বাঙালি মুসলিমের ইতিহাস দূষণ, পরাধীনতার বিপদ   এবং অনিবার্য জিহাদ

 ফিরোজ মাহবুব কামাল

ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব

রাজনীতির অঙ্গণে কোন পথটি কল্যাণের এবং কোনটি অকল্যাণের -সেটি বুঝতে হলে ইতিহাস পাঠ জরুরি। কারণ, ইতিহাসের বই’য়ে থাকে অতীতের বহু বড় বড় ভূল ও নানারূপ ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান। থাকে চিহ্নিত শত্রুদের কর্মকান্ড ও ষড়যন্ত্রের বিবরণ। যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় তাদেরকে সেসব ক্ষতির মধ্যে নতুন করে পড়তে হয়না। এখানেই ইতিহাসের পাঠের গুরুত্ব। পদার্থ বিদ্যা, গণিত শাস্ত্র বা কম্পিউটার বিজ্ঞান মানবের বহু কল্যাণ করলেও জাতিকে ভয়ানক বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর কাজটি করে না। পবিত্র কুর’আনেও তাই বার বার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে। সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহতায়ালা স্বয়ং পবিত্র কুর’আনে তাই আদ, সামুদ, ফিরাউন ও নমরুদের জাতিসহ নানা জনগোষ্ঠির ইতিহাস বার বার তুলে ধরেছেন -যাতে মানুষ তা থেকে শিক্ষা নেয়। যেন তাদের ন্যায় মিথ্যুক, প্রতারক ও দুর্বৃত্তদের অপরাধ ও পরিণত থেকে নিজেদের রক্ষা করে।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে যারা ব্যর্থ হয়, তাদের পা একই গর্তে বার বার পড়ে। বাঙালী মুসলিমগণ এক্ষেত্রে কদর্য ইতিহাস গড়েছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়ার কারণেই বাঙালি মুসলিমগণ ১৯৭১’য়ে ভারত ও ভারতের অনুগত ইসলামের শত্রুপক্ষকে বিজয়ী করেছে। এবং উপমহাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মুসলিমদের শক্তিহানী ঘটিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের শক্তি বাড়িয়েছে। তাই মুজিবের নেতৃত্বে সেটি ছিল মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। বুঝতে হবে, যে রাজনীতিতে মুজিবের ন্যায় গণতন্ত্রহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট, ইসলামে শত্রু, ভারতের পদলেহী দালাল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় -তাকে কখনোই সুস্থ্য ও কল্যাণকর রাজনীতি বলা যায় না। এটি তো মহা বিপর্যয়। সেরূপ এক বিপর্যয়ই সংঘটিত হয়েছে একাত্তরে। স্বাধীনতার নামে অর্জিত হয়েছে ভারতের পদতলে পরাধীনতা। সে মহা বিপর্যয়ের নায়ক ছিল ভারতসেবী ও গণতন্ত্রের খুনি বাকশালী মুজিব।

তবে একাত্তরের এ বিপর্যের মূলে ছিল, ইতিহাস দূষণ। সে দূষণে নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারতপন্থী, বামপন্থী ও হিন্দুত্ববাদী বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা। সে ইতিহাস দূষণের ফলে ঘটেছে চেতনার দূষণও। চেতনার সে দূষণে বিলুপ্ত হয়েছে দেশের কল্যাণ ও অকল্যাণ নিয়ে বিচার-বিবেচনার সামর্থ্য। তারই আলামত, একাত্তরে অধিকাংশ বাঙালি মুসলম মুজিবের ন্যায় এক স্বৈরাচারি দুর্বৃত্তকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে ও মুজিবের পালনকর্তা ভারতকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করে। খড়-কুটোর ন্যায় তারা সেদিন ভেসে যায় ভারত ও ভারতপন্থীদের সৃষ্ট রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্রোতে। দেশ ভাঙ্গা, পরস্পরে বিভক্তি এবং কাফিরদের সাথে মিতালীর যে রাজনীতিতে মহান আল্লাহতায়ালার হারাম করেছেন সে রাজনীতিও তাদের কাছে সেদিন হালাল গণ্য হয়। ফলে ১৯৪৭’য়ে অর্জিত স্বাধীনতা হারিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয় ভারতের অধিকৃত এক অঙ্গ রাজ্যে। ভারতের সামরিক অধিকৃতি আসে ১৯৭১য়ের ১৬ ডিসেম্বর; পরবরর্তীতে সে অধিকৃত স্থায়ী হয় ভূ-রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অধিকৃতি রূপে।  

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সে অধিকৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। ছাত্র-জনতার এ বিপ্লবে পরাজয় শুধু হাসিনার হয়নি, হয়েছে ভারতেরও। কিন্তু ভারত সে পরাজয় মেনে নিতে পারছে ন। কারণ যে ভারত এতো কাল বাংলাদেশকে একটি আশ্রিত অঙ্গ রাজ্য রূপে গণ্য করে আসছে -সে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে মেনে নেয় কীরূপে? কারণ একটি দেশের ১৮ কোটি মানুষকে গোলাম রূপে পাওয়ার আনন্দই তো বিশাল। তাই ভারত বাংলাদেশকে আবার দখলে নেয়ার যুদ্ধ শুরু করেছে। একাত্তরের বিজয় ভারতকে অনেক সাহস জুগিয়েছে। ফলে চায়, একাত্তরের ন্যায় আরেকটি সহজ বিজয়। অথচ একাত্তরে ভারতের হাতে বাংলাদেশকে তুলে না দিলে ভারত আজ সে সাহস পেত না।    

 

ভারত: বাঙালি মুসলিমের স্বাধীনতার চির শত্রু

ইতিহাসের বড় শিক্ষা হলো. কাফিরগণ -বিশেষ করে পৌত্তলিকগণ, মুসলিমদের কল্যাণে কখনোই খুশি হয়না। তাদের কাছে অসহ্য হলো মুসলিমদের স্বাধীনতা। কারণ তারা প্রতিক্ষণ বাচে ইসলাম ভীতি ও মুসলিম ভীতি। তারা খুশি হয় মুসলিমদের পরাধীনতা দেখে। তারা চায় না, কোথাও কোন স্বাধীন দেশে মুসলিমগণ বসবাস করুক। এজন্যই তারা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা চায়নি। এবং পাকিস্তান বেঁচে থাকুক সেটিও চায়নি। ১৯৭১’য়ে সুযোগ পেয়েছে ১৯৪৭’য়ে অর্জিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার। একই কারণে তারা কাশ্মীর ও হায়দারাবাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। সে অভিন্ন কারণে ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের অবিরাম যুদ্ধটি ভারতের ২২ কোটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে। মুসলিমদের পরাজয়, পরাধীনতা ও ক্ষয়-ক্ষতি নিয়ে তারা উৎসব করে। মুসলিমদের ক্ষতিগুলি কখনো কখনো তারা নিজেরা করে, আবার কখনো, অন্যদের দিয়ে করিয়ে নেয়। ব্রিটিশ আমলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বহু নাশকতা তারা ইংরেজদের হাত দিয়ে করিয়ে নিয়েছে। সেরূপ এক মানসিকতার কারণে ইসরাইল যে নৃশংস নাশকতা গাজা ও লেবাননে চালাচ্ছে সেটিকে ভারত পূর্ণঙ্গ সমর্থন করছে।

শেরে বাংলা ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অতি নিকট থেকে হিন্দুদের মন-মানসিকতা বুঝার যথেষ্ট সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, “কলকাতার হিন্দু বাবুরা যখন আমার কোন সিদ্ধান্তে খুশি হয় তখন বুঝতে হবে এতে নিশ্চয়ই মুসলিমদের অকল্যাণ রয়েছে। এবং যখন প্রচণ্ড অখুশি হয়, তখন বুঝবে তাতে মুসলিমদের কল্যাণ রয়েছে।” কিন্তু সে বিচারবোধ শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল না। ফলে তাদের রাজনীতিতে দেখা যায় ভারত-তোষণ এবং হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার সাথে পূর্ণ একাত্মতাহ। এজন্যই হিন্দুত্ববাদীদের ন্যায় মুজিব-হাসিনার যুদ্ধটি ছিল ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে। এজন্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে ভারতের শাসকচক্র এতোটা খুশি। এবং এজন্যই বাংলাদেশ থেকে পলায়নের পর শেখ হাসিনা ভারতে নিরাপদ আশ্রয় পায়। খাঁচার ঘুঘু যেন খাঁচায় ফিরে গেছে।

ভারত ১৯৭১’য়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা চায়নি। চেয়েছে অধিনত এক গোলাম বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতা বলতে বুঝায় জনগণের স্বাধীনতা; কোন স্বৈরাচারি শাসকের স্বাধীনতা নয়। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে কবরে পাঠায়, কেড়ে নেয় জনগণের ভোটের অধিকার, নির্বাচনের স্থলে প্রতিষ্ঠা পায় ভোটডাকাতি। প্রতিষ্ঠা দেয় নৃশংস দলীয় ফ্যাসিবাদকে। মুজিব-হাসিনার সে নৃশংস ফ্যাসিবাদকে ভারত নিরংকুশ সমর্থণ দেয়। ভারত অবস্থান নেয় বাংলাদেশের জনগণের প্রতিপক্ষ রূপে। ভারতের ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের ভয়ানক নাশকতার রাজনীতি। বিলুপ্ত হয় দেশবাসীর মৌলিক মানবিক অধিকার, প্রতিষ্ঠা পায় আয়না ঘরের ন্যায় অসংখ্য নির্যাতন সেল, দেশ জুড়ে প্লাবন আসে গুম, খুন, চুরি-ডাকাতি. ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের। প্রতিষ্ঠা পায় নিরেট ভারতীয় আধিপত্য। জনগণের স্বাধীনতা চাইলে ভারত কি এভাবে জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুর ন্যায় আচরণ করতো?

 

 নাশকতা ইতিহাসের বিরুদ্ধে

 যে কোন দেশের জনগণকে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটি নিতে হয় নিজ জাতির ইতিহাস থেকে। ইতিহাসের মূল শক্তি হলো তার সত্য বয়ান। মিথ্যা দূষণ হলে ইতিহাসের সে সামর্থ্য থাকে না। বাংলাদেশের ইতিহাসের বইয়ে সে মিথ্যা দূষণটি বিকট। ইতিহাস লেখা হয়েছে শেখ মুজিবের ন্যায় এক ফ্যাসিস্ট দুর্বৃত্তকে মহা মানব রূপে প্রতিষ্ঠা দিতে। যে কোন দেশের জনগণের common collective memory তথা চেতনাগত সমতা ও ঐক্য গড়ে উঠে ইতিহাসের বয়ান থেকে। তখন গড়ে উঠে দেশবাসীর মাঝে রাজনৈতিক ঐক্য। অথচ বাংলাদেশে প্রচণ্ড রাজনীতি হয়েছে ইতিহাস নিয়ে; ইতিহাসের বই পরিণত হয়েছে ঘৃণা ও বিভক্তি সৃষ্টির হাতিয়ারে।  

ইতিহাসের প্রতি পর্বেই দুইটি পক্ষ থাকে। একটি ইসলামের পক্ষ এবং অপরটি শত্রুপক্ষ। তাই ইতিহাসের বইয়ে শুধু জাতির বীর সন্তান  ও বন্ধুদের পরিচয় মেলে না, শত্রুর পরিচয়ও মেলে। যারা শত্রুদের হাতে নিহত ও নির্যাতিত হয় -তারা জীবিতদের জন্য অতি অমূল্য শিক্ষণীয় বিষয় রেখে যায়। সে বর্ণনা নিয়েই তো ইতিহাস। তাই বদর, ওহুদ, খন্দক, মুতার  ন্যায় যুদ্ধগুলির কাফির প্রতিপক্ষ ও মুসলিম বীরদের না জানলে ইসলামের ইতিহাস জানা হয়না। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসন ও ব্রিটিশের কলাবরেটর হিন্দু জমিদার শাসনের ইতিহাসলব্ধ করুণ অভিজ্ঞতা থেকে। বহু রক্তপাত, বহু দুঃখ-যাতনার মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলিমগণ গড়েছিল সে দুঃখের ইতিহাস। তৎকালীন বিশ্বের সবেচেয়ে সমৃদ্ধশালী বাঙালি মুসলিমগণ সেদিন ইংরেজ দস্যুদের হাতে শুধু স্বাধীনতাই হারায়নি, হারিয়েছিল নিজেদের জায়গা-জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জগত-বিখ্যাত মসলিন শিল্পকে। পূর্ণাঙ্গ মুসলিম রূপে বাঁচা ও স্বপ্ন দেখাই সেদিন অসম্ভব করা হয়েছিল। মুসলিমদের হাত থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দু কলাবোরেটরদের জমিদার বানানো হয়েছিল। এতে হিন্দু্গণ পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের সার্বক্ষণিক পাহারাদারে। এরূপ দেশী ও বিদেশী শত্রুদের পদতলে ১৯০ বছর পিষ্ট হতে হয়েছিল বাঙালি মুসলিমদের।

ভারতের অন্য যে কোন রাজ্যের মুসলিমদের তুলনায় বাঙালি মুসলিমদের উপর জুলুমের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক। তাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছিল জুলুমের দুটি জোয়াল। একটি ছিল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ দস্যুদের, অপরটি হিন্দু জমিদারদের। জমিদারদের জুলুম ছিল ইংরেজদের চেয়ে অধিক নৃশংস। এজন্যই ১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা অবধি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ ভাগে ছিল বাঙালি মুসলিমগণ। হিন্দু-প্রভাবিত কংগ্রেসে তারা যোগ দেয়নি। একমাত্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাঙালি মুসলিমগণ পায় কৃষি জমির উপর মালিকানা। তাদের আগে মালিক ছিল হিন্দু জমিদাররা।

 

 স্বাধীনতার সুরক্ষা: জিহাদই হাতিয়ার

 কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, পাকিস্তানের ২৩ বছরে ষড়যন্ত্রকারী ভারত ও ভারত-অনুগত বাঙালি জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্টগণ সফল হয় বাঙালি মুসলিমের সে ১৯০ বছরের ইতিহাস ভূলিয়ে দিতে। পূর্ব পাকিস্তানীদের চেতনায় হিন্দুত্ববাদীদের চিত্রিত করা হয় বন্ধু রূপে। এবং ভারত পেশ করা হয় বন্ধুরাষ্ট্র রূপে। এবং বাঙালি মুসলিমদের রাজনীতিতে নেতা রূপে প্রতিষ্ঠা দেয়া হয় ভারতের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট মুজিবকে। সে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই বিজয়ী হয় ১৯৭১’য়ে। ১৯৭৫’য়ের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব উৎখাত হলে ভারত প্রতিষ্ঠা দেয় মুজিবের ফ্যাসিস্ট কন্যা হাসিনাকে। এবং বাংলাদেশকে পরিণত করা হয় ভারতের একটি আশ্রিত রাষ্ট্রে।

ভারত চায়, বাংলাদেশে একাত্তরের সে ভারতসেবী চেতনা এবং ভারতের অধিকৃতি ও লিগাসীকে বহাল রাখতে। অথচ এমন চেতনার ফসল তো দুর্বৃত্ত মুজিব ও হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন, গণতন্ত্রের মৃত্যু, হিন্দুত্বের বিজয় ও পরাধীনতা।  তাই বাংলাদেশীদের যুদ্ধটি স্রেফ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, বরং খোদ ভারতের বিরুদ্ধে। তাই স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে তো ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়েই বাঁচতে হবে। নইলে পরাধীনতা অনিবার্য হয়ে উঠবে। এজন্যই মুসলিম হওয়ার অর্থ শুধু নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত নিয়ে বাঁচা নয়, বরং প্রতিক্ষণ জিহাদ নিয়ে বাঁচা। নইলে স্বাধীনতা বাঁচে না। আর স্বাধীনতা না বাঁচলে পূর্ণ ইসলাম পালনে কাজটিও হয় না। মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব এবং শরিয়তের প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের বহু বিধান শুধু কিতাবেই থেকে যায়। কোন ঈমানদার কি ইসলামের সে পরাজয় মেনে নিতে পারে? ইসলামের পরাজয় মেনে নেয়ার অর্থ তো শয়তান ও তার অনুসারীদের বিজয় মেনে নেয়া। সে পথ তো জাহান্নামের। ০৬/১২/২০২৪   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *