হাসিনার ক্ষমতায় থাকার যুদ্ধ: জনগণকে কি আত্মসমর্পণ করবে?

 ফিরোজ মাহবুব কামাল

হাসিনার হারাম যুদ্ধ এবং জনগণের বিশুদ্ধ জিহাদ

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে রাজী নয়; যে করেই হোক সে ক্ষমতায় থাকবেই। সেটিই তার জিদ। সে জিদ নিয়েই সে দেশবাসীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করেছে। তার পক্ষে যুদ্ধ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব এবং তার নেতৃত্বাধীন ১৪ টি রাজনৈতিক দল। বুঝতে হবে, হাসিনা মানেই গণতন্ত্রের শত্রু। হাসিনা মানেই ইসলামের শত্রু। হাসিনা মানে ভোটচোর ও ভোটডাকাত। হাসিনা মানেই নৃশংস ফ্যাসিস্ট ও খুনি। হাসিনা মানেই ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের পদলেহী সেবক। এবং হাসিনা মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু। বাঙলার সমগ্র ইতিহাসে হাসিনাই হলো সবচেয়ে বড় অপরাধী। তাই হাসিনার মত একজন অপরাধীর যুদ্ধ মানেই বিশুদ্ধ হারাম যুদ্ধ। যারা এ হারাম যুদ্ধে অংশ নেয় তারা সবাই ইসলামের শত্রু। এ যুদ্ধে প্রাণ গেলে নিশ্চিত জাহান্নাম মেলে। ইসলামের শত্রুদের মধ্যে যারা এ হারাম যুদ্ধে প্রাণ হারায় -কোন ঈমানদার তাদের জানাজা পড়তে পারে  না। তাদের জন্য মোনাজাতও করতে পারে। কারণ, মহান তায়ালা সেটি সুরা তাওবার ১১৩ নম্বর আয়াতে হারাম করে দিয়েছেন।    

মুসলিমের প্রতিটি খাদ্যকে যেমন হালাল হতে হয়, তেমনি প্রতিটি যুদ্ধকে বিশুদ্ধ জিহাদ হতে হয়। নইলে সে যুদ্ধ হারাম গণ্য হয়। হারাম যুদ্ধে প্রাণ গেলে নিশ্চিত জাহান্নামে যেতে হয়। অপর দিকে জিহাদে প্রাণ গেলে সাথে সাথে প্রবেশ করানো নিয়ামত ভরা জান্নাতে। তাকে কবরের আযাব, পুল সিরাত, রোজ হাশরের ষ্টে পড়তে হ না। মহা করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার  এ প্রতিশ্রুতিতে সন্দেহ করারই কুফুরি; সেটি কাফিরদের কাজ।

একটি যুদ্ধকে তো তখনই জিহাদ বলা যায় যখন সে যুদ্ধ হয় ইসলামকে বিজয়ী করার যুদ্ধ। সে যুদ্ধকে হতে হয় ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে দেশ বাঁচানোর যুদ্ধ। সে যুদ্ধকে হতে হয় দুর্বৃত্তির নির্মূলে ও ন্যায় ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। উল্লেখ্য যে, শেখ হাসিনা নিজেও তার যু্দ্ধকে কখনো জিহাদ বলে না। বরৎ জিহাদের ন্যায় ইসলামের সর্বশ্রষ্ঠ ইবাদতকে সে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বলে উপহাস করে। খুনি হাসিনার যুদ্ধ হলো ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ ক্ষমতা বাঁচানোর যুদ্ধ। তাই তার যুদ্ধের কোন বৈধতা নাই; তার যুদ্ধটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বিশুদ্ধ হারাম যুদ্ধ। এ যুদ্ধে যে মারা যাবে সে নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। প্রশ্ন হলো, যার মধ্যে শরিষার দানা পরিমান ঈমান আছে সে কি কখনো এরূপ হারাম যুদ্ধে অংশ নিতে পারে? এমন একটি অবৈধ যুদ্ধের কি সমর্থক হতে পারে? হাসিনার আরেক অপরাধ হলো, সে এ রক্তাক্ত এ যুদ্ধটি লড়ছে জনগণের অর্থে জনগণের বিরুদ্ধে।  প্রশ্ন হলো, হাসিনা যদি তার হারাম যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে, তবে দেশের ঈমানদার জনগণ কেন তাদের পবিত্র জিহাদ অব্যাহত রাখবে না? তাছাড়া এ যুদ্ধে হেরে যাওয়ার বিপদ তো ভয়াবহ। তখন বাঁচতে হবে নৃশংস পরাধীনতার আযাব নিয়ে। হারাতে হবে পূর্ণ ইসলাম পালন ও সন্তানদের মুসলিম রূপে গড়ে তোলার অধিকার। 

 

জিহাদশূণ্যতাই ঈমানশূণ্যতা

মুসলিম হওয়ার অর্থই হলো মহানআল্লাহতায়ালার সার্বক্ষণিক সৈনিক হয়ে যাওয়া। তার যুদ্ধ যেমন বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গণে, তেমনি রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গণে। ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন প্রতিটি মুসলিমই মুজাহিদ। রণাঙ্গণে নামা তখন ফরজ হয়ে যায়। এরূপ যুদ্ধাবস্থায় জিহাদশূণ্যতার অর্থই ঈমানশূন্যতা। জিহাদশূণ্যগণ মুসলিম হওয়ার দাবী করলে বুঝতে হবে তারা মুনাফিক। তারা ইসলামের মুখোশ পড়ে মাত্র। আসলে তারা ইসলাম ও মুসলিমের শত্রু।  এবং এটিও বুঝতে হবে, হাসিনার যুদ্ধটি নিছক তার একার যুদ্ধ নয়; সে চলমান এ যুদ্ধটি করছে ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকেও।

মহান আল্লাহতায়ালা তারা অতি প্রিয় বান্দাদের তথা শহীদদের জায়নামাজ থেকে তুলে নেন না; তাদেরকে তুলে নেন জিহাদের রণাঙ্গণ থেকে -সে কথাটি বলা হয়েছে সুরা আল ইমরানের ১৪০ নম্বর আয়াতে। তাই যে দেশে যুদ্ধ শুরু হয় ইসলামের শত্রুপক্ষ থেকে, বুঝতে হবে সে দেশই জিহাদের উত্তম ক্ষেত্র।‌ সেখানে নেমে আসে ত্বরিৎ জান্নাতে গমনের সিঁড়ি। তখন বুঝতে হবে, সে দেশ আল্লাহ সুবহানুতায়ালার বিশেষ নজরে আছে। বুঝতে হবে সেখান থেকে নতুন ইতিহাস নির্মিত হতে যাচ্ছে। নবীজী (সা:)’র যুগে সে নতুন ইতিহাসের কাজে মদিনা থেকে শুরু হয়েছে। অর্ধেকে বেশী সাহাবা সে ভূমিতে শহীদ হয়ে গেছেন। আগামীতেও মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইতিহাস নির্মিত হবে শহীদদের ভূমি ফিলিস্তিন থেকে, রাজা-বাদশাহদের ভূমি সৌদি আরব থেকে নয়। শহিদদের আরেক ভূমি আফগানিস্তান পাল্টে দিতে যাচ্ছে পাকিস্তানসহ মধ্যএশিয়ার ভূ-রাজনীতি।

 

নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে

এখন সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বুকে বাংলাদেশ হলো বিশুদ্ধ জিহাদের শ্রেষ্ঠতম স্থান। এখানে যুদ্ধ ইসলামের অতি নৃশংস শত্রুদের বিরুদ্ধে।  এর চেয়ে অধিক বিশুদ্ধ জিহাদ আর হতে পারে না। তাই বাঙালি মুসলিমদের জন্য এট অতি সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহতায়ালা যে দেশের মানুষদের বেশি বেশি জান্নাতে নিতে চান –সেখানে এভাবেই জিহাদের রণাঙ্গন খুলে দেন। সে ভূমিতে তিনি জান্নাতের মই নামিয়ে দেন। বাংলাদেশের গুরুত্ব তাই অপরিসীম।

বাঙালি মুসলিমগণই ১৯৪৭’য়ে উপমহাদেশের ভূ-রাজনীতি পাল্টে দিয়েছিল এবং জন্ম দিয়েছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের। সে দেশটি ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী শয়তানী শক্তি ও তাদের অনুসারী  বাঙালি কাপালিকদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচলে হতে পারতো চীন ও ভারতের পর ৪০ কোটি মানুষের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। মুসলিমদের জন্য সেটি হতো পারমানবিক শক্তিধারী civilisational state। শক্তি নিয়ে দাঁড়াতো পারতো ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও আরাকানের মুসলিমদের পাশে। তাই শয়তানের জাতীয়তাবাদী, কম্যুনিস্ট ও পৌত্তলিক খলিফাগণ তাই দেশটিকে বাঁচতে দেয়নি। উল্লেখ্য যে, হাসিনার পাশে আজ যে ১৪টি রাজনৈতিক দল জোট বেধেছে তারাই হলো পাকিস্তানবিনাশী ও ভারতসেবী একাত্তরের চেতনাধারী। ইতিহাস ভুলবে না। এদের বাঙালি মুসলিমগণ আবার জেগে উঠেছে; মনে হচ্ছে সাতচল্লিশের ন্যায় সেরূপ আরেকটি ভূমিকা তারা পালন করতে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তারা ইতিহাসে আবারো নাম লেখাতে যাচ্ছে।     

দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে, রক্তের ট্রান্সফিউশন করতে হয়। দেহ তখন নতুন শক্তি পায়। ঠিক তেমনি শহীদের রক্ত জনগণের ঈমান শূন্যতা দূর করে। তাই যে দেশে জিহাদ এবং সে জিহাদে বহু সংখ্যক মানুষ শহীদ হয় -সে দেশে মানুষের ঈমান জেগে উঠে। মহান আল্লাহতায়ালা এভাবেই মুসলিম উম্মাহর ঈমানশূণ্যতা দূর করেন।  তখন সেদেশের উপর নাযিল হয় মহান আল্লাহতায়ালার রহমত। তখন পাল্টে যায় সে দেশের ভূ-রাজনীতি। তাই নিশ্চিত বলা যায়, শহীদদের রক্ত কখনোই বৃথা যায় না।

বাঙালি মুসলিমদের ঘাড়ে এখন দায়িত্বের বিশাল বুঝা। এ বাংলাকে ঘিরেই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠি। পাঞ্জাবী, পাঠান, আফগান মুসলিদের সে জনশক্তি নাই। বাঙালি মুসলিমদের দিকে চেয়ে আছেপশ্চিম বাংলা, আসাম, বিহার, ও আরাকানের মুসলিমগণ ।  বাঙালি মুসলিমগণ জাগলে তারা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসই নয়, পাল্টে দিবে এ উপমহাদেশের ইতিহাসও। তাই বাংলাদেশ এখন এক মহবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ থাকবে না, বঙ্গীয় এ বদ্বীপে নির্মিত হবে এক নয়া বাংলাদেশ। এক ইসলামী বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠা হবে আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তাঁর আইন।  এ পৃথিবী পৃষ্ঠে এর চেয়ে বড় মহৎ কাজ আর কি হতে পারে? এতকাল এ দেশটিকে যারা শাসন করেছে, তারা ছিল ইসলামের শত্রু ও গণতন্ত্রের শত্রু। তাদের দিন দ্রুত শেষ হতে যাচ্ছে। হাসিনার দেয়াল হেলে পড়েছে, হেলে পড়া দেয়ালে শক্ত ধাক্কা দেয়ার এখনই শ্রেষ্ঠ সময।  মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে দুর্বৃত্তদের দুর্গকে। যুদ্ধের সময় ঘুমানো হারাম। সময় এখন জীবনের শ্রেষ্ঠ সমর্থের বিনিয়োগের।

 

সময় কাফ্ফারা আদায়ের

 ১৯৭৫’য়ে মুজিব নির্মূল হয়েছিল; কিন্তু আওয়ামী লীগ বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে হবে। বাঙালি মুসলিমরা অতীতে বহু ভুল করেছে। তারা মুজিবের নেয় গণতন্ত্রের শত্রু, ইসলামের শত্রু, দুর্বৃত্তির লালনকর্তা এবং ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী শক্তির পদলেহী গোলামকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিল। তার মত দুর্বৃত্ত ও বিশ্বাসঘাতকে নেতা, পিতা ও বন্ধুর আসনে বসিয়েছে। এগুলি ছিল গুরুতর নৈতিক অপরাধ। কোন সভ্য,ভদ্র ও ঈমানদার মানুষ কখনোই এরূপ অপরাধীদের নেতা, পিতা ও বন্ধু বানায় না। ফিরাউন হওয়াই শুধু অপরাধ নয়, গুরুতর অপরাধ হলো ফিরাউনকে সম্মান করা। এটি হারাম। অথচ সে অপরাধ নিয়েই নির্মিত হয়েছে একাত্তর পরবর্তী বাঙালির সংস্কৃতি। এটি গুরুতর পাপের সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতির কারণেই দেশে প্লাবন এসেছে গুম, খুন, ধর্ষণ, চুরডাকাতি, ভোটডাকাতি ও সন্ত্রাসের।  হাসিনার শাসন সে শয়তানী সংস্কৃতিরই ফসল।    

এবার বাঙালি মুসলিমে ঘরে সুযোগ এসেছে অতীত অপরাধের কাফফারা আদায়ের। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না। এ যুদ্ধে পরাজিত হলে বিশাল বিজয় ঘটবে শয়তানের। তখন শয়তানের যাঁতাকালে বহু কাল নিষ্পেষিত হবে বাঙালি মুসলিম। তখন বঙ্গীয় ভূমিতে উৎসব হবে হিন্দুত্ববাদ ও তার গোলামদের। যাদের প্রাণে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান আছে, তার কি এ সময় নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে? ছাত্রসমাজ আন্দোলনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। এখন এ আন্দোলন থেকে ফসল তোলার সময়। এ ফসল বানের জলে ভেসে যেতে দেয়া যায় না। 

প্রতিটি বাঙালি মুসলিমকে আখেরাতে মহান আল্লাহতাআলার পক্ষ থেকে এ প্রশ্নের মুখোমুখি অবশ্যই হতে হবে: বাংলাদেশে ইসলামের শত্রুগণ যখন যুদ্ধ শুরু করেছিল, তখন তোমার ভূমিকা কি ছিল? তুমি কি তখন ঘুমিয়েছিলে? না নীরব ও নিষ্ক্রিয় ছিলে? আল্লাহ তায়ালার কাছে জবাব দেওয়ার আগে এ প্রশ্নের জবাব আমাদের নিজেদেরই দেয়া উচিত।

 

বিজয় অনিবার্য

বুঝতে হবে, বাংলাদেশ কোন দলের নয়। কোন ব্যক্তিরও নয়। এ দেশ প্রতিটি নাগরিকের। তাই দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের। অন্যরা কি করলো, মহান আল্লাহতায়ালার কাছে সে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না। শত্রুর হামরার মুখে আমি নিজে কি করেছি -সে হিসাবটি অবশ্যই দিতে হবে। আমার ভূমিকা যদি শূন্য হয়; তবে প্রতিদানও শূন্য হবে। আর শূন্য প্রতিদান নিয়ে কি জান্নাত মিলবে? তখন জাহান্নামে যেতে হবে। বুঝতে হবে,প্রতিটি যুদ্ধেই মহান আল্লাহতায়ালার এজেন্ডা থাকে। সে এজেন্ডাটি হলো ইসলামবিরোধী জালেম শাসকের নির্মূল। তাই জালেম শাসক বাহিনীর হামলার সামনে নিষ্ক্রিয় ও নীরব থাকার অপরাধটি গুরুতর। অপরাধ এখানে মহান আল্লাহতায়ালার এজেন্ডার সাথে মুনাফিকির ও গাদ্দারীর।

মুসলিম কখনোই নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। তাকে প্রতি মুহুর্ত বাঁচতে হয় ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে। সে দায়িত্বটি জুলুম ও দুর্বৃত্তির বিপক্ষে এবং ন্যায় ও সুবিচারের পক্ষে‌ এক সক্রিয় সৈনিকের। নামাজের ওয়াক্ত দিনে ৫ বার; কিন্তু জালেমের বিরুদ্ধে জিহাদের ওয়াক্ত প্রতিক্ষণ। তাই মু’মিন যেমন নামাজ ছাড়তে পারে না, তেমনি সে জিহাদও ছাড়তে পারে না। ঈমানদার হওয়ার অর্থ, সে হবে সার্বক্ষণিক মুজাহিদ। তার জীবনে আত্মসমর্পণ থাকে না। বরং থাকে বিজয়ের অভিমুখে বিরামহীন যুদ্ধ। কোন ব্যক্তি নিষ্ক্রিয় ও নীরব হলে বুঝতে হবে সে মুনাফিক বা বেঈমান।

শত্রুর যুদ্ধ যেখানে বিরামহীন, সেখনে নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকা যেমন মুনাফেকি, তেমনি মুনাফিকি হলো আত্মসমর্পণ করা। ঈমানদারের সামনে তাই পথ একটাই; সেটি হলো বিরামহীন জিহাদের। এবং জিহাদের পথ মানেই বিজয়ের পথ। কারণ, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালা জিহাদকে কখনোই পরাজিত হতে দেন না। জিহাদ মানেই সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালার নিজের যুদ্ধ। আর আল্লাহতায়ালার বাহিনীকে কেউ কি পরাজিত করতে পারে? আফগানিস্তানের জিহাদ তাই ব্রিটিশ, সোভিয়েত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায় বিশ্বশক্তির হামলার মুখেও পরাজিত হয়নি।  হাসিনার সেনা বাহিনী সোভিয়েত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী নয়। এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি মুসলিমও সাড়ে তিন কোটি আফগান মুসলিমদের চেয়ে দুর্বুল নয়। ৩০/০১/২০২৪

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *