসলিমগণ বেঁচে আছে এক বিকৃত ও অপূর্ণাঙ্গ ইসলাম নিয়ে যাতে পবিত্র কুর’আন থেকে জ্ঞানলাভ, শরিয়ত ও হুদুদের প্রতিষ্ঠা, খেলাফতের বহাল, দুর্বৃত্তির নির্মূল ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠায় জিহাদ, প্যান-ইসলামিক মুসলিম ঐক্য ও শুরা-ভিত্তিক শাসনের ন্যায় ফরজ বিধানগুলির কোন স্থান নেই। মিথ্যার স্রোতে ভাসার কারণে এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও ভূল করে ইসলামের মূল এজেন্ডা ও মানব জাতির কল্যাণে মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ অবদানগুলি বুঝতে। তাদের কাছে ইসলামের শ্রেষ্ঠ অবদান গণ্য হয় বড় জোর মুসলিম স্থাপত্য শিল্প, অংক শাস্ত্র, ভূগোল শাস্ত্র, এ্যালজ্যাবরা, জ্যামিতিক শাস্ত্র, রসায়ন বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের ন্যায় নানা শাখায় অবদান। শ্রেষ্ঠ কর্ম গণ্য হয়, তাজমহল, কর্ডোভার মসজিদ, আলহামরার ন্যায় অসংখ্য প্রাসাদ, দুর্গ ও মসজিদগুলি। অথচ ইসলামের মূল অবদানের কাছে এ অবদানগুলি অতি তুচ্ছ।

এরা বুঝতে ভূল করে, ইসলামের আগমন বিজ্ঞান শেখাতে হয়নি। বড় বড় প্রাসাদ, দুর্গ বা নগর গড়তেও নয়। এগুলি কাফির বা অমুসলিমগণও করে। ইসলাম এমন কিছু করে যা অন্যরা করে না। সেগুলি হলো: এক). একমাত্র উপাস্য রূপে মহান আল্লাহতায়ালার উপর বিশ্বাস; দুই). আল্লাহতায়ালার এজেন্ডা, তাঁর ভিশন ও তাঁর নাযিলকৃত একমাত্র সত্য দ্বীন ইসলামের সাথে মানবজাতিকে একাত্ম করা। তিন). মানবের মাঝে তাঁর স্রষ্টার পক্ষ থেকে অর্পিত খলিফার দায়িত্ব পালনে ঈমানী ও বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য সৃষ্টি করা। এজন্য কুর’আনের জ্ঞানকে ব্যাপকতর করা। চার). সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ও দুর্বৃত্তির নির্মূলের জিহাদে ব্যক্তিকে মুজাহিদে পরিণত করা। এবং বাঁচাবে শয়তানের খলিফা হওয়া থেকে। পাঁচ). জাহান্নামের পথ থেকে বাঁচিয়ে মানব সন্তানদের জান্নাতের যোগ্য রূপে গড়ে তোলা। তাদের জান্নাতমুখী সিরাতাল মুস্তাকীমের সন্ধান দেয়া। ছয়). ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জান্নাতের বাহনে পরিণত করা এবং সে রাষ্ট্রের বুকে উচ্চতর মানবিক সভ্যতার জন্ম দেয়া।

উপরুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবদান তূলনাহীন। মুসলিমগণ  যত কোটি মানুষকে জাহান্নামে আগুন থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে -তা মানব ইতিহাসের আর কোন ধর্মের মানুষই করেনি। এটিই হলো পৃথিবীপৃষ্ঠে এবং ইতিহাসে সর্বসেরা জনকল্যাণমূলক কাজ। অন্যরা বরং ধর্মের নামে অধর্ম তথা জাহান্নামে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। অন্যরা পিরামিড গড়েছে, বিশাল দেয়াল ও প্রাসাদ গড়েছে। কিন্তু মুসলিমগণই জন্ম দিয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতা। মানব-কল্যাণে অন্য কোন কর্ম বা বৈজ্ঞানিক আবিস্কার কি এর চেয়ে কল্যাণকর হতে পারে? অন্যরা যেখানে ধর্ম, দর্শন, মতবাদ, রাজনীতি, শিক্ষানীতি, যুদ্ধবিগ্রহ, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে নরনারীদের জাহান্নামের দিকে টানে, মুসলিমগণ সেখানে পথ দেখায় অনন্ত কালের জন্য জান্নাতের। 

 

মূল হাতিয়ারটি হলো শিক্ষানীতি

মানবের কল্যাণে ইসলামের মূল হাতিয়ারটি হলো তার শিক্ষা নীতি। শিক্ষানীতির মাধ্যমেই মানব সন্তানকে জান্নাতের উপযোগী করে গড় তোলে। নইলে নিশ্চিত জাহান্নামে যায়। সে শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব পায় ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়গুলি। এখানে টেক্সটবুক রূপে কাজ করে মহান আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ দান পবিত্র কুর’আন। গুরুত্ব পায় মহান নবীজী (সা:)’র সূন্নত। নবীজী (সা:)’র জীবন হলো পবিত্র কুর’আনের জীবন্ত শো’কেসিং তথা প্রদর্শনী। তাই যারা কুর’আনকে বুঝতে চায়, সে বুঝার কাজে শিক্ষা নিতে হয় নবীজী (সা:)’র জীবন থেকে। নবীজী (সা:) ছিলেন মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ইনসানে কামেল তথা পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তাঁর জীবনে শুধু নামাজ-রোজা, হজ্জ-যাকাত ও যিকর ছিল না, ছিল শরিয়ত, হুদুদ, কেসাস, জিহাদ, শুরা ও মুসলিমদের মাঝে একতার প্রতিষ্ঠার আমৃত্যু লড়াই। ছিল মুসলিমদের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি রূপে বিশ্বের অঙ্গণে প্রতিষ্ঠা দেয়ার আমৃত্যু জিহাদ। তেমন একটি মিশন নিয়ে তিনি শুধু রাসূল ছিলেন না, ১০ বছর যাবত ছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ছিলেন মদিনার মসজিদ-ভিত্তিক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষিত বিজ্ঞজন গড়ে উঠেছে তাঁর সে মাদ্রাসা থেকে –যাদের মধ্য থেকে ১০ জন পেয়েছেন মৃত্যুর পূর্বেই জান্নাতপ্রাপ্তির সুখবর। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি। ছিলেন সেনা-কমান্ডার। তিনি যেমন যুদ্ধের পরিকল্পনা করতেন, তেমনি যুদ্ধের ময়দানে সৈন্য পরিচালনায় দায়িত্ব বন্ঠন করতেন। তিনি যেমন অন্য রাষ্ট্রে দূত পাঠাতেন, তেমনি অন্যদের সাথে চুক্তিও করতেন।

মুসলিম হওয়ার অর্থ, পুরোপুরি নবীজী (সা:)’র সূন্নত অনুসরণ করে বাঁচা। যাদের জীবনে নবী-জীবনের সে সূন্নত নাই, বুঝতে হবে তারা যেমন নবীজী (সা:)কে বুঝেনি, তেমনি বুঝেনি পবিত্র কুর’আনকেও। অথচ হতে পারে তারা জীবনে সমগ্র কুর’আন বহুবার তেলাওয়াত করেছে, হয়তো পবিত্র কুর’আনের হাফেজও হয়েছে। হয়তো আলেম, মোহাদ্দেস, মোফাচ্ছের, মসজিদের ইমাম, সুফি, পীর-মাশায়েখ রূপে সমাজে তাদের প্রতিষ্ঠাও থাকতে পারে। বাংলাদেশের ন্যায় দেশগুলিতে এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা বহু লক্ষ। কিন্তু এ দেশগুলিতে ইসলামী রাষ্ট্র, শরিয়ত, হুদুদ, কেসাস, খেলাফত, মুসলিম ঐক্য ও জিহাদের ন্যায় অবশ্য পালনীয় বিধানগুলি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, পবিত্র কুর’আন ও নবীজী (সা:)’র সূন্নত বুঝা ও মেনে চলার ক্ষেত্রে তাদের জীবনে কতটা শূণ্যতা ও ব্যর্থতা রয়ে গেছে। যা বেঁচে আছে তা হলো ধর্মের নামে, ফেরকার নামে, ইসলামী দল ও আন্দোলনের নামে, পীর-মুরিদী ও বাৎসরিক ওরশের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। ধর্মের নামে ব্যবসা হলে তাতে কি আল্লাহতায়ালার সাহায্য আসে? বরং সে ব্যবসা পরাজয় ও আযাব নামিয়ে আনে –যেমনটি ঘটেছে বনি ইসরাইলীদের জীবনে।  

ইসলামের সেক্যুলারিস্ট শত্রুগণ যেমন বিভিন্ন ভাষা, গোত্র ও অঞ্চলের নামে বিভক্তির দেয়াল গড়েছে, তেমনি বিভক্তির দেয়াল গড়া হয়েছে নানা প্রকার ইসলামী দল, মাজহাব, ফেরকা ও সুফি তরিকার নামে। মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়া যে ফরজ এবং সে একতা গড়তে হলে যে বিভক্তির দেয়ালগুলি ভাঙ্গতে হয় -সে সামান্য বোধটুকুও তাদের মধ্যে নাই। বরং তাদের অনেকে ইসলামের পরিচিত শত্রুদের সাথে সুর মিলিয়ে নবীজী (সা:)’র যুগের ইসলামী রাষ্ট্র, শরিয়ত, হুদুদ, কেসাস, খেলাফত ও একতা প্রতিষ্ঠার জিহাদকে সন্ত্রাস, উগ্রবাদ বা মৌলবাদ বলে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা রুখতে তাদের অনেকে হাত মিলিয়েছে স্বৈরাচারী জালেম শাসকদের সাথে। এ থেকে বুঝা যায়, পবিত্র কুর’আন ও নবীজী’র জীবন থেকে প্রকৃত ইসলাম শেখার কাজটি হয়নি। এসবই হচ্ছে পবিত্র কুর’আনের জ্ঞানদান ও জ্ঞানার্জনে ভয়ানক ব্যর্থতার কারণে। সে ব্যর্থতাটি শুধু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানে নয়, বরং একই রূপ ব্যর্থতা বিরাজ করছে ধর্মীয় মাদ্রসাগুলোতেও।

বাস্তবতা হলো, মুসলিম দেশগুলি যখনই কোন দেশী বা বিদেশী সেক্যুলারিস্ট শক্তির হাতে অধিকৃত হয়, শিক্ষানীতিতে সেক্যুলার এজেন্ডা তখন শুধু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত থাকে না, প্রতিষ্ঠা পায় মসজিদ-মাদ্রসাতেও। তখন ধর্মের নামে বৃদ্ধি পায় ধর্ম ব্যবসা। শিক্ষার নামে তখন ভয়ানক অপরাধ ঘটে পবিত্র কুর’আন ও নবীজী(সা:)’র আদর্শের বিরুদ্ধে। তখন ছাত্রদের দৃষ্টি থেকে লুকানো হয় পবিত্র কুর’আনের শিক্ষা ও নবীজী(সা:)’র আদর্শ। শিক্ষাব্যবস্থা এভাবে ব্যবহৃত হয় ইসলামের মূল এজেন্ডা নিয়ে অজ্ঞতা বাঁচিয়ে রাখার কাজে। সেটি কুর’আন-হাদীসের জ্ঞানকে ছাত্র-ছাত্রীদের নজর থেকে লুকিয়ে রেখে। উদ্দেশ্য, ইসলামকে শুধু রাষ্ট্রের অঙ্গণে নয়, ব্যক্তি-জীবনেও পরাজিত রাখা। এভাবেই বিজয়ী করা হয় শয়তানের এজেন্ডাকে। এরই ফল হলো, মুসলিম দেশগুলিতে যতই বাড়ছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রসার সংখ্যা, ততই বাড়ছে নবীজী (সা:)’র যুগের ইসলামের উপর অজ্ঞতা। ফলে বাড়ছে সে সনাতন ইসলামের সাথে শত্রুতাও। ইসলামের পরাজয়টি তাই শুধু সরকারি প্রশাসন, রাজনীতি, সংস্কৃতি, আইন-আদালত ও সংসদের অঙ্গণে সীমিত নয়, ছেয়ে গেছে মসজিদ-মাদ্রাসা, পীরের হালকা ও তথাকথিত ইসলামী দলগুলোর দফতরেও। ফলে অসম্ভব হচ্ছে নবীজী (সা:)’র যুগের প্রতিষ্ঠার কাজে মুসলিম উম্মাহকে একতাবদ্ধ করা।   

 

শিক্ষার নামে পরিকল্পিত নাশকতা                                                                

মানব মাত্রই প্রতিটি মুহুর্ত বাঁচবে এ জীবনকে সফল করার তাড়না নিয়ে -সেটিই তো কাঙ্খিত। এ জীবনে কেই পরাজয় বা বিপর্যয় চায় না। তবে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়টি হলো অনন্ত কালের জন্য জাহন্নামের আগুনে গিয়ে পড়া। পবিত্র কুর’আনে তাই যে বিষয়টির উপর বার বার হুশিয়ারি শোনানো হয়েছে তা হলো, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা নিয়ে। যারা তা থেকে বাঁচে তারাই প্রকৃত সফলকাল। সে ঘোষণাটিও পবিত্র কুর’আনে বার বার এসেছে। জাহান্নামের সে আগুন থেকে বাঁচানোর কাজটিই হলো সবচেয়ে কল্যাণকর খাত। কাউকে কোটি টাকা দানে সে কল্যাণ নাই। ইসলাম সে কাজটি করে কুর’আনী জ্ঞানদানের মাধ্যমে। এটিই ইসলামের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশের মত একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি হলো এ জীবনে পরাজয় বাড়ানোর। সেটি জাহান্নামে নেয়ার। বাংলাদেশে সে কাজটি করছে দেশের শিক্ষাখাত। বাংলাদেশে সরকারের রাজস্বের সবচেয়ে বেশী ব্যয় এ খাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *