বাংলাদেশে বীভৎস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
- Posted by Dr Firoz Mahboob Kamal
- Posted on July 24, 2024
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, বাংলাদেশ
- No Comments.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
সন্ত্রাসীদের হাতে অধিকৃত বাংলাদেশ
সন্ত্রাসের আভিধানিক অর্থ, রাজনৈতিক স্বার্থে অস্ত্রের ব্যবহার। সে অর্থে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হলো খোদ রাষ্ট্র। দেশ আজ অধিকৃত ভোটডাকাত হাসিনার হতে। বুঝতে হবে, ক্ষমতায় থাকার মধ্যে থাকে নিরেট রাজনৈতিক স্বার্থ। সে স্বার্থ পূরণে হাসিনার দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র। সে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কাজে হাসিনা ব্যবহার করছে দেশের সশস্ত্র সেনাবাহিনী, পুলিশ, RAB, বিজিবি এবং ছাত্র লীগের গুন্ডা বাহিনীকে। এভাবে হাসিনা বাংলাদেশকে পরিণত করেছে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে।
এতকাল সন্ত্রাসে নামতো ছাত্রলীগের হেলমেটধারী সশস্ত্র গুন্ডাগণ; পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে পাহারা দিত পুলিশ বাহিনী। কিন্তু চিত্রটি এখন পাল্টে গেছে। চলমান ছাত্র আন্দোলনে চাপে ছাত্র লীগের ক্যাডারগণ প্রাণ ভয়ে তাদের হল ও আস্তানা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এখন সন্ত্রাস সৃষ্টিতে ছাত্র লীগের গুন্ডাদের স্থান নিয়েছে পুলিশ বাহিনী। ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর সন্ত্রাস চালাতে পুলিশ ও RAB’কে একত্রে দেখা যাচ্ছে; পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে সেনা বাহিনী। উল্লেখ্য যে, রাস্তায় সেনা বাহিনী নামানোর আগে পুলিশও ছাত্রদের মাঝে ঢুকার সাহস হারিয়ে ফেলেছিল। বিদেশী সাংবাদিকদের রিপোর্ট, আন্দোলন দমনে সেনা বাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে জাতিসংঘের মনোগ্রাম অংকিত সাঁজায়ো গাড়িতে চড়ে। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘের কর্মকর্তা।
সরকার দেশ জুড়ে জ জারি করেছে। এটিও হলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এক ভয়ংকর রূপ। দেখা মাত্রই গুলীর ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রাখা হচ্ছে এবং ত্রাস সৃষ্টি করেই জনগণকে রাস্তা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। এবং পুলিশ ও RAB জনশূণ্য রাস্তায় নেমে ঘরে ঘরে গিয়ে এবং মসজিদে ঢুকে হানা দিচ্ছে এবং এলোপাথারি ছাত্রদের গ্রেফতার করছে। এবং অনেককে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হচ্ছে। এসবের ভিডিও ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে।
হাসিনার মিথ্যাচার
যে কোন দুর্বৃত্তের ন্যায় শেখ হাসিনার মূল অস্ত্রটি হলো মিথ্যাচার। সে বার বার বলে, তার ক্ষমতার লোভ নাই। অথচ এটি প্রকাণ্ড মিথ্যা। নিজেকে ক্ষমতায় রাখার স্বার্থেই হাসিনা তার আজ্ঞাবহ বিচারপতি আবুল খায়েরকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথাকে বিলুপ্ত করেছিল। অথচ এই হাসিনাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বহু বার হরতাল ডেকেছে এবং একথাও বলেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথাকে সব সময়ের জন্য মেনে নিতে তার আপত্তি নাই। একথা বলাই বাহুল্য, হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিষ্ঠা ও বিলুপ্তির পক্ষ নিয়েছে স্রেফ নিজের ক্ষমতালাভকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। এই হাসিনাই ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল এবং ২০২৪ সালে ভোটারশূণ্য নির্বাচন ও ভোটডাকাতির পথ বেছে নেয়। ক্ষমতার লোভী না হলে কি এরূপ ভোটডাকাতির পথ বেছে নিত? গণতন্ত্রকে কবরে পাঠানোর পরও বলে সে নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী!
এখন মিথ্যা বলা শুরু করেছে, দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কোথায় সে স্বাভাবিক অবস্থা? দেশজুড়ে কার্ফিউ কি স্বাভাবিক অবস্থা? রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনীর পাহারাদারি কি স্বাভাবিক অবস্থা? পুলিশ এবং র্যাব ঘরে ঘরে গিয়ে হানা দিচ্ছে এবং ছাত্রদের গ্রেফতার ও হত্যা করছে -এটি কি স্বাভাবিক অবস্থা? স্বাভাবিক অবস্থা হলে দেশ কেন বিশ্ব থেকে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন? কেন কেড়ে নেয়া হয়েছে ইন্টারনেট, ইউটিউব, ফেস বুক, হোয়াটস এ্যাপ এবং ফোন যোগাযোগ? একটি দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হলেও তো এমন যোগযোগশূণ্য হয়না।
বাংলাদেশ এখন আরেক অধিকৃত ফিলিস্তিন
ইসরাইলের হাতে অধিকৃত ফিলিস্তিনের ন্যায় বাংলাদেশও এখন এক অধিকৃত ফিলিস্তিন। বাংলাদেশে সে অধিকৃতিটি হাসিনার ন্যায় এক দেশী খুনি নেতিয়ানহুর। তবে পার্থক্য হলো, ইসরাইলে বিপুল হত্যা ও ধ্বংস থাকলেও সেখানে দিবা-রাত্র কার্ফিউ নাই। বরং সেখানে রয়েছে ইন্টারনেট, ইউটিউব এবং ফোন যোগাযোগ। কিন্তু বাংলাদেশে চলছে দিবারাত্র কার্ফিউ এবং দেশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিশ্ব থেকে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ইচ্ছা মত মানুষ খুন করছে -কোন জবাবদেহীতা নাই; বাংলাদেশে খুনের কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সামরিক বাহিনী, বিজিবি, RAB এবং পুলিশ । ইসরাইলের ন্যায় হাসিনারও কোন জবাবদেহীতা নাই।
ইসরাইলীদের ন্যায় হাসিনার রাজনীতিও হলো প্রতিশোধের রাজনীতি। হামাস ৭ অক্টোবর ২০২৩’য়ের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরাইলিকে হত্যা করেছিল। কিন্তু সে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল ৩৯ হাজারের বেশী ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। এবং সে হত্যাকান্ড এখনো অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নিজের উক্তি: সে রাজনীতিতে এসেছে তার পিতা-মাতা ও পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। হাসিনা প্রতিশোধ নিতে চায় বাংলাদেশের জনগণ থেকেও। কারণ, জনগণ তার পিতার মৃত্যুতে শোকাহত না হয়ে উৎসব করেছে। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে হাসিনা হাজার হাজার মানুষকে গুম, হত্যা ও কারাবন্দী করেছে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় বহু শত মুসুল্লিকে হত্যা করেছে। মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈাদীর গ্রেফতারে প্রতিবাদ করায় হত্যা করছে শতাধিক মানুষকে। বহু জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে চড়িয়েছে। কিন্তু এতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যার পর হাসিনার প্রতিশোধের নেশা থামেনি। সে একজন মানসিক রোগাগ্রস্ত saddist; মানুষকে দুঃখ দেয়ার মাঝেই তার আনন্দ।
আন্দোলন ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না
শেখ হাসিনা যদি এ আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এবং ক্ষমতায় টিকে যায় -তবে এ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, মিডিয়া এবং শিক্ষা-সংস্কৃতিকে সে পুরোপুরি পাল্টিয়ে ফেলবে। এরূপ আরেকটি ছাত্র আন্দোলন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশকে পরিণত করা হবে আরেক অধিকৃত ফিলিস্তিন, কাশ্মীর বা উত্তর কোরিয়ায়। তখন দেশটি পরিণত হবে একটি সম্পূর্ণ জেলখানায়। তখন বাড়বে ভারতের বিশাল উপস্থিতি ও নিবিড় নজরদারী। তখন স্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, কথা বলা ও লেখালেখির স্বাধীনতা কবরবাসী হবে।
এ মুহুর্তে বাংলাদেশীদের সামনে একটিই পথ; সেটি হলো খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে একাতাবদ্ধ প্রতিরোধের। সকল দেশবাসী এবং সকল বিরোধী দলকে একতাবদ্ধ হতে হবে। একতার পথেই বিজয়, এবং বিভক্তিতে নিশ্চিত পরাজয়। ফলে সকল ভুল-ভ্রান্তি ও মতবিরোধ ভুলে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। দেশে গণতন্ত্র বাঁচলেই জনগণের অধিকার ও রাজনীতির স্বাধীনতা বাঁচবে। তখন দল গড়া, মিটিং-মিছিল করা এবং ভোট দেয়ার স্বাধীনতাও বাঁচবে। এ বিস্ময়কর বিশাল ছাত্র আন্দোলনকে ব্যর্থ হতে দেয়া যায় না। এ নিয়ে সামান্যতম সন্দেহ নেই, শেখ হাসিনা কখনোই সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না। সে প্রেসিডেন্ট এরশাদ বা প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান নয় যে, গণহত্যা এড়াতে ক্ষমতা ছেড়ে দিবে। বরং এটি নিশ্চিত, ক্ষমতায় থাকার জন্য সে ভয়ানক গণহত্যার পথ বেছে নিবে।
বিপ্লবের শক্তি ও প্রসব বেদনা
বাংলাদেশের চলমান ছাত্র আন্দলনের শক্তি হলো, এটি পরিচালিত হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ ছাত্রদের দ্বারা। তারা কোন ছাত্র সংগঠনের সদস্য নয়; এবং তারা কোন কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বের অধীনে নয়। সংগঠন ছাড়াই তারা সংগঠিত; এবং পরিচালিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াই। এটি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এক অভাবনীয় মহৎ গুণ। ১৭৮৯ সালের ফরাসী বিপ্লব এবং ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লব -মানব ইতিহাসে এ দুটি বিখ্যাত বিপ্লবও এভাবে কোন সংগঠন ছাড়াই বিজয়ী হয়েছে। চলমান আন্দোলনে মাঠ পর্যায়ে কোন কেন্দ্রীয় নেতা থাকলে সে নেতাকে শাসক শক্তি সহজেই গ্রেফতার করতো বা হত্যা করতো এবং এভাবে আন্দোলনকো পরাস্ত করতো। কিন্তু হাসিনা সে সুযোগ পাচ্ছে না।
প্রতিটি বিপ্লবেরই প্রচণ্ড প্রসব বদনা থাকে। এ প্রসব বেদনার কারণ, জালেম শাসকেরা কখনোই শান্তিপূর্ণ ভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকাকে ভালবাসে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য রক্তপাতের পথ বেছে নেয়। তাই বিপ্লবের পথটাকে তারা রক্তাক্ত ও বেদনাসিক্ত করে। সে বেদনা আমাদের অবশ্যই সইতেই হবে। সে বেদনা সইবার সামর্থ্য থাকলে আশা করা যায়, এ বিপ্লব একটি স্বাধীন ও সুন্দর বাংলাদেশ প্রসব করবে।
নিজেদের মানবিক ও গণতান্ত্রিক স্বার্থকে বাঁচাতে হলে এ আন্দোলনকে অবশ্যই বাঁচাতে হবে এবং সাফল্যের পথে নিতে হবে । বুঝতে হবে, স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচারও বিশাল খরচ আছে। এটিই হলো মানব জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খরচ। এ খরচ যোগাতে বিগত ৮ মাসে গাজার ৩৯ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে। স্বাধীনতার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরের মুসলিমগণ। এবং যারা সে খরচ যোগাতে পারে একমাত্র তারাই স্বাধীন ভাবে বাঁচার মর্যাদা পায়ে। অপর দিকে পরাধীনতার অপমান নিয়ে বাঁচায় তেমন খরচ নাই। গরু-ছাগলের ন্যায় সেটি যে কোন ব্যক্তিই যোগাতে পারে।
হাসিনা পরিণত হতে পারে আযাবের হাতিয়ারে
বাংলাদেশের মুসলিমগণ এক বিশাল ঈমানের পরীক্ষার সম্মুখীন। তাদের সামনে হাজির করা হয়েছে নৃশংস জালেম হাসিনাকে। মহান আল্লাহতায়ালার নজর প্রতিটি বাঙালি মুসলিমদের দিকে। তিনি প্রতিক্ষণ দেখছেন, এ জালিম হাসিনার সাথে তাদের আচরণটি কিরূপ হয়? তিনি দেখছেন, তারা হাসিনাকে মাননীয়া ও শ্রদ্ধেয়া বলে তার পক্ষে খাড়া হয়, না কি তার নির্মূলে খাড়া হয়? এভাবেই যুগে যুগে ঈমানের পরীক্ষা হয়েছে এবং ভবিষ্যৎয়েও হতে থাকবে। হাসিনা যে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রু -তা নিয়ে কি সামান্যতম সন্দেহ আছে? সে যে ইসলামের চিহ্নিত দেশী ও বিদেশী শত্রুদের নিয়ে বাংলাদেশের বুকে ইসলামের উত্থানকে বাধাগ্রস্ত করছে -তা নিয়েও কি কোন সন্দেহ আছে? সে কি ইসলাম ও মুসলিমদের জঘন্য শত্রু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ট বন্ধু নয়? যে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বার বার গণহ্ত্যা হয় এবং বাবরি মসজিদের ন্যায় ঐতিহাসিক মসজিদকে গুড়িয়ে দেয়া হয় -সে ভারতকে খুশি করতে হাসিনা বাংলাদেশের বাজার, নদীগুলির পানি, বুক চিরে করিডোর, রেল পথ, সড়ক পথ এবং সমুদ্র বন্দরগুলির সুবিধা দিয়েছে।
ভারত বহু কিছু পেয়েও আরো চায়। চায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করতে। তাই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অর্থ হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। হিন্দুত্ববাদের এ সহযোগীর নির্মূলের জিহাদ তো প্রতিটি বাংলাদেশী মুসলিমের উপর ফরজ। মহান আল্লাহতায়ালা সে জিহাদকে হাজির করেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলিমের গৃহের দরজার সামনে। জিহাদের সে ফরজ পালন না করলে শাস্তি যে অনিবার্য -তা নিয়ে কি সামান্যতম সন্দেহ আছে? এমন অবাধ্যদের শাস্তি দেয়াই মহান আল্লাহতায়ালার সূন্নত। এবং শাস্তি দেয়ার কাজে তিনি হাসিনাকেই বেছে নিতে পারেন হাতিয়ার রূপে। সে ভয়াবহ আযাব থেকে একমাত্র জিহাদই বাঁচাতে পারে।
এটি নিশ্চিত, বাংলাদেশে যে জিহাদ শুরু হয়েছে তাতে শত শত মানুষ শহীদ হবে। মনে রাখতে হবে, হাসিনার ন্যায় দুর্বৃত্ত ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই কোন মামূলি লড়াই নয়। এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ। সে জিহাদের বিজয়ের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলিমদের ভবিষ্যৎ। বঙ্গীয় এ ভূমিতে স্বাধীনতা ও ইসলামকে বিজীয় করার জিহাদ জান, মাল, শ্রম ও সময়ের বিপুল কুর’বানী চায়। যারা কুর’বানীতে রাজী নয়, তারা নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাতে রাজী থাকলেও জিহাদের ময়দানে পা রাখতে চায়না। তাই এ জিহাদে যারা অংশ নেয় তাদের জন্য মহান আল্লাহতায়ালা রেখেছেন সর্বোচ্চ পুরস্কারটি। সেটি হলো শাহাদাতের তথা বিনা হিসাবে জান্নাতপ্রাপ্তির। লক্ষ্যণীয় হলো, নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাতে তিনি সে বিশাল পুরস্কারটি রাখেননি।
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা যে লড়াই’য়ে নেমেছে সে লড়াইকে সাফল্যের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করতেই হবে। এটিই মু’মিন ব্যক্তির ঈমানী দায়বদ্ধতা। এ লড়াইয়ে যোগ করতে হবে জিহাদের নিয়েত ও জজবা। নইলে যে রক্ত ঝরেছে বা ভবিষ্যতে ঝরবে -তা সম্পূর্ণ বৃথা যাবে। এ আন্দোলন ব্যর্থ হলে শেখ হাসিনা হাজির হবে এক দানবীয় নৃশংসতা নিয়ে। ক্ষেতের ফসল বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নেয়ার ন্যায় হাসিনাও চাইবে এ আন্দোলনের ফসল ভাসিয়ে নিতে। সেটি হতে দেয়া যাবে না, ঘরে ফসল তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতেই হবে। এটিই হোক প্রতিটি ঈমানদারের খালেছ নিয়েত ও ঐকাত্মিক কামনা। তবে বিজয় একমাত্র সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালা থেকেই আসে। তাই প্রতি মুহুর্তে তাঁর দরবারে সাফল্য চেয়ে দোয়া করতে হবে। তবে সে দোয়ার সাথে ঈমানদারের দায়িত্ব হলো, এ পবিত্র জিহাদকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টায় কোনরূপ ত্রুটি না করা। ২৪/১০/২০২৪।
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
- সংবিধানে প্রতিটি ব্যক্তির রায়ের ইজ্জত সুনিশ্চিত করত হবে
- একাত্তর প্রসঙ্গ, কিছু আলেমের বিভ্রান্তি এবং মুসলিমের জিহাদে কবিরা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018