বিবেকহীন অসভ্যদের নির্মূল কেন অপরিহার্য?
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on October 11, 2019
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, বাংলাদেশ
- No Comments.
অসভ্যগণ শিক্ষক হয় কি করে?
গত ২০১৮ সালের ৩০’য়ে ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যা কিছু হয়েছে সেটি অতি অসভ্য ও নৃশংস রকমের এক ভোট ডাকাতি। কোন সভ্য দেশে এমন অসভ্য কর্মের কোন নজির নাই। বাংলাদেশেও নাই। এ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিল, ক্ষমতায় থাকার খাতিরে সে কতটা দস্যুবৃত্তিতে নামতে পারে। এবং দেখালো, সে কতটা নির্লজ্জ হতে পারে -সেটিও। মানুষ তাকে এ অপকর্মের জন্য কি বলবে বা ইতিহাসে সে কীরূপে চিত্রিত হবে -তা নিয়ে শেখ হাসিনার মনে ভাবনার লেশ মাত্র ছিল না। অথচ প্রতিটি সভ্য মানুষের মনে সে ভাবনাটাই প্রকট। অন্যরা কি বলবে -সে ভয়টি লোক-লজ্জা আছে এমন মানুষকে চুরি-ডাকাতির ন্যায় বদকর্ম থেকে দূরে রাখে। কারণ সভ্য মানুষ মাত্রই তো সমাজে সুনাম নিয়ে বাঁচতে চায়। হাসিনার চরিত্র সঠিক ভাবে বুঝার জন্য এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট।
প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ ডিসেম্বরের রাতে। এবং তা ঘটেছে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক। এ নিয়ে এমন কি বাংলাদেশের নিরক্ষর মানুষদের মাঝেও কোন বিতর্ক নেই। কারণ, নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ডাকাতিকে ডাকাতি রূপে চেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাগে না। উচ্চ পাওয়ারের চশমাও লাগে না। নিজের ভোট দিতে গিয়ে জনগণ নিজেরাই বুঝে গেছে তার ব্যালটটি স্বস্থানে নাই। সেটি ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। ফলে ভোট না দিয়েই তাকে ঘরে ফিরতে হয়েছে। ভোট ডাকাতির সাক্ষি তাই দেশের জনগণ। এরূপ ডাকাতির ফলে ডাকাতি হয়ে গেছে পুরা দেশ। এবং ডাকাতির ফসল গিয়ে উঠেছে ভারতের ঘরে। নবেন্দ্র মোদি হাসিনার দুর্বলতাটি বুঝে। জানে, হাসিনার পিছনে জনগণের ভোট নাই। জানে, ক্ষমতায় থাকতে হলে তার চাই ভারতের পাহারাদারি। হাসিনার অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভারত তাকে পুরাপুরি জিম্মি বানিয়ে ফেলেছে। ফলে যা ইচ্ছা তাই চুক্তির পর চুক্তি করে ছিনিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদের সাহস নাই, ইচ্ছেও নাই। এতে হাসিনার কোন ক্ষতি নাই, বরং তার বিশাল লাভটি হলো ক্ষমতায় থাকার। অথচ এরূপ অবৈধ ভাবে তার ক্ষমতায় থাকাতে ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের। কোন দেশের সভ্য ও বিবেকমান নাগরিক কি নিজ দেশের প্রতি এমন অসভ্য ও ক্ষতিকর কাজকে সমর্থন করতে পারে?
কে সভ্য এবং কে বিবেকবান –সে পরিচয়টি কি কখনোই ব্যক্তির বেশভুষায় ধরা পড়ে? সেটি অতি নিখুঁত ভাবে ধরা পড়ে অন্যায়, অসভ্য ও নৃশংসক কাজকে ঘৃণা করার মধ্য দিয়ে। সে সামর্থ্য চোর-ডাকাত, খুনি-ব্যাভিচারীদের থাকে না বলে্ই তারা অসভ্য। এবং এ অসভ্যদের কাজ হলো চুরি-ডাকাতি, খুন-ব্যাভিচারের ন্যায় নানারূপ অসভ্য কর্মে ডুবে থাকা এবং অন্যদের সে কাজে সমর্থণ দেয়া। এটিই তাদের সংস্কৃতি এবং এর মধ্যে জীবন কাটানোর মধ্যেই তাদের তৃপ্তি। একটি দেশে অশান্তির মূল কারণ, সে দেশের মশামাছি বা অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি নয়, বরং তারা হলো দুর্বৃত্ত শ্রেণীর মানুষ। আর্থিক স্বচ্ছলতা ও অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝেও তারা প্রকট অশান্তি ডেকে আনে। তাই বিদেশ থেকে অর্থাউপার্জন বাড়লে কি হবে, চোর-ডাকাত ও ক্ষমতালোভীদের উপদ্রবে তা সবই ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে কেবল দুর্ভোগ।
বাংলাদেশে এরূপ অসভ্য ও নৃশংস চোর-ডাকাত ও তাদের সমর্থকদের সংখ্যাটি বিশাল। দেহের রোগ যেমন গোপন থাকে না, তেমনি গোপন থাকে না চরিত্রের রোগও। দেহের রোগে মানুষ অসভ্য বা নৃশংস হয়না। কিন্তু ভয়ংকর রকমের অসভ্য ও নৃশংস দানব সৃষ্টি হয় চরিত্রের রোগে। তাই বাংলাদেশের বড় বড় ক্ষতিগুলো দেহের রোগের কারণে হচ্ছে না। সেটি হচ্ছে চারিত্রিক রোগের কারণে। দেশে বার বার ভোট ডাকাতি হয়, ডাকাতি হয় শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংকে, আবরার ফাহাদের ন্যায় হাজার হাজার মানুষ গুম-খুন ও অত্যাচারের শিকার হয় -তা তো এ চরিত্রের রোগের কারণেই। তবে বাংলাদেশীদের জন্য অতিশয় পরিতাপের বিষয় হলো, দেশে শুধু চোর-ডাকাতদের সংখ্যাই বিপুল হারে বাড়েনি। বেড়েছে তাদের সমর্থনকারীদের সংখ্যাও। অথচ কোন সভ্যদেশে ডাকাতদের কোন বন্ধু থাকে না। অথচ বাংলাদেশে যারা ভোট-ডাকাতদের সমর্থণ করে যে সব অসভ্য কুলাঙ্গারদের সংখ্যাটি বিশাল। এবং তাদের বসবাস কোন মদ-জুয়ার পল্লী বা পতিতা পল্লীতে নয়, সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গণে। খবরে প্রকাশ, ঢাকা বিশববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশী শিক্ষক গত ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে ডাকাতি না বলে সুষ্ঠ নির্বাচন বলেছে। সে তথ্যটি এক ছাত্র জমায়েতে বলেছেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই অপর একজন শিক্ষক। হয়তো অন্যান্য বিশববিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। এটি মাথায় ঝাঁকুনি লাগানোর মত বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কি ডাকাতপাড়া?
যারা চুরি-ডাকাতির সমর্থক হয়, তারাই তো চোর-ডাকাতদের সহচর হয়। প্রশ্ন হলো, এরূপ বিপুল সংখ্যক ডাকাত সমর্থক কি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলো? সভ্য দেশে বর্ণবাদ বা ফ্যাসীবাদকে সমর্থন করাও অপরাধ। এ অপরাধে কারো চাকুরি থাকে না। তবে প্রশ্ন হলো, শিক্ষক হওয়ার জন্য কি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী হওয়াটাই জরুরী? ডিগ্রি তো চোর-ডাকাতদেরও থাকতে পারে। ডিগ্রির চেয়েও বেশী জরুরী এবং অপরিহার্য হলো বিবেকবান হওয়া। কারণ অন্যায়কে ঘৃণা এবং ন্যায়কে ভালবাসার সামর্থ্যটি ডিগ্রি থেকে আসে না, আসে বিবেক থাকে। তাই বহু নিরক্ষর ব্যক্তিও বিবেকবান হয়। সে বিবেকের বলেই তারা ডাকাতিকে ডাকাতি বলে; এবং সে অসভ্য কর্মটিকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। কিন্তু সে সামর্থ্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষক অর্জন করতে পারেনি। বাংলাদেশে মূল সমস্যাটি তো এখানেই। বিবেক না থাকলে শিক্ষক হওয়া দুরে থাক, রাস্তার ঝাড়ুদার হওয়ার জন্যও তো সে বিবেকহীন ব্যক্তিটি অযোগ্য। কারণ ঝাড়ুদার হতে হলেও তো সততা লাগে। নইলে নির্মূল হয় না রাস্তার আবর্জনা। বাংলাদেশে একটি সভ্যদেশ হলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যারা ভোট ডাকাতির সমর্থক তাদের চাকুরি যেত। কারণ, সভ্যদেশের কাজ শুধু রাস্তা থেকে আবর্জনা সরানো নয়, শিক্ষাঙ্গণ থেকে বিবেকহীন অসভ্যদের সরানোও। কিন্তু বাংলাদেশে সবই সম্ভব। ভোট-ডাকাত যেমন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, তেমনি ডাকাতের সমর্থকগণও শিক্ষক হতে পারে।
অথচ শিক্ষককে শুধু জ্ঞানদান করলে হয় না, ছাত্রদের সামনে তাকে উন্নত চরিত্র ও মূল্যবোধের মডেল রূপেও নিজেকে পেশ করতে হয়। কিন্তু যারা ভোট-ডাকাত ও চোর ডাকাতদের সমর্থক -তারা সেটি পারে না। এমন শিক্ষকদের হাতে সভ্য মানুষের বদলে অসভ্য মানুষ সৃষ্টি হয়। এবং সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিললো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে। বুয়েটে যে অসভ্য ও নৃশংস খুনিরা আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করলো তারা কোন ডাকাত পাড়ায় বেড়ে উঠেনি। বেড়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই অবস্থা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বহু ছাত্র-ছাত্রী সেখানে খুন, গুম, আহত ও ধর্ষিতা হয়েছে। এরকম বিশ্ববিদ্যালয় দেশে হাজারটি হলেও কি দেশের কল্যাণ হবে? যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভয়ংকর ডাকাত –সে এরূপ দস্যুবৃত্তির নিন্দাই বা করবে কেমনে? কুকর্মের নিন্দাতেও তো উন্নত রূচি চাই।
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশ, জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কোটি টাকার ঘুষের সাথে জড়িত। এ কি কোন শিক্ষকের কাজ? অথচ সে ধরণের কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গণে। বহু শিক্ষককে দেখা গেছে ছাত্রীদের সাথে ব্যাভিচারে জড়িত হতে। মশামাছির কামড়ে দেশ ধ্বংস হয় না। বন্যাতে্ও ভেসে যায় না। ধ্বংস হয় এরূপ অসভ্য ও বিবেকহীন শিক্ষকদের কারণে। যারা এ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশকে দুর্বৃত্তিতে সমগ্র বিশ্বমাঝে ৫ বার শীর্ষস্থানে পৌঁছে দিয়েছিল -তারা কি কোন গ্রামে বা বস্তিতে শিক্ষা পেয়েছিল? তারা তো ছিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ডিগ্রিধারী। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে কীরূপ দুর্বৃত্ত উৎপাদনের বিশাল বিশাল কারখানা –এতো তারই প্রমাণ। চালক মাতাল হলে বা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালালে তো দুর্ঘটনা ঘটবেই। তেমনি শিক্ষাদানে দুবৃত্তি ও ফাঁকি চললে ছাত্ররা চরিত্রহীন, বিবেকহীন এবং নৃশংস খুনি রূপে তো বেড়ে উঠবেই। সেটি না হওয়াই তো বরং অস্বাভাবিক।
সভ্য রাষ্ট্রের নির্মাণে জিহাদ কেন অনিবার্য?
বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ অনেক। তবে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো, দুর্বৃত্ত শিক্ষকদের হাতে শিক্ষাঙ্গণের অধিকৃতি। শিক্ষকদের মূল ব্যর্থতা্টি হলো, সততা ও উন্নত চরিত্রের মডেল রূপে ছাত্রদের সামনে নিজেদের তুলে ধরার ব্যর্থতা। অথচ মানব সভ্যতার এটিই হলো সবচেয়ে পবিত্রতম কাজ। শিক্ষালাভ যেমন ইবাদত; তেমনি শিক্ষাদানও ইবাদত। যুগে যুগে শিক্ষাদানের সে কাজটি করেছেন নবী-রাসূলগণ। নামায-রোযা ফরজ হয়েছে অনেক পড়ে। কিন্তু জ্ঞানার্জন ফরজ হয়েছে কোরআন নাযিলের প্রথম দিন থেকেই। কিন্তু বাংলাদেশে একাজে যারা নেমেছে তাদের বিশাল সংখ্যাটি হলো দুর্বৃত্ত শ্রেণীর। ইবাদতের সে স্পিরিট তাদের মাঝে নাই। বরং তারা যে কতটা দুর্বৃত্ত -সেটির প্রমাণ রেখেছে বিগত ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে সুষ্ঠ নির্বাচন বলার মধ্য দিয়ে। তাদের মাঝে বিবেক বেঁচে থাকলে এরূপ ঢাহা মিথ্যাটি কি তারা কখনো বলতো? বাংলাদেশের বিবেকমান মানুষের উচিত এদের চিনে রাখা। কারণ দেশের ও দেশবাসীর নিরাপত্তা বাড়াতে শুধু বিষাক্ত শাপ ও পোকামাকড়কে চিনলে চলে না। চিনতে হয় এবং নির্মূল করতে হয় এরূপ অসভ্য দুর্বৃত্তদেরও।
যারা ইতিহাসে সভ্যতর সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে তারা সংস্কারের কাজটি কখনোই কৃষি, কলকারখানা বা পশুপালন দিয়ে শুরু করেনি। শুরুটি করেছিল মানব গড়া দিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশে সেটি হয়নি। বরং বাংলাদেশে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রগুলো হলো দু্র্বৃত্তদের অধিকৃত ভূমি। শিক্ষাঙ্গণ ব্যবহৃত হয় ছাত্রদের চরিত্রকে কলুষিত করার কাজে। ফলে মেধাবী ছাত্ররা এখানে এসে খুনি হয়। এবং ধর্ষক ও টেন্ডারবাজ হয়। এবং তাদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়েও মানুষ লাশ হয়। অনেকেই নির্যাতিত হয় এবং বহু ছাত্রী ধর্ষিতাও হয়। ক্ষমতাসীন দল এখান থেকে সংগ্রহ করে নিজ দলের জন্য জঙ্গি সৈনিক। জাগরণ মঞ্চের এক ইসলাম বিরোধী ব্লগার যখন নিহত হল, শেখ হাসিনা সাথে সাথে তার বাসায় ছুটে গিয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক। কিন্তু আবরার ফাহাদ শহীদ হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পরও শেখ হাসিনা দূরে থাক, বুয়েটের ভিসিও সেখানে ছুটে যায়নি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কাজ হলো সরকারি দলের খুনিদের নিরাপত্তা দেয়া। তখন অসম্ভব হয়, সরকারি দলের খুনিদের হাতে যারা শহীদ হয় তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো।
তাই বাংলাদেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হলে স্রেফ মশামাছি মারলে চলবে না। রাস্তার আবর্জনা সরালেও চলবে না। বরং শিক্ষাঙ্গণ থেকে নির্মূল করতে হবে দুর্বৃত্ত চরিত্রের ভিসি, শিক্ষক ও ছাত্র নামধারী খুনিদের। কোন রাষ্ট্রে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকতে পারে না। সমাজের বুকে এ দুর্বৃত্তরাই হলো সবচেয়ে অসভ্য, নৃশংস ও বিবেকহীন জীব। এদের কারণে অসম্ভব হয়, সভ্য-সমাজের নির্মাণ। দেশের পতিতাপল্লী, গাঁজার আখড়া, জুয়ার আসরগুলি চোর-ডাকাতদের দখলে গেলে দেশ ধ্বংস হয় না। কিন্তু দেশ ধ্বংস হয় দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বৃত্তদের দখলে গেলে। অথচ বাংলাদেশে সেটিই হয়েছে। কোন দেশের সভ্য নাগরিক কি এ অবস্থায় নীরব ও নিস্ক্রীয় থাকতে পারে? সে নিস্ক্রীয়তায় কি সভ্যতা ও ভদ্রতা বাঁচে? সভ্য মানুষের পরিচয় তো এটাই, সে শুধু নিজ ঘরের আঙ্গিনা থেকেই আবর্জনা সরা্য় না, আবর্জনা নির্মূল করে রাষ্ট্রের অঙ্গণ থেকেও। ইসলামে তো এটিই হলো পবিত্র জিহাদ। সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণের মধ্য দিয়েই তো উন্নত সভ্যতা নির্মিত হয়। একাজে নবীজী (সাঃ)র হাজার হাজার সাহাবা শহীদ হয়েছেন। স্রেফ দোয়ায় কাজ দেয়নি। মুসলিমগণ অতীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতা নির্মাণ করতে পেরছিলেন দুর্বৃত্ত নির্মূলের জিহাদে সফল হওয়াতে। সভ্য রাষ্ট্রের নির্মাণে বাংলাদেশেও কি এ ছাড়া ভিন্ন পথ আছে? ১১/১০/২০১৯
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
- সংবিধানে প্রতিটি ব্যক্তির রায়ের ইজ্জত সুনিশ্চিত করত হবে
- একাত্তর প্রসঙ্গ, কিছু আলেমের বিভ্রান্তি এবং মুসলিমের জিহাদে কবিরা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018