বাঙালি মুসলিমের সংকটের শুরু কিরূপে?

ফিরোজ মাহবুব কামাল

ব্যক্তির বা সমষ্টির সকল পতনের শুরুটি দর্শন, বিশ্বাস ও চেতনার অসুস্থতা থেকে। ব্যক্তির দর্শন বা চেতনাই তাকে কর্ম, আচরণ, জীবনযাপন, বুদ্ধিবৃত্তি এবং রাজনীতিতে পথ দেখায়। আরবগণ যেভাবে মানব ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্ম দিল তার মূলে কোন শিল্প বা বিজ্ঞানের বিপ্লব ছিল না, এর মূলে ছিল দর্শনের বিপ্লব। এ বিপ্লব মানুষকে ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠতর করেছিল। যে ব্যক্তি গো-মুত্র সেবন করে, মূর্তিকে ভগবান বলে, দলিতদের অচ্ছুৎ বলে এবং গরু ও লিঙ্গকে পূজা দেয় -তার অসুস্থতাটি দৈহিক নয়, সেটি দর্শনের। তাই কোন ব্যক্তিকে পাল্টাতে হলে তার দর্শনকে পাল্টাতে হয়। যে জাতির জীবনে চুরি-ডাকাতি, গুম-খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের প্লাবন এবং দুর্বৃত্তিতে বিশ্বে প্রথম হওয়ার রেকর্ড -তা দেখে নিশ্চিত বলা যায়, এমন জাতির চেতনার ভূমিটি আদৌ সুস্থ নয়। বাংলাদেশীদের মূল রোগটি এখানেই। দেহের রোগ বড়জোর মহামারী আনে, কিন্তু তাতে জাতির পতন ঘটে না। কাউকে সে রোগ জাহান্নামেও নেয় না। কিন্তু দর্শনে বিপর্যয় এলে জাতীয় জীবনে পতন আসে এবং সে পতন আখেরাতে জাহান্নামে নিয়ে হাজির করে। তাই মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে লক্ষাধিক নবী-রাসূলের আগমন ঘটেছিল দেহের রোগ সারাতে নয়, কৃষি বা শিল্প বিপ্লব আনতেও নয়। বরং তারা এসেছিলেন দর্শনের বা বিশ্বাসের রোগ সারাতে। অর্থনৈতিক বিপ্লবের কারণে কেউ জান্নাতে যাবে না, জান্নাতে যাবে তার দর্শন ও আক্বীদা-বিশ্বাসের অঙ্গণে সঠিক বিপ্লবের কারণে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, কি করে শুরু হলো বাঙালি মুসলিমের দর্শনে ও চেতনায় এতো অসুস্থতা? এরও দীর্ঘ ইতিহাস আছে। যক্ষা, কোভিড, স্ট্রোক -এ ধরণের মারাত্মক রোগগুলি আঘাত হানলে দেহের উপর আঁচড় রেখে যায়। তেমনি জাতির মন-মনন, মূল্যবোধ, চরিত্র, রাজনীতি, বুদ্ধিবৃত্তি ও সংস্কৃতির উপর আঁচড় রেখে যায় ঔপনিবেশবাদ, ফ্যাসিবাদ, বস্তুবাদ, কম্যুনিজম ও জাতীয়তাবাদ আঘাত হানলে। পরিতাপের বিষয় হলো বাঙালি মুসলিম জীবনে আঘাত হেনেছে এরূপ সবগুলি মতবাদী ব্যাধি। তবে বাংলাদেশীদের জন্য বাড়তি বিপদের কারণ, জনগণের অশিক্ষা ও অজ্ঞতা। জীবননাশী দৈহিক রোগগুলি যারা অপুষ্টির শিকার সেসব দুর্বল মানুষদের জীবন সর্বপ্রথম কেড়ে নেয়। তেমনি দুষ্ট মতবাদগুলি ভয়ানক বিপর্যয় আনে সবচেয়ে অজ্ঞ ও অশিক্ষিত জাতির জীবনে। ফলে কম্যুনিজমের নামে যেরূপ গণহত্যা, যুদ্ধ ও বিপর্যয় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সৃষ্টি করেছে সেরূপ বিপর্যয় পাশ্চাত্য বিশ্বে সৃষ্টি হয়নি। পলপর্টের কম্যুনিস্ট শাসনে ক্যাম্বোডিয়াতে ২০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় কম্যুনিজম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, কিন্তু এরূপ প্রাণনাশ কোন শিল্পোন্নত দেশে কম্যুনিজমের নামে হয়নি। অথচ কার্ল মার্কস কম্যুনিজমকে অনিবার্য মনে করতেন ইংল্যান্ড ও জার্মানীর ন্যায় সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলিতে। কার্ল মার্কসের ভবিষ্যৎ বাণী ছিল, পুঁজিবাদ যে দেশে পরিপক্কতা পাবে, সে দেশে কম্যুনিজম অনিবার্য হবে। কিন্তু তার সে তত্ত্ব পুরোপুরি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

জ্ঞানবান মানুষেরা সহজেই রোগের উপস্থিতি টের পায় এবং আরোগ্যের চেষ্টা করে। কিন্তু অজ্ঞদের সে হুঁশ থাকে না। বাঙালি মুসলিম জীবনে সংকট এজন্যই জটিলতর হয়েছে। বাঙালি মুসলিম জীবনে সবচেয়ে বড় নাশকতার কান্ড ঘটে ১৯০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনে এবং বাংলাদেশী আমলের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে। আরো বিপদের কারণ, দেশ যে লাগাতার নিচে নামছে এবং দেশবাসীর চেতনা ও চরিত্র যে দিন দিন অসুস্থতর হচ্ছে -তা নিয়ে রয়েছে শাসক শ্রেণী, আলেম ও বুদ্ধিজীবি মহলে যেমন ভাবনা-শূন্যতা, তেমিন সে ভাবনা-শূন্যতা সংক্রামিত হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। ফলে দিন দিন রোগ বাড়ছে, কিন্তু চিকিৎসার তেমন আয়োজন নাই।

আকাশে গভীর কালো মেঘ দেখেও ঝড়ের আলামত টের না পাওয়াটি অজ্ঞতা। তেমনি ভয়ানক অজ্ঞতা হলো প্রচণ্ড বিচ্যুতি ও পথভ্রষ্টতার মধ্যে থেকেও বোধোদয় না হওয়া। ইসলামের মূল যুদ্ধটি তাই অজ্ঞতার নির্মূলে। মহান আল্লাহতায়ালার পবিত্র কুর‌’আনের সূরা ফুর’কানের ৫২ নম্বর আয়াতে এ যুদ্ধকে জিহাদে কবিরা অর্থাৎ বড় জিহাদ বলেছেন। এবং নবীজীর উপর এ যুদ্ধ লড়ার হুকুম এসেছে পবিত্র কুর’আনের জ্ঞান দিয়ে। সে পবিত্র আয়াতটি হলো:

فَلَا تُطِعِ ٱلْكَـٰفِرِينَ وَجَـٰهِدْهُم بِهِۦ جِهَادًۭا كَبِيرًۭا

অর্থ: ‍(হে রাসূল!) আপনি কাফিরদের অনুসরণ করবেন না, এবং তাদের বিরুদ্ধে এ (কুর’আন) দিয়ে বড় জিহাদটি করুন‍।”

অজ্ঞতা নির্মূলের যুদ্ধটি মানবের জন্য এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে মহান আল্লাহতায়ালা নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত ফরজ করার এক দশকেরও বেশী আগে কুর’আনের জ্ঞানার্জনকে ফরজ করেছেন। শুরুর এ কাজটি শুরুতে না হলে জীবনের আর কোন কাজই সঠিক ভাবে হয় না, এমন কি ইবাদতও হয় না। অথচ বাংলাদেশে শুরুর সে কাজটিই যেমন শুরুতে হয়নি, তেমনি আজও হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের জন্য মূল বিপদটি এখানেই। ফলে সংস্কারের সব উদ্যোগই বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ তাতে অনুসরণ করা হচ্ছে না মানবোন্নয়ন ও রাষ্ট্র-উন্নয়নের লক্ষ্যে দেয়া মহান আল্লাহতায়ালার নাযিলকৃত রোডম্যাপ।

বরফের টুকরো ফ্রিজে না রেখে রোদে রাখলে তা দ্রুত হাওয়ায় হারিয়ে যায়। তেমনি ঈমান, ধর্মজ্ঞান, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং দর্শন সহায়ক রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ না পেলে দ্রুত বিলুপ্ত হয় বা দূষণের শিকার হয়। সেরূপ একটি সহায়ক পরিবেশ বিলুপ্ত হওয়াতে আরবের বুকে প্রতিষ্ঠা দেয়া মহান নবীজী’র ইসলাম আজ খোদ আরব ভূমিতেই বেঁচে নাই। সেখানে আজ যে ইসলাম বেঁচে আছে সেটি হলো ইসলামের অপূর্ণাঙ্গ ও বিকৃত রূপ। নবীজী’র ইসলামে ছিল মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব, শরিয়তী আইন, শুরা ভিত্তিক শাসন, দুর্বৃত্তির নির্মূল ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জিহাদ, জনগণের মৌলিক নাগরিক অধিকার, ভাষা-বর্ণের উর্দ্ধে প্যান-ইসলামী মুসলিম ভ্রাতৃত্ব এবং সবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা। আজ সে ইসলাম স্রেফ নামাজ-রোজা, হজ্জ-যাকাত ও দোয়া-দরুদ পাঠে সীমিত হয়ে গেছে। শুরা-ভিত্তিক শাসনের বদলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে রাজতন্ত্র ও নৃশংস স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ। জনগণ হারিয়েছে মৌলিক মানাধিকার। একই কারণে বাংলাদেশেও বেঁচে নাই নবীজী’র ইসলাম। ইসলাম থেকে দূরে-সরা আওয়ামী ফ্যাসিস্টগণ তাদের দীর্ঘকালীন দখলদারীতে বাংলাদেশে গড়ে তুলেছিল এক ইসলামবৈরী পরিবেশ। তাদের লাগাতার যুদ্ধটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে। অসম্ভব করেছিল নবীজী’র ইসলাম নিয়ে বেড়ে উঠা। ফলে বাঙালি মুসলিমের জীবন থেকে দ্রুত বিলুপ্ত হয়েছে ইসলামী দর্শন, মূল্যবোধ ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ। অবাঙালি চিহ্নিত হয়েছে শত্রু রূপে।

আজ থেকে ১০০ বছর আগে বাঙালি মুসলিমগণ ইসলামের যতটা কাছে ছিল, এখন ততটাই দূরে। শত বছর পূর্বে বিসমিল্লাহ, নারায়ে তাকবির এবং মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তাঁর উপর আস্থা নিয়ে বাঙালি মুসলিমদের মাঝে কোন বিরোধ ছিল না। অথচ আজ পরিস্থিতি এতোটাই পাল্টে গেছে যে, ঈমানের সে মৌলিক বিশ্বাসের কথাগুলি বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে উল্লেখ করাও অসম্ভব। ১০০ বছরে আগে বাঙালি মুসলিমগণ বিহারী, পাঞ্জাবী, গুজরাতী, সিন্ধি, পাঠানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে রাজনীতি করেছে। তারা খেলাফত আন্দোলন গড়েছে এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছে। এবং ২৪ বছর যাবত নানা বর্ণ ও নানা ভাষার মানুষের সাথে অখণ্ড পাকিস্তানে একত্রে বসবাস করেছে। সেরূপ একতা ও প্যান-ইসলামী মুসলিম ভ্রাতৃত্বের কথা কি আজকের বাংলাদেশে ভাবা যায়? সেক্যুলারিজম ও জাতীয়তাবাদের দূষণে সে ঈমানী সামর্থ্য বিলুপ্ত হয়েছে।

কোন মুসলিম দেশ ভেঙ্গে যাওয়াতে মুসলিমের হৃদয়ে ক্রন্দন উঠবে -সেটিই স্বাভাবিক ও কাঙ্খিত। হৃদয়ের সে নীরব ক্রন্দনটুকুই তো ঈমানের লক্ষণ। দেহ বাঁচলে সে দেহে রক্ত ক্ষরণ হয়; মৃত দেহে সেটি হয়না। শুধু মুসলিম দেশ ভাঙ্গাতে নয়, মুসলিমের ঘর ভাঙ্গাতেও ঈমানদারের মন বিষন্ন ও দুঃখ-ভারাক্রান্ত হয়। নবীজীর হাদীস: মুসলিম উম্মাহ একটি দেহের মত; তাই দেহের এক অঙ্গ ভেঙ্গে গেলে বা আহত হলে সমগ্র দেহ ব্যাথায় কেঁপে উঠে। সে ব্যাথা অনুভূত না হলে বুঝতে হবে সে দেহে প্রাণ নাই; সে দেহ মৃত। তেমনি ঈমান বাঁচলে কোন মুসলিম দেশ ভেঙ্গে গলে ঈমানদারের মনে ক্রন্দন উঠবেই। তাই যারা একটি মুসলিম দেশ ভাঙ্গা নিয়ে উৎসব করে -তারা নামাজী, রোজাদার বা হাজী হতে পারে, কিন্তু তারা ঈমানদার নয়। নামাজী, রোজাদার বা হাজী তো বহু ঘুষখোর, সূদখোর ও প্রতারকও হয়। কিন্তু ঈমানদার হতে হলে তো মুসলিম উম্মাহর সংহতি, স্বাধীনতা ও শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠায় গভীর অঙ্গীকার থাকতে হয়। মুসলিম দেশের বিভক্তি মানেই তো উম্মাহর শক্তিহানী। তা বিজয় ও আনন্দ বাড়ায় শয়তান ও তার অনুসারীদের। তাই মহান আল্লাহতায়ালা একতা ও সংহতিকে ফরজ করেছেন এবং বিভক্তিকে হারাম করেছেন। প্রতি দেশেই বৈষম্য থাকে, অবিচার, স্বৈরাচার ও দুঃশাসন থাকে। সেগুলির বিরুদ্ধে লড়াই ইসলামে জিহাদ; কিন্তু দেশ ভাঙ্গা হারাম। দেশ ভাঙ্গলে সে ব্যাধিগুলি কমে না, বরং বেড়ে যায়। সেটির প্রমাণ বাংলাদেশ নিজেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ও বৈষম্য দূরীকরণের নামে শেখ মুজিব ও তার অনুসারীগণ পাকিস্তান ভাঙ্গলো; কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে মুজিব গণতন্ত্রকে কবরে পাঠালো এবং প্রতিষ্ঠা দিল একদলীয় বাকশালী ফ্যাসিবাদকে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পরিণত হলো বৈষম্য উৎপাদনের কারখানায়। ১৯৭৩-৭৪’য়ের দুর্ভিক্ষ ছিল সে অর্থনৈতিক বৈষম্যের চুড়ান্ত রূপ।

পরিতাপের বিষয় হলো, ইসলাম থেকে দূরে সরার কারণে অধিকংশ বাঙালি মুসলিমের চেতনা থেকে বিলুপ্ত হয়েছে প্যান-ইসলামী মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ। এরই ফলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ভাঙ্গা তাদের কাছে পরম উৎসবের বিষয় গণ্য হয়। পৌত্তলিক কাপালিকদের থেকে এক্ষেত্রে তাদের কোন ভিন্নতা নাই। তাই বছর ঘুরে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর এলে এরা পাকিস্তান ভাঙ্গা নিয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের সাথে একত্রে উৎসব করে। প্রশ্ন হলো, একাত্তরের বিজয়টি মুসলিমদের হলে তারা কি কখনো তা নিয়ে উৎসব করতো? মুসলিমদের বিজয়ের অর্থ তো তাদের বিষাদের দিন। কিন্তু সেটুকু বুঝার সামর্থ্য ক’জনের? ইসলাম থেকে দূরে সরলে সে সামর্থ্য না থাকারই কথা।

পরিতাপের বিষয়টি হলো, ১৬ ডিসেম্বর এলে এমন কি যারা নিজেদেরকে ইসলামী শিবিরের সৈনিক মনে করে তারাও হিন্দুত্ববাদী, বামপন্থী ও জাতীয়তবাদী ফ্যাসিস্টদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে পাকিস্তান ভাঙ্গার উৎসবকে মহোৎসবে পরিণত করতে। এ থেকে বুঝা যায়, বাঙালি মুসলিম চেতনায় সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থার নাশকতাটি কত গভীর। ইসলামী ও অনৈসলামী শক্তির মাঝে ১০০ বছর আগে যে আদর্শিক পার্থক্য ছিল – এখন সেটি বিলুপ্তপ্রায়। তথাকথিত ইসলামপন্থীরাও যে ইসলামের সিরাতাল মুস্তাকীম থেকে বহু পথ দূরে সরেছে -এটি হলো তারই দলিল। ইসলাম থেকে দূরে সরার কারণেই রাজনীতি, বুদ্ধিবৃত্তি ও চেতনার জগতে তারা অনৈসলামী শক্তির অনেক কাছে পৌঁছে গেছে। ফলে ১৬ ডিসেম্বর এলে ইসলামপন্থীরাও জাতীয়তাবাদী সেক্যুলারিস্টদের সাথে একই মঞ্চে খাড়া হয়। বাঙালি মুসলিমের চেতনায় secularisation প্রক্রিয়া যে কতটা প্রবল -এ হলো তারই প্রমাণ। ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *