হাসিনার হেলাপড়া দেয়ালে শক্ত ধাক্কা দেয়ার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়
- Posted by Dr Firoz Mahboob Kamal
- Posted on July 18, 2024
- Bangla Articles, বাংলাদেশ
- No Comments.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
ধ্বনিত হচ্ছে জিহাদের আযান
যে জনপদে মুসলিমদের বসবাস, সেখানে শুধু নামাজের আযানই ধ্বনিত হয়না, ধ্বনিত হয় জিহাদের আযানও। নামাজ-রোজার বিধান ব্যক্তির পরিশুদ্ধির প্রয়োজনে। আর জিহাদ পরিশুদ্ধি আনে সমাজ ও রাষ্ট্র জুড়ে। যখন কোন মুসলিম ভূমি ইসলামের শত্রুশক্তির হাতে অধিকৃত হয় এবং বিলুপ্ত হয় মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তাঁর শরিয়তী আইন, তখন সে ভূমিতে লাগাতর ধ্বনিত হয় জিহাদের আযান। নামাজের আযান দেয় মোয়াজ্জিন। কিন্তু জিহাদের আযান দেন খোদ মহান আল্লাহতায়ালা। মহান আল্লাহতায়ালার সে আযান শোনা যায় পবিত্র কুর’আনের ছত্রে ছত্রে। নামাজের ধ্বনিত হয় দিনে পাঁচবার। কিন্তু জিহাদের আযান ধ্বনিত হয় প্রতিদিন এবং প্রতিক্ষণ। নামাজে ক্বাজা আছে, কিন্তু জিহাদে কোন ক্বাজা নাই। জিহাদের আযানে সাড়া না দিলে মুনাফিক হতে হয়।
মুনাফিকদের অপরাধটি বিশাল। তারা নিজেদের মুসলিম রূপে পরিচয় দিলেও সাড়া দেয় না জিহাদের আযানে। তাদের কারণে দেশ অধিকৃত হয় দুর্বৃত্তদের হাতে। তখন দেশে প্লাবন আসে গুম, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, চুরি-ডাকাতি, ভোটডাকাতি, স্বৈরাচার, জুলুম ও নির্যাতনের। দেশ তখন দুর্বৃত্তিতে বার বার বিশ্বরেকর্ড গড়ে। এ পৃথিবী পৃষ্ঠে সেরূপ একটি দেশ হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ পরিণতির জন্য দায়ী মুসলিমের লেবাসধারী মুনাফিকগণ। তারা কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্ট। কারণ, কাফিরগণ ভন্ড নয়। মুনাফিকগণ ঘরের শত্রু। তারা মুসলিমের পরিচয় নিয়ে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মুসলিম দেশগুলিকে ক্ষু্দ্রতর করা ও শরিয়তের বিলুপ্তিসহ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় বড় ক্ষতিগুলি হয়েছে এই মুনাফিকদের হাতে।
বাংলাদেশে আজ ডাকাতের শাসন
বাংলাদেশে আজ ডাকাতের শাসন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোটের উপর ডাকাতি করে। হাসিনার বড় পরিচয়, সে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের চিহ্নিত সেবাদাস। ভারত যা চায় তা দেয়া নিয়েই তার গর্ব। তার ভোটডাকাতি ও নৃশংস জুলুমকে নিঃশর্ত সমর্থন দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও তার দলের যুদ্ধ যেমন ইসলামের বিরুদ্ধে, তেমনি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে। তারা শুধু দেশের সম্পদের উপরই ডাকাতি করে না, তারা ডাকাতি করে জনগণের ভোটের উপরও। চাকুরিতে কোটা সিস্টেম দিয়ে ডাকাতি করে ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের উপর।
ডাকাতগণ চোর-ডাকাত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতে ভালবাসে। তারা তাদেরকে ডাকাতির ভাগীদার বানায়। সেটি হাসিনারও নীতি। তারই প্রমাণ, হাসিনার বাড়ির পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সে হেলিকপ্টারে চলাফেরা করে। এটি হাসিনার নিজের স্বীকারুক্তি। দেশের ব্যাংক ও ট্রেজারী থেকে হাজার হাজার কোটি ডাকা ডাকাতি করে নিয়েছে এসব ডাকাতগণ। এরা ১০ হাজার কোটি টাকার বেশী ডাকাতি করে নিয়েছে একমাত্র ইসলামী ব্যাংক থেকে। কোন সভ্য নাগরিক কি চোর-ডাকাতদের এমন অসভ্য শাসন মেনে নিতে পারে? নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা তো হাসিনার ন্যায় অপরাধীকে শুধু চুরি-ডাকাতিতেই উৎসাহ যোগাবে।
যেকোন দেশে চোর-ডাকাতদের শাস্তি দেয়া হয়। সেটিই সভ্য রীতি। কিন্তু বাংলাদেশে এ অপরাধীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাই ভোটডাকাতি করেও হাসিনা আজ ক্ষমতা। যে কোন সভ্য দেশে অপরাধীদের শাস্তি দেয় আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে শাস্তি দেয়ার সে ক্ষমতা আদালতের বিচারকদের হাত থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে গোলাম বানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেতাদের ফাঁসি ও জেল দিতে। যেসব অতি ঘৃণ্য কাজ হাসিনা নিজে করতে ভয় পায় -সে কাজকে আদালতকে দিয়ে করিয়ে নেয়। নিরাপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসি দেয়া এবং চাকুরিতে কোটা পদ্ধতির বহাল হলো তার উদাহরণ। জনগণের কথা বলা, মিটিং-মিছিল করা ও নির্বাচনে অংশ নেয়ার ন্যায় মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারকে কবরে পাঠানো হলেও আদালত নীরব থাকে। অথচ সভ্যদেশে আদালত অপরাধীদের কাঠগড়ায় তোলে।
মহল্লায় ডাকাত পড়লে ডাকাত তাড়ানোর আযান ধ্বনিত হয়। সভ্য দেশে সে আযানে সাড়া দেয় প্রতিটি সভ্য মানুষ। বাংলাদেশ আজ ডাকাত দলের দখলে। ফলে ডাকাত তাড়ানোর আযান ধ্বনিত হচ্ছে প্রতিটি মহল্লা থেকে। কিন্তু ক’জন সাড়া দিচ্ছে সে আযানে? এ বিপদের মুহুর্তে নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকা কি কম অপরাধ? নীরব ও নিষ্ক্রিয়তা তো ব্যক্তিকে মুনাফিক বানায়। মুসলিমদের গৌরব কালে মুসলিম মহল্লায় শুধু নামাযের আযানই ধ্বনিত হতো না, জিহাদও সংগঠিত হতো। মোঙ্গল দখলদারির বিরুদ্ধে জিহাদ সংগঠিত হয়েছে জনগণের স্তর থেকে। ইংরেজ হামলার বিরুদ্ধে ইরানে এবং সোভিয়েত হামলার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে সেরূপ জিহাদ সংগঠিত হয়েছে জনগণের পক্ষ থেকে। সে জিহাদ বিজয়ীও হয়েছে। কারণ জিহাদকে বিজয়ী করাই সর্বশক্তিমান আল্লাহর সূন্নত। মুসলিমদের দায়িত্ব স্রেফ লড়াইকে বিশুদ্ধ জিহাদে পরিণত করা। সে দায়িত্ব বাংলাদেশের জনগণেরও। বুঝতে হবে, নিষ্ক্রিয়তা ও নীরবতা নিয়ে কেউ কখনো জান্নাতে যাবে না; তাকে শত্রুর নির্মূলে এবং ইসলামের বিজয়ে অবশ্যই সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হয়। ইসলামে সেটিই সর্বোচ্চ ইবাদত তথা জিহাদ। একটি দেশে চোর-ডাকাতদের শাসন আদৌ বিলুপ্ত হবে কিনা এবং কোন সভ্য রাষ্ট্র আদৌ নির্মিত হবে কিনা -সে বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে এই জিহাদের উপর।
হাসিনার হেলে পড়া দেয়ালে জোরে ধাক্কা দেয়ার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়
ভোটডাকাত হাসিনা ও তার ডাকাত বাহিনীর এখনোই সবচেয়ে দুর্বল সময়। রাজপথ আজ লড়াকু ছাত্র-ছাত্রীদের দখলে। হাসিনার অনুগত ছাত্রলীগ এখন ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাড়ছে। পুলিশও তাদের বাঁচাতে পারছে না। অনেকে ছাত্রলীগ নেতা থেকে দল থেকে পদত্যাগ করছে। পুলিশ ও সরকারি প্রশাসনের কর্মচারিরাও বুঝতে পেরছে কোটা সিস্টেমে তাদের সন্তানেরা চাকুরি পাবে না। ফলে তারাও ডাকাত হাসিনার সঙ্গ ছাড়ছে। হাসিনার তার বিগত ১৫ বছেরর বেশী কাল শাসনে আর কখনোই এতটা বিপদে পড়েনি। ফলে হাসিনার হেলে পড়া দেয়ালে জোরে ধাক্কা দেয়ার এখনোই শ্রেষ্ঠ সময়। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবেনা। এসুযোগ ছাড়লে আরো বহু বছর ডাকাতদের শাসন ভুগতে হবে।
বাংলাদেশীদের জন্য মূল ইস্যু চাকুরির কোটা সিস্টেম নয়। বরং সবচেয়ে বিপদজনক ইস্যুটি হলো ভোটডাকাত হাসিনার হাতে সমগ্র দেশ ডাকাতী হয়ে যাওয়ার। জনগণকে বাঁচতে হচ্ছে ডাকাতদের জুলুম নিয়ে। তাই ইস্যু শুধু ছাত্রদের চাকুরি বাঁচানো নয়, মূল ইস্যুটি দেশ বাঁচানোর। এটা নিশ্চিত যে, এ তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা কোটা বিলুপ্তির দাবী মেনে নিবে -যেমন পূর্বে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তাতে আন্দোলন থামালে দেশকে ডাকাতমুক্ত করার কাজটি সফল হবে না। সেটি হবে ছাত্রদের অতি স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী আচরণ। তখন হাসিনা ও তার ডাকাতেরাই ক্ষমতায় থেকে যাবে। এবং এ স্বার্থপরতা ও সুবিধাবাদী নীতির জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা যুগ যুগ নিন্দা কুড়াবে।
তাই আজকের কোটাবিলুপ্তির আন্দোলনকে অবশ্যই ডাকাতদের দখলদারি বিলুপ্তির আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এমন একটি আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ছিল বহু বছর আগে থেকেই। এখন শুরু হয়েছে তখন এ আন্দোলনকে কখনোই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। চলমান এ আন্দোলনকে সফল করার মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীগণ ইতিহাসে তাদের জন্য এক সম্মানজনক অমর স্থান করে নিতে পারে। বাংলাদেশের মজলুম মানুষ অধির আগ্রহে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
এ লড়াই পরিণত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতে
ঈমানদারের লক্ষ্য হতে হয়, সে তাঁর প্রতিটি কথা ও কর্মকে ইবাদতে পরিণত করবে। ইবাদতের এ প্রেরণা নিয়ে বাঁচার মধ্যেই মু’মিনের ঈমানদারী। বেঈমানের জীবনে সে তাড়না থাকে না, তাই সে বেঈমান। সে ইবাদতটি সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতে পরিণত হয় যখন সেটি পরিণত হয় দুর্বৃত্ত জালেম শাসকের বিরুদ্ধে জিহাদে। বুঝতে হবে ভোটডাকাত হাসিনার ন্যায় প্রতিটি দুর্বৃত্ত জালেম শাসকের অবিরাম যুদ্ধটি যেমন জনগণের বিরুদ্ধে, তেমনি ইসলামের বিরুদ্ধেও। তাই জালেম-অধিকৃত মুসলিম দেশের প্রতিটি জনপদই কারবালা। এবং প্রতিটি দিনই হলো আশুরা। তাই ঈমানদারকে প্রতি মুহুর্ত বাঁচতে হয় ইমাম হোসেন (রা:)’র আদর্শ নিয়ে। সেটি হলো দুর্বৃত্ত শক্তির নির্মূলের যুদ্ধ। পবিত্র কুর’আনে এ যুদ্ধকেই আল্লাহর পথে জিহাদ বলা হয়। এ জিহাদই হলো ইসলামে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। ঈমানদার কখনোই এজিদের সহযোগী হয়না।
বুঝতে হবে, মহান আল্লাহতায়ালার পথে জিহাদ ভিন্ন প্রতিটি লড়াই বা যুদ্ধই হলো হারাম। সেগুলি যেমন যুদ্ধাপরাধ, তেমনি ফিতনা। পবিত্র কুর’আনে ফিতনাকে মানব হত্যার চেয়েও জঘন্য বলা হয়েছে। কারণ খুনি কাউকে জাহান্নামে নেয় না। কিন্তু ফিতনা নাই। বস্তুত ফিতনা তো তাই -যা ইসলাম পালন ও ইসলামের বিজয়কে অসম্ভব করে। শেখ মুজিব বাঙালি মুসলিমদের সামনে জিহাদ নয় একটি ফিতনা উপহার দিয়েছিল -যাতে হাজাযর হাজার মানুষের প্রাণনাশ হয়েছিল। এবং উপহার দিয়েছিল ভারতের গোলামী। উপহার দিয়েছিল বাকশালী ফ্যাসিবাদ। তাই মুজিব হলো বাঙালি মুসলিমের সমগ্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড়শত্রু এবং ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের সবচেয়ে বড় বন্ধু।
শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল এজেন্ডা হলো তার পিতার লিগাসীকে বাঁচিয়ে রাখা। সেটি যেমন ভারতের গোলামী, তেমনি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তাই হাসিনাকে চিনতে হলে তার রাজনীতির এজেন্ডাকে বুঝতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রতিটি বাঙালি মুসলিমের উপর দায়িত্ব হলো ভোটডাকাত হাসিনার ন্যায় দুর্বৃত্তের নির্মূলে জিহাদ নিয়ে বাঁচা। এবং সতর্কতার সাথে বাঁচতে হবে ইসলামশূণ্য ব্যক্তিদের সৃষ্ট ফিতনা ও ইসলামশূণ্য সেক্যুলার যুদ্ধ থেকে। প্রতিটি লড়াইকে পরিণত করতে হবে আল্লাহর পথে জিহাদে তথা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতে। এটি মুসলিমের এক ঈমানী দায়বদ্ধতা। সে জিহাদে নিহত হলে জুটে শাহাদতের মর্যাদা। নইলে খেয়ানত হয় আল্লাহতায়ালা-প্রদত্ত আমানতের।
জিহাদের ক্ষমতা অপরিসীম। জিহাদ শুধু জান্নাতের পথই দেখায় না, বিজয়ের পথও দেখায়। জিহাদের পথ ধরেই কুর’আনের আলো মদিনার বুক থেকে বহু হাজার মাইল দূরের বাংলার বুকে এসে পৌঁছেছিল। বাংলার মুসলিমদের জন্য এটিই হলো মহান আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। সেদিন জিহাদীগণ বিজয়ী না হলে বাঙালি মুসলিমদের মুর্তি,সাপ-শকুন,গরু-ছাগল,পাহাড়-পর্বতের পূজারী রূপে নিশ্চিত জাহান্নামে পৌঁছতে হতো।
কিন্তু মহান তুর্কি বীর ইখতিয়ার মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ও তাঁর ১৭ জন সহযোদ্ধার যে জিহাদ বাংলার উপর ইসলামের বিশাল বিজয় এনেছিল -সে জিহাদের সূন্নত বাংলার ১৬ কোটি মুসলিম ধরে রাখতে পারিনি। এটিই হলো বাঙালি মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। জিহাদ নিয়ে বাঁচতে শিখেনি বলেই বাংলার মুসলিমগণ যে শুধু ঔপনিবেশিক ইংরেজদের হাতে পরাজিত হয়েছে -তা নয়; পরাজিত হয়েছে শয়তানের বাঙালী এজেন্টদের হাতেও। বহু লক্ষ মসজিদ-মাদ্রাসা ও কোটি কোটি নামাজী থাকতেও সে বাংলাদেশ আজ অধিকৃত হয়েছে আওয়ামী বাকশালীদের ন্যায় ইসলামের শত্রুপক্ষের হাতে।
মুসলিমদের হাতে বাংলা বিজয়ের প্রথম দিন থেকেই এ ভূমিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল শরিয়তী বিধান। অথচ সে কুর’আনী বিধান আজ বিলুপ্ত। প্রথম বিলুপ্ত হয়েছিল কাফের ইংরেজদের হাতে। আর আজ ক্ষমতাসীন সেক্যুলারিস্ট সরকার ও তার প্রশাসনের কাজ হলো, ইসলামের বিরুদ্ধে ইংরেজ কাফেরদের সে বিজয়কে দিবারাত্র পাহারা দেয়া। তাদের এজেন্ডা, যাতে শরিয়তী আইন দেশের আদালতে পুণরায় প্রতিষ্ঠা না পায় সেটি নিশ্চিত করা। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের রাজস্বের অর্থে। ইসলামের শত্রুপক্ষের আজকের দখলদারী ও বিজয়ের উৎসব হচ্ছে বাংলার নগর-বন্দরে নানা উপলক্ষে। এভাবে দুর্বৃত্ত পাপীদের সরকার জনগণকেও পাপী বানাচ্ছে। তাই ছাত্রদের লড়াই হতে হবে সে পাপ থেকে বাঁচার লড়াই। তবে এ লড়াই শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের লড়াইয়ে সীমিত থাকলে বিজয় আসবে না, এ লড়াইকে সকল দলের এবং সকল শ্রেণীর মানুষের জিহাদে পরিণত করতে হবে। মহান আল্লহতায়ালার সূন্নত হলো তিনি একতাবদ্ধ জনগণের জিহাদকে বিজয়ী করেন এবং পরাজিত করেন বিভক্তদের। তাই ভোটডাকাত হাসিনার ন্যায় জালেমের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ জিহাদের বিকল্প নেই। ১৮/০৭/২০২৪
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
- সংবিধানে প্রতিটি ব্যক্তির রায়ের ইজ্জত সুনিশ্চিত করত হবে
- একাত্তর প্রসঙ্গ, কিছু আলেমের বিভ্রান্তি এবং মুসলিমের জিহাদে কবিরা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018