ভোটডাকাত হাসিনা সরকার ও চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীদের কোয়ালিশন এবং ভোটডাকাতির নতুন প্রস্তুতি

ফিরোজ মাহবুব কামাল

চোর-ডাকাত ও ভোটডাকাতদের নেশাগ্রস্ততা

চুরি-ডাকাতির প্রতি চোর-ডাকাতদের থাকে প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ততা। হিরোইনসেবীরা সহজে হিরোইন ছাড়তে পারে না। কারণ, হিরোইনের প্রতি তাদের প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ততা। সেরূপ অবস্থা চোর-ডাকাতদের মাঝেও। অর্থ কারো হাতে এমনিতেই আসে না। অর্থ উপার্জন করতে দিবা-রাত্র ভাবতে হয়। কর্মে নেমে মেধা ও শ্রম ব্যয় করতে হয়।  জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। কিন্তু যারা চোর-ডাকাত, তাদের সেরূপ মেহনত করতে হয় না। তারা বরং চুরি-ডাকাতিতে নামে। বছরের পর মেহনত করে সৎ, মেধাবী ও পরিশ্রমী মানুষেরা যা কিছু উপার্জন করে, চোর-ডাকাতগণ তা ঘণ্টা খানেকের মধ্যে লুটে নেয়। এরূপ চুরিডাকাতির মধ্যেই তারা আনন্দ পায়। এ নিয়েই তাদের জীবনে গর্ব ও উৎসব। তাদের সর্বক্ষণের ভাবনা, কি করে নতুন চুরি বা ডাকাতি করা যায় তা নিয়ে। এরাই গণমানুষের পরম শত্রু।                                                                                           

বিষয়টি অবিকল একই রূপ ভোটডাকাতদের ব্যাপারেও। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে জনপ্রিয়তা চাই। জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষা, মেধা, যোগ্যতা ও সুকর্ম চাই। জনগণের ভোট পেতে বছর পর বছর জনগণের মাঝে কাজ করতে হয়। নিজের যে যোগ্যতা আছে -সেটির প্রমাণ দিতে হয়। কিন্তু ভোটডাকাতিতে সেরূপ কোন যোগ্যতা লাগে না। লাগে স্রেফ ভোটডাকাতির সামর্থ্য। চাই বিশাল ডাকাত বাহিনী। ডাকাত দল ও ডাকাতির দক্ষতা থাকলে তারা এক রাতে সমগ্র দেশবাসীর ভোট ডাকাতি করে নিতে পারে। ভোটডাকাতগণ এজন্যই রাজনৈতিক যোগ্যতা অর্জনের বদলে রাজনীতির ময়দানে এবং প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীতে ডাকাত সংগ্রহ করে। তাদের দিয়েই জনগণের ভোট তারা ডাকাতি করে নেয়। শেখ হাসিনা সেটিই করেছে ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনপূর্ব রাতে।

নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় ব্যালট পেপার গুণে। কিন্তু সে ব্যালট পেপার কখনোই ভোটারদের হাতে থাকে না। সেগুলি থাকে পুলিশ ও সরকারি প্রশাসনের হেফাজতে। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের লোকেরা যদি তাদের হেফাজতে থাকা ব্যালটগুলোতে নিজেরাই তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সিল মারে এবং ব্যালেট বাক্সে ঢুকিয়ে দেয় -তবে জনগণ সেটি রোধ করতে পারে না। এভাবেই ভোটডাকাতি হয়। ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বরের আগের রাতে সেটি ঘটেছে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে। এটাই হলো সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভোট ডাকাতি। সেটি সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশে এবং সেটি ভোটডাকাতিতে নেতৃত্ব দিয়েছে শেখ হাসিনা। বহু কুখ্যাত চোরডাকাত-অপরাধীদের ন্যায় হাসিনাও ইতিহাসে এ লিগ্যাসি নিয়ে বহু কাল বেঁচে থাকবে।

 

ভোটডাকাতির অকাঠ্য প্রমাণ

চোর-ডাকাত, ধর্ষক বা খুনিরা প্রতিটি অপরাধ করে অতি সতর্কতার সাথে। কিন্তু তারপরও সে অপরাধের সকল আলামত তারা গোপন রাখতে পারেনা। প্রমাণ রেখে যায়। প্রতিটি অপরাধ তদন্তে সে আলামতগুলি পথ দেখায়। এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয় এবং বিচারে শাস্তি হয়।

ভোটডাকতির সেরূপ সুস্পষ্ট আলামত রেখে গেছে শেখ হাসিনার ডাকাত বাহিনীও। ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বরের ভোটডাকাতির ছয় মাস পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। উক্ত রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে, ঐ নির্বাচনে ১০৩ টি আসনের ২১৩ টি ভোটকেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগ ভোট প্রদান করা হয়। এটি অবিশ্বাস্য। শুধু বাংলাদেশ আমলে নয়, এমনকি পাকিস্তান আমলেও যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলির কোনটিতেই শতকরা ৭০ ভাগের বেশী ভোট দান হয়নি। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতেও কোন নির্বাচনে শতকরা ৬০ ভাগের বেশি ভোট পড়ে না। তাই প্রশ্ন হলো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কি করে সম্ভব হলো যে ২১৩ টি ভোটকেন্দ্রে সবাই অর্থাৎ শতকরা ১০০ ভাগ ভোটার ভোট দিল? ভোটার তালিকা করা হয়েছে কিছু বছর আগে। ফলে সে তালিকার অনেকেই সেদিন জীবিত ছিল না। তাছাড়া প্রবাসী ভোটাদের অনেকেই সেদিন দেশে ছিল না। অনেকে হয়তো গুরুতর অসুস্থ ছিল, ফলে তাদের পক্ষে ভোট দিতে আসা অম্ভব ছিল। তাই শতকরা শতভাগ ভোটারের ভোটদান কি বিশ্বাস করা যায়? এমনটি একমাত্র ডাকাতিতেই সম্ভব। কারণ ভোটডাকাতি কালে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে সিল দেয়া লাগে না। ব্যালট পেপারে সিল মারার সে কাজটি করে দেয় যে প্রশাসনের বা পুলিশের লোকজন। কারণ, একমাত্র তাদের কাছেই থাকে ব্যালট পেপার এবং সিল। কে বেঁচে আছে বা কে দেশে আছে -সে বিচারের সামর্থ্য বা গরজ তাদের থাকে না। ফলে শতকরা শত ভাগ ব্যালটে সিল মারা তাদের জন্য অতি সহজ হয়ে যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তো সেটিই হয়েছে।

নির্বাচনী কমিশনের উক্ত রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ১ হাজার ২০৫ টি ভোটকেন্দ্রে শতকরা ৯৬ থেকে ৯৯ ভাগ ভোট পড়ে। এটাও কি বিশ্বাস করা যায়? উক্ত রিপোর্টে আরো বলা হয়, ৬,৪৮৪ কেন্দ্রে শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ভোট পড়ে। এবং বলা হয় ১৫,৭১৯ টি ভোট কেন্দ্রে শতকরা ৮০ থেকে ৮৯ ভাগ ভোট পড়ে। যে কোন সুষ্ঠ নির্বাচনে এটি অসম্ভব। এরূপ অসম্ভবকে সম্ভব করা একমাত্র ভোটডাকাতির মাধ্যমে সম্ভব। ২০১৮ সালে সংঘটিত ভোটডাকাতির পক্ষে এ হলো মোক্ষম দলিল।

 

বাংলাদেশ কি জঙ্গল?

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ কি একটি জঙ্গল? জঙ্গলে চুরি-ডাকাতি হলে, কেউ খুন বা ধর্ষিতা হলে সেখানে বিচার হয় না। কারণ, সেখানে আদালত থাকে না। প্রশাসন ও পুলিশ থাকে না। ফলে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলার সুযোগ থাকে না। প্রশ্ন হলো বাংলাদেশও জঙ্গলের চেয়ে ভিন্নতর? এখানে কি আইনের শাসন আছে? আছে কি পুলিশ? আছে কি আদালত এবং বিচারক? প্রতিটি সভ্য দেশে জনগণ রাজস্ব দিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং আদালতের বিচারকদের প্রতিপালন দেয় এজন্য যে, তারা আইনের শাসন পাবে। এজন্য যে তাদের জান, মাল, ইজ্জত ও রায় সুরক্ষা পাবে। দুর্বৃত্তদের শাস্তি দেয়া হবে। অথচ বাংলাদেশে সেটি হয়না। যেমন হয় না কোন গহীন জঙ্গলে। বাংলাদেশে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেল পুলিশের চোখের সামনে। আদালতের বিচারকদের চোখের সামনেও। কিন্তু এতো বড় অপরাধেরও কোন বিচার হলো না। ফলে কোন ভোটডাকাতেরই শাস্তি হলো না। শাপলা চত্বরে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হলো, অথচ কোন খুনিরই বিচার হলো না। অথচ কোন অপরাধ না করেও দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর ন্যায় বহু আলেম বছরের পর বছর আজ জেলবন্দী।  

আদালতের সামনে যখন কোন অপরাধ ঘটে এবং সে অপরাধ নিয়ে কেউ যদি বিচার না চায় তবুও আদালতের দায়িত্ব হলো, তা নিয়ে বিচারে উদ্যোগী হওয়া। দায়িত্ব হলো, অপরাধীকে খুঁজে বের করা এবং শাস্তি দেয়া। আইনের ভাষায়  একেই বলে সুয়োমোটো। এখানে আদালত নিজেই বিচারে উদ্যোগী পক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ ও আদালত দেশবাসীর ভোটডাকাতির ন্যায় গুরুতর অপরাধ দেখেও না দেখার ভান করেছে। তারা বিচারে আগ্রহ দেখায়নি। যেন বাংলাদেশে ভোট ডাকাতির ন্যায় গুরুতর কোন অপরাধ সংঘটিতই হয়নি। ফলে গহীন জঙ্গলের বিচারহীন অসভ্যতা থেকে বাংলাদেশ  উন্নত বা ভিন্নতর হয় কি করে?

কত বড় তাজ্জবের বিষয় যে, এত বড় ভোটডাকাতি হওয়ার পরও নির্বাচনী কমিশন সেটিকে সুষ্ঠ নির্বাচন বলেছে। কি মিথ্যাচার! সুস্পষ্ট ডাকাতির পক্ষে কি কদর্য উকালতি! গরু-ছাগলের সামনে কোন চুরি-ডাকাতি হলে গরু-ছাগলেরা তার প্রতিবাদ করে না। কেউ ধর্ষিত হলে বা খুন হলেও প্রতিবাদে হয় না। বাংলাদেশে তো সেটি হলো। যাদের উপর বিচারের দায়িত্ব ছিল, তাদের দ্বারাও এ অপরাধের কোন বিচার হলো না। এরূপ জঘন্য ডাকাতির বিরুদ্ধেও কোন প্রতিবাদ হলো না। এমনকি এরূপ ডাকাতির নিন্দাও হলো না। এরূপ কদর্য বিবেকহীনতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগণও পিছিয়ে থাকেনি। তারা দল বেঁধে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠ ছিল! এটি কি কোন সভ্য জনগণ ও সভ্য রাষ্ট্রের আলামত? একটি সভ্য রাষ্ট্র রূপে বেড়ে উঠতে বাংলাদেশ কতটা ভয়ানক ভাবে ব্যর্থ -সেটি কি এরপরও গোপন থাকে? এরূপ কদর্য ব্যর্থতা কি কয়েকটি ব্রিজ, মেট্রো লাইন বা ফ্লাই ওভার গড়ে লুকানো যায়?

 

কোয়ালিশন ভোটডাকাত ও  চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীদের

বাংলাদেশে ভোটডাকাত হাসিনা সরকার এবং চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীদের কোয়ালিশন যে কতটা গভীর -সেটি ক’দিন আগে আবার নতুন করে জনগণের সামনে প্রকাশ পেল। ক’দিন আগে ঢাকায় বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা একটি সম্মেলন করেছে। সে সম্মেলনে ভোটডাকাত হাসিনাও  উপস্থিত ছিল। সে অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা সারাক্ষণ কীর্তন গেয়েছে ভোটডাকাত হাসিনার প্রশংসায়। তাদের এজেন্ডাটি সুস্পষ্ট। অতি জোর গলায় তারা বলেছে, হাসিনাকে তারা আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়।

একজন ব্যক্তি কত বড় দুর্বৃত্ত ও অপরাধী সেটি কখনোই গোপন থাকে না। সে বুঝা যায়, আরেক অপরাধী দুর্বৃত্তকে সমর্থন করার মধ্য দিয়ে। কোন ভালো মানুষ কখনোই কোন চোর-ডাকাত ও ভোটডাকাতকে সমর্থন করে না। ঝাঁকের কই যেমন ঝাঁকে চলে, চোরডাকাতেরাও তেমনি ঝাঁকে চলে। প্রতিটি ভাল মানুষ মাত্রই চোর ডাকাতদের নির্মূল চায়। সেটি না চাওয়াটাই বেইমানী ও দুর্বৃত্তি। একমাত্র চোর ডাকাতরাই চোর ডাকাতদের সমর্থন দেয় ও তাদের বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তাই হাসিনাকে সমর্থন দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা প্রমাণ পেশ করলো, তারা নিজেরাও কত বড় দুর্বৃত্ত ও অপরাধী।

ভোটডাকাত হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ব্যবসায়ী চোরডাকাতদের বিশাল লাভ। কারণ, তখন তারা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিতে পারে এবং সে টাকা আর ফেরত দেওয়া লাগে না। একমাত্র ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোও একই রূপ লুটপাটের শিকার। তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে শেয়ার মার্কেট থেকে। ‌তারা রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যের নামে ওভার ইনভয়ের্সিং এবং আন্ডার ইনভয়ের্সিং করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ‌ এই দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীরাই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং কানাডার মতো দেশে বিশাল বিশাল বাড়ি কিনেছে। এরূপ অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে ‌তারা বিদেশে বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। ভোটডাকাত হাসিনার সরকার এদের প্রটেকশন দিচ্ছে। ফলে শোষণের শিকার বাংলাদেশের শ্রমিকগণ। বিশ্বে সবচেয়ে কম বেতন পায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকগণ। আন্দোলন করলে শ্রমিক নেতাদের গুম বা খুন করা হয়। দুর্বৃত্ত এ ব্যবসায়ীরাও প্রটেকশন দিচ্ছে হাসিনাকে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে এই চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীরা ভোটডাকাত হাসিনার সাথে একত্রে জনগণের ভোট আবার ডাকাতি করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে।

 

অবশ্যই কোয়ালিশন গড়তে হবে জনগণকেও

বাংলাদেশের বুকে অপরাধ জগতের সকল দুর্বৃত্ত অপরাধীরা আজ একতাবদ্ধ। দেশ আজ তাদেরই দখলে। এরা একে অপরকে প্রতিরক্ষা দিচ্ছে। ভোটডাকাত হাসিনা যেমন চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দিচ্ছে, তেমনি চোর-ডাকাত ব্যবসায়ীগণ সুরক্ষা দিচ্ছে ভোটডকাত হাসিনাকে। ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে সে অঙ্গিকারই পুণরায় ঘোষিত হলো। অথচ জনগণ আজ বিভক্ত। বিভক্তির শিকার হলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

অপরাধীদের চলমান এ দখলদারী থেকে বাঁচতে হলে জনগণকেও অবশ্যই একতাবদ্ধ হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে একতাবদ্ধ হতে হবে। গ্রামে ডাকাত পড়লে সবাই মিলে ডাকাত তাড়াতে হয়। বিভক্তি ডাকাতদের বিজয়ী করে। সেটি রাজনীতির ক্ষেত্রেও। বিভক্তি এজন্যই ইসলামে হারাম। বিভক্তি থাকলে ভোটডাকাতদের শাসনই দীর্ঘায়ীত হয়। তখন তান্ডব বাড়ে শুধু ভোটডাকাতদের নয়, চোরডাকাত ব্যবসায়ীদেরও।

ইসলামে সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো দুর্বৃত্তির নির্মূল ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জিহাদ। সুরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা মুসলিমদের সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত বা জনগোষ্ঠি বলে সম্মানিত করেছেন। সেটি এজন্য নয় যে, তারা বেশী বেশী নামাজ-রোজা ও দোয়া-দরুদ পাঠ করে এবং বেশী বেশী মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। বরং এজন্য যে তারা দুর্বৃত্তির নির্মূল করে এবং সুবিচারের প্রতিষ্ঠা দেয়। উপরুক্ত আয়াতটির আরেকটি অন্তর্নিহিত সত্য হলো, এ জগতে তারাই সর্বনিকৃষ্ট জনগোষ্ঠি যারা সত্য, সুনীতি ও সুবিচারের বদলে মিথ্যা, দুর্বৃত্তি ও অবিচারকে প্রতিষ্ঠা দেয়। অথচ পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশে বিশাল বিজয়টি মিথ্যা, দুর্বৃত্তি ও অবিচারের। হাসিনার ন্যায় দুর্বৃত্ত ভোটডাকাতের শাসন এবং গুম, খুন,ধর্ষণ, চুরিডাকাতি ও ভোটডাকাতির প্লাবন কি এটিই প্রমানিত করে না যে দেশটি এ পৃথিবী পৃষ্ঠে সর্বনিকৃষ্ট জনগোষ্ঠি হওয়ার পথটিই বেছে নিয়েছে? এ অবস্থায় কোন সুস্থ, সভ্য ও ঈমানদার ব্যক্তি কি কখনো নিরব ও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে? ২৩/০৭/২০২৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *