শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যা এবং হাসিনার মুখে পাগলীর প্রলাপ
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on November 3, 2020
- Bangla Articles, বাংলাদেশ
- No Comments.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
লাগামহীন মিথ্যাচারিতা
শেখ হাসিনার মিথ্যাচারিতা কতটা লাগামহীন –সেটিই বার বার প্রমাণিত হচ্ছে তার নিজের কথায়। মুখ খুললেই প্রকাশ পায় তার মিথ্যাচারি চরিত্র। ২০১৩ সালের ১৯’শে জুন সংসদে দেয়া ভাষনটি হলো তার মিথ্যাচারিতার দলিল। গত ২০১৩ সালের ৫’মে দিবাগত রাতে হেফাজতে ইসলামের লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে শাপলা চত্ত্বর থেকে সরানোর সময়ে যে নৃশংস গোলাগুলি হয়েছিল, তাতে হাজার হাজার মানুষ যেরূপ বর্বরভাবে হতাহত হয়েছিল, এবং রক্তের স্রোতে যেভাবে ভেসে গিয়েছিল মতিঝিলের রাজপথ -সেটি তিনি তার বক্তৃতায় সরাসরি অস্বীকার করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন,“সেই (৫ মে) দিন কোনো গোলাগুলি বা সেরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তারা সেখানে গায়ে লাল রঙ মেখে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ যখন তাদের ধরে টান দেয়,দেখা গেল উঠে দৌড়াচ্ছে। দেখা গেল লাশ দৌড় মারল।” -(দৈনিক আমার দেশ ২০/০৬/১৩)। ৫ মে’র রাতের নৃশংসতা নিয়ে এ অবধি সরকারি দল, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবীর পক্ষ থেকে বহু ব্যক্তি বহু ভাষণ রেখেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, হাসিনা যে মিথ্যাচার করলেন এ অবধি কেউ কি এতবড় মিথ্যা বলেছে? মানব চরিত্রের সবচেয়ে কুৎসিত রূপ। এটি অসম্ভব করে সুস্থ্য ও ভাল মানুষ হওয়া। এবং অতি সহজ করে দেয় ভয়ানক দুর্বৃত্ত হওয়া। মহান নবীজী (সাঃ) মিথ্যাচারিতাকে সকল পাপের জন্মদায়িনী মা বলেছেন। এর অর্থ দাঁড়ায়, যার মধ্যে মিথ্যাচারিতা আছে, সে অংশ নিতে পারে যে কোন জঘন্য পাপকর্মে। এমন মিথ্যাচারি ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসলে দেশে দুর্বৃত্তির প্লাবন আসবে সেটিই কি স্বাভাবিক নয়? কারণ যে মিথ্যাচারিদের নেশাটি পাপ নিয়ে বাঁচায়, সে কখনোই পাপের নির্মূলে আগ্রহী হয় না। মশামাছি যেমন নিজেদের বংশ বিস্তার ঘটায়, এসব দুর্বৃত্তরাও তেমনি নিজেদের বংশ বিস্তার ঘটায়।
সে কালো রাতে যে নৃশংস গণহত্যাটি ঘটেছে তার ভুক্তভোগী ও সাক্ষি শুধু হেফাজতে ইসলামের লক্ষাধিক নেতাকর্মীই নন, বরং প্রত্যক্ষদর্শী হলো শত শত মিডিয়া কর্মী ও সাধারণ মানুষ। তাছাড়া এ নৃশংসতার শত শত ভিডিও চিত্রও রয়েছে। এবং সেগুলি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কোন সজ্ঞান ও সুস্থ্য মানুষ কি সে সচিত্র প্রমাণগুলো অস্বীকার করতে পারে? একাত্তরের ২৫ মার্চের ঘটনা নিয়ে লাগামহীন গুজব সৃষ্টি করা চলে, কারণ তার কোন ভিডিও চিত্র নেই। কিন্তু সে অবকাশ ৫ মে’র ঘটনা নিয়ে নেই। অথচ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ সে রাতের বর্বরতার ধারণকৃত ভিডিও চিত্রগুলো অস্বীকার করে চলছেন। শেখ হাসিনার এরূপ বিষোদগার কি শুধু মিথ্যাচার? সেটি তো নিহত ও আহত হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের সাথে এক নিষ্ঠুর বিদ্রুপও।একমাত্র মানসিক ভাব অসুস্থ্য ও বিকলাঙ্গ মানুষই এমন মিথ্যচারি ও বিদ্রুপকারি হতে পারে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা উল্টো মিথ্যাচারিতার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। মিথ্যাচারি ও অপরাধী রূপে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন হেফাজতে ইসলামের ধর্মপ্রাণ নেতাকর্মীদের। তাদের চরিত্রহনন করতে গিয়ে তিনি ধর্মের দোহাইও দিয়েছেন। মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ ও ধর্মবিরোধী -সে নসিহতও তিনি করেছেন উলামাদের। শেখ হাসিনা বলেছেন,“অথচ তারা (বিরোধী দল) ১ লাখ ২ হাজার গুলি, হাজার হাজার লাশের কথা বলে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের আজেবাজে মিথ্যাচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ধর্মের নামে এই অসত্য কথা বলে কোন ধরনের ইসলাম পালন -তা আমি জানি না।” -(দৈনিক আমার দেশ ২০/০৬/১৩)।
ভয়ানক অপরাধীরাও নিজেদের বাঁচাতে সাধু সাজে। মাদ্রাসার হাজার হাজার নিরাপরাধ ছাত্র-শিক্ষকদের রক্তে শেখ হাসিনার হাতদুটি যে রঞ্জিত -জনগণ সেটি দেখেছে। স্বজনহারা হাজার হাজার মানুষের হৃদয়ের ক্ষতগুলি এখনো তাজা। অথচ তিনি এখন ধার্মিকের বেশ ধরেছেন, এবং নসিহত শোনাচ্ছেন। সে সাথে শহীদদের সাথে মশকরাও করছেন। তার এরূপ নাটক জনগণ অতীতেও বহুবার দেখেছে। ধর্মপ্রাণ মানুষকে বোকা বানাতে তিনি যেমন রাস্তার মাঝে মিছিল থামিয়ে নামাযে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি মাথায় কালো পটি বেঁধে নির্বাচনি জনসভা করেছেন। হজ-উমরাও করেছেন। কিন্তু এসব করে কি তিনি পাড় পাবেন? তিনি যে কতটা ইসলামের শত্রু -সেটি তো দেশের মানুষ স্বচোখে দেখেছে। সংবিধানে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থার কথাটিই যেমন সহ্য করতে পারেননি, তেমনি সইতে পারছেন না দেশের মাটিতে কোরআনে তফসির এবং জিহাদ বিষয়ক বই। তার সরকার দেশের প্রখ্যাত তাফসিরকারকদের জেলে তুলে যেমন ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যবস্থা করছে, তেমনি র্যাব ও পুলিশকে মাঠে নামিয়েছে আলেম-উলামাদের লাঠিপেটা করতে ও জিহাদ বিষয়ক বই বাজেয়াপ্ত করতে।
শেখ হাসিনা যে নিজে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন সেটির সাক্ষী শুধু দেশের সাধারণ মানুষ নয়, তার নিজ সরকারের দেয়া প্রেসনোটও। মিথ্যাচারি শুধু আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা একা নন, বরং দলীয় সহচরগণও। হাসিনার মুখ থেকে যে মিথ্যাটি ১৯/০৬/১৩ তারিখে বেরিয়েছে সেটিই তাদের দলের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক জনাব হানিফ বলেছিল ঘটনার পরপরই। তার কথা,শাপলা চত্ত্বরে একজন মানুষকেও হত্যা করা হয়নি। তবে সরকারি প্রেসনোটে নিহতের কথা স্বীকার করলেও তাতে নিহতদের বিশাল অংকটি নিয়ে প্রকান্ড মিথ্যা বলেছে। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যাটি প্রেসনোটে গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রেসনোট এতটুকু বলেছে যে, ঐদিন ১১ জন মানুষ মারা যায় এবং লাশ দেখা যায় শাপলা চত্ত্বরের মঞ্চের পাশে। যে কোন সভ্য দেশে পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেলেও সেটি বিরাট খবর হয়। তা নিয়ে তদন্ত হয়। তদন্ড শেষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিও হয়। সরকার দায়ী হলে তাতে সরকারের ভিত্তিও নড়ে উঠে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রেয়ারি ঢাকায় মাত্র তিন জন নিহত হয়েছিল আর তাতেই একটি সরকারের পতন ঘটেছিল। হাসিনার আমলে মানুষের জীবনের মূল্য কি তবে এতটাই কমে গেল যে সরকারি প্রেসনোটে ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হলেও সেটি কোন ব্যাপার রূপে গণ্য হচ্ছে না? শেখ হাসিনার কাছে আরো প্রশ্ন, ঐ দিন কিছু না হলে ১১ জন মানুষ মানুষ লাশ হলো কি করে? বলা হচ্ছে কোন রূপ গুলি ছুড়া হয়নি। তারা কি তবে আসমান থেকে বাজ পড়ায় মারা গেছে?
হাসিনার মানসিক বিকলাঙ্গতা
হাসিনার অপরাধী চরিত্রটি জনগণের কাছে কোন গোপন বিষয় নয়। জনগণের হাতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট নাই। থাকলে তারা তাকে শত শত মানুষের হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝুলাতো। আদালতে প্রাণ বাঁচাতে ও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ডাকাতেরা ডাকাতি ও মানুষ হত্যার বিষয়গুলি যে গোপন করেবে -সেটিই স্বাভাবিক। এভাবে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করে অপরাধীরাও লোকসমাজে ফেরেশতার ন্যায় চলাফেরা করতে চায়। অপরাধীদের এটিই সনাতন খাসলত। সেটিরই বেশী বেশী প্রয়োগ হয় রাজনীতির ময়দানে। তাই ভয়ানক অপরাধের পরেও অপরাধী রাজনীতিবিদগণ নিজেদের ফেরেশতা রূপে জাহির করে। শত শত মানুষ খুনের পর হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে তো সে চেষ্টাই করেছেন।
৫ই মে রাতের ঘটনা যে কতটা নৃশংস গণহত্যা ছিল -সে খবরটি শুধু বাংলাদেশে নয়,সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার তার মালিকাধীন টিভি ও পত্র-পত্রিকাকে কন্ট্রোল করতে পারে, কিন্তু আজকাল খবর কি শুধু টিভি ও পত্রিকা মারফত ছড়ায়? অতিদ্রুত ও ব্যাপক ভাবে ছড়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সরকারের নিয়ন্ত্রন সেখানে সামান্যই। স্বৈরাচারের ঘৃণ্য অপরাধগুলো কোটি কোটি মানুষ এখন ঘরে বসে জানতে পারে। ফলে বিস্ফোরিত হচ্ছে তাদের ঘৃণাবোধ। আজ থেকে দশ বছর আগেও এতটা সম্ভব ছিল না, কিন্তু এখন সেটি সম্ভব। এমন ঘৃণাবোধের কারণেই পতন ঘটেছে হুসনী মোবারক, বিন আলী ও গাদ্দাফীর ন্যায় স্বৈরাচারি শাসকদের। অথচ এসব স্বৈরাচারিদের হাত হাসিনার চেয়ে কম শক্তিশালী ছিল না। সত্য যে শক্তিশালী এবং দুর্বৃত্তদের পক্ষে সত্যকে চাপা দেয়া যে অসম্ভব -সে বিষয়টি অতীতে যেমন প্রমাণিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ইতিহাসের কাঠগড়ায় স্বৈরাচারি অপরাধীগণ তাই অপরাধী রূপেই প্রমাণিত হচ্ছে। সে বিচার থেকে ফিরাউন নমরুদ যেমন বাঁচেনি, বাঁচেনি হিটলার-মুজিবও। বাঁচার পথ নেই হাসিনারও। অথচ শহীদগণ যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন তাদের চির অম্লান স্মৃতি নিয়ে। ইতিহাসের এটিই বড় শিক্ষা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা তাই বলেছেন, “এবং তোমরা তাদেরকে মৃত বলবে না যারা আল্লাহর রাস্তায় প্রাণ দেয়। তারা তো জীবিত, কিন্তু তোমরা সেটি অনুধাবন করতে পার না।” –সুরা বাকারা। কিন্তু যারা দূনীতিগ্রস্ত্র ও মানসিক ভাবে যারা বিকলাঙ্গ তাদের সামর্থ থাকে না ইতিহাসের সে পাঠ থেকে শিক্ষা নেয়ার। মুজিব ও হাসিনাদের এখানেই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ও অযোগ্যতা। তাই মুজিব যেমন সে শিক্ষা নেয়নি, হাসিনাও নিচ্ছে না। আজকের বাংলাদেশ সত্তরের বাংলাদেশ নয়। দুর্বৃত্তদের ফেরেশতা রূপে জাহির করা এবং জনগণকে বোকা বানিয়ে ভোট আদায় তখন যেরূপ সহজ হয়েছিল, সেরূপ অবস্থা আজ নেই। সেটিই প্রমাণিত হয়েছিল গণহত্যাপরবর্তী দেশের চারটি বড় বড় শহরেরর সিটি কপরোশনের নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার, দুর্বৃত্তি ও দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ আওয়ামী লীগের জন্য ভরাডুবি ডেকে আনে। কিন্তু সে পরাজয় থেকেও হাসিনা শিক্ষা নেয়নি। বরং সে পরাজয় তাকে আরো ভয়ানক দুর্বৃত্তির পথে ঠেলে দেয়। চুরিতে ব্যর্থ হলে ধুর্ত চোর অস্ত্র নিয়ে ডাকাতিতে নামে। হাসিনাও তেমনি ভোট ডাকাতিতে নেমেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাকে সাহসী করেছে ভোট ডাকাতির ন্যায় ভয়ানক অপরাধে। অপরাধীরা তাদের সৃষ্ট পাপাচারের গর্তে শুধু লাগাতর ডুবতেই পারে, বেরুতে পারে না। হাসিনার আচরনে সেটিই প্রমানিত হলো।
মানসিক অসুস্থ্যতার আলামত বহুবিধ। দৈহিক অসুস্থায় শরীরে ব্যাথা হয়, গায়ে জ্বর উঠে, শ্বাসকষ্ট হয়, দুর্বলতা আসে। কিন্তু মানসিক অসুস্থ্যয় কথাবার্তা ওলট পালট হয়ে যায়। কানে কানে মৃতদের বা অশরীরীদের কথা শোনে। মানুষকে উড়ে যেতেও দেখে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এমন অবস্থাকে বলা হয় ভিসু্য়্যাল হ্যালুচিনেশন। হাসিনাও তাই হেফাজতের নিহত কর্মীদের গায়ে রং মাখা যেমন দেখেছেন, তেমনি পুলিশী হামলার মুখে লাশদের হাটতেও দেখেছেন। সেরূপ এক মানসিক অসুস্থ্যতা নিয়েই তিনি মুখ খুলেছেন সংসদে। কোন সুস্থ্য মানুষ কি ৫ই মে ও ৬ই মে’র এতবড় মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে এতটা মিথ্যাচার ও বিবেকহীন বিদ্রুপ করতে পারে? এতটা বিবেকহীন হওয়া তো একমাত্র উৎকট উম্মাদিনীর পক্ষেই সম্ভব। উম্মাদের কথায় সত্য ও বাস্তবতার কোন সংযোগ থাকে না। সেটি নাই হাসিনার বক্তব্যেও। তাই ৫ ই মের রাতে যেখানে মতিঝিলে শত শত মানুষ নিহত হলো, হাজার হাজার মানুষ আহত ও নিখোঁজ হলো তা নিয়ে তিনি বলেছেন সেখানে কোন কিছুই ঘটেনি।
কি ঘটেছিল ঐ কালো রাতে?
কি ঘটেছিল সে কালো রাতে সেটি আবার জানা যাক। ঐ রাতের ঘটনা লুকাতে সরকারের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। সরকার-বিরোধী আমার দেশ পত্রিকাটি যাতে কোন খবর ছাপতে না পারে সে জন্য পূর্বেই পত্রিকার ছাপাখানায় তালা লাগানো হয়। হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয় দিগন্ত টিভি ও ইসলামি টিভি। কিন্তু এরপরও প্রকৃত খবর বেরিয়ে এসেছে। ১২ই মে তারিখে দৈনিক যুগান্তর রিপোর্ট করে,পুলিশ, র্যাব ও বিজিবীর ৭ হাজার ৫ শত ৮৮ জন এ হামলায় অংশ নিয়েছিল। হামলাকারিদের মধ্যে ১৩০০ জন এসেছিল র্যাব থেকে। ৫,৭১২ জন এসেছিল পুলিশ বাহিনী থেকে এবং ৫৭৬ জন এসেছিল বিজিবী থেকে। তখন শাপলা চত্ত্বরের আশেপাশে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নিয়ে বসে ছিল লক্ষাধিক মুসল্লি।যাদের অনেকে সে সময় তাহাজ্জুদের নামায পড়ছিলেন, কেউ বা যিকির করছিলেন, কেউ বা সারাদিন সরকারি গুন্ডা বাহিনীর হামলা মোকাবেলা করে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হামলা শুরু হয় রাত আড়াইটার সময় এবং তিন দিক দিয়ে। দৈনিক যুগান্তর লিখেছে,সমগ্র এলাকাটি সে সময় বন্দুকের গুলি,টিয়ারগ্যাসের শেল ও ধোয়াতে পূর্ণ হয়ে যায়। পত্রিকাটি বিবরণ দিয়েছে, হামলাকারি এ বিশাল বাহিনীর নেতৃত্ব দেয় র্যাবের ইন্টেলিজেন্স প্রধান লে.কর্নেল জিয়াউল হাসান, র্যাব-১০ এর কমান্ডার লে.কর্নেল ইমরান, র্যাব-৩ এর কমান্ডার মেজর শাব্বির এবং র্যাব ডাইরেক্টর লে.কর্নেল কিসমত হায়াত,র্যাব ডাইরেক্টর কামরুল আহসান এবং বিজিবী অফিসার কর্নেল ইয়াহিয়া আযম।। সেপাইদের পাশে হামলাতে অংশ নেয় ৫জন কমান্ডো অফিসার। শত্রু দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত কোন প্রকান্ড সীমান্ত যুদ্ধের যেমন কোড নাম থাকে তেমনি কোড নাম ছিল জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত এ সেনা যুদ্ধেরও। তবে একটি নয়, একাধিক। র্যাব এ যুদ্ধের নাম দিয়েছিল “অপারেশন ফ্লাশআউট”। আর বিজিবী নাম দিয়েছিল “ক্যাপচার শাপলা”। প্রশ্ন হলো, হাসিনার কথা মত সেখানে যদি কোন কিছু না থাকে তবে এতো সৈন্য, এতো পুলিশ, এতো র্যাব ও এতো অফিসার সেখানে কি করতে গিয়েছিল? তবে কি তারা শাপলা চত্ত্বরে ঘোড়ার ঘাস কাটতে জমা হয়েছিল?
একাত্তরের ৯ মাসের যুদ্ধের ভারত ও পাকিস্তানের কোন পক্ষই সীমান্ত যুদ্ধের কোন একটি একক সেক্টরে ৭ হাজার ৫ শত ৮৮ জন সৈন্য নিয়ে হামলা করেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় ৪ হাজার মাইলের বেশী সীমানা জুড়ে পাকিস্তান যুদ্ধ করেছে মাত্র ৪৫ হাজার নিয়মিত সৈন্য নিয়ে। -(Niazi, Lt Gen AA K, 2002: The Betrayal of East Pakistan, Oxford University Press, Karachi)। ফলে কোন একক সেক্টরে এত বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশের সামর্থ্যই পাকবাহিনীর ছিল না। অথচ এক শাপলা চত্তরের ন্যায় আধা মাইলের কম জায়গায় সৈন্য নামানো হয়েছিল ৭ হাজারের বেশী। বাংলাদেশের বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে এতবড় হামলা এবং এক রাতে এত মৃত্যু কোন কালেই হয়নি। ইখতিয়ার মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির হাতে যখন আজকের বাংলাদেশের চেয়ে বৃহত্তর বাংলা বিজিত হয় তখনও এতবড় হামলা এবং এত মৃত্যু হয়নি।সে হামলাটি হয়েছিল মাত্র ১৭ জন সৈনিক নিয়ে। পলাশীর প্রান্তরে যখন ইংরেজ বাহিনীর হাতে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয় এতবড় রক্তপাত সেদিনও হয়নি। অথচ সেটি হলো বাঙালী সেপাইদের হাতে, এবং হাসিনার আমলে। রক্ত ঝরলো নিরীহ আলেম-উলামা ও সাধারণ মুসল্লিদের।
অথচ এতটা জানাজানির পরও হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলছেন ঐদিন কিছুই হয়নি। মিথ্যাচার আর কাকে বলে! মিথ্যাচারি শুধু মিথ্যাই বলে না, মিথ্যা বলায় প্রচন্ড লজ্জাহীনও হয়। ফলে জনসম্মুখে তারা নির্ভেজাল মিথ্যা গলা ফুলিয়ে বলতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দুর্নীতি ও দুবৃত্তিতে বিশ্বের দুইশতের বেশী দেশকে হারিয়ে ৫ বার প্রথম হয়েছে। নবীজী (সাঃ) দুর্নীতির মা’ রূপে আখ্যায়ীত করেছেন মিথ্যাচারিতাকে। বাংলাদেশে দূর্নীতির এ মা’দের সংখ্যা বিপুল বলেই দুর্নীতিতে বার বার রেকর্ডই গড়েছে। বাংলাদেশে যতদিন এরূপ সীমাহীন মিথ্যাচারিতা থাকবে ততদিন দূর্নীতির রেকর্ডও নির্মিত হবে।শুধু দূর্নীতিতে নয়,মিথ্যাচারিতার প্রতিযোগীতায়ও হাসিনা যে বিশ্বের তাবত মিথ্যাচারিদের হারিয়ে প্রথম হবেন তা নিয়েও কি কোন সন্দেহ আছে? হেফাজতের কর্মীগণ গায়ে রং মেখে শুয়ে ছিল এবং পুলিশের আগমনে লাশগুলো হাটা শুরু করে -হাসিনার মুখ দিয়ে সংসদে প্রদত্ত এমন ভাষন তাই অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায় –হাসিনার এরূপ কথা বস্তুতঃ পুরোন প্রবাদই স্মরণ করিয়ে দেয়। মুদির দোকানদার যেমন চাল-ডাল নিয়ে ব্যবসা করে হাসিনা ও তার মিত্রদের ব্যবসাও তেমনি এ মিথ্যা নিয়ে। সে অভিন্ন ব্যবসাটি ছিল মুজিবেরও।একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ হত্যার মিথ্যাটি আবিস্কার হয়েছে এ মিথ্যুকদের দ্বারাই। তিরশ লাখের জন্য ৯ মাসের যুদ্ধে প্রতি ২৫ জনে একজন এবং প্রতিদিন ১১ হাজার বাঙালীকে নিহত হতে হয় -সেটি বুঝবার সামর্থ্য এ মিথ্যুকদের যেমন একাত্তরে ছিল না, এখনও নাই। রানা প্লাজা ধ্বসে গেছে মৌলবাদীদের ঝাঁকুনিতে -চটকদার এ মিথ্যাটি তো তাদেরই আবিস্কার। এবং সেটি পিএইডি ধারী সাবেক আওয়ামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মগজ থেকে। তাই ভবিষ্যতেও তাদের মুখ থেকে এমন আরো বহু অলীক মিথ্যার যে উদগীরণ ঘটবে তা নিয়ে কি সামান্যতম সন্দেহ আছে?
যে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটি ৫ই মে’র দিবাগত রাতের সেপাহী ও পুলিশী হামলার বিবরণটি লিখেছে -তা কোন মৌলবাদীদের পত্রিকা নয়। জামায়াত শিবিরের লোকেরা এ পত্রিকায় লেখালেখি করার সুযোগ পায় না। এ পত্রিকার কলামিস্ট হলো আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরির ন্যায় আওয়ামী ঘরানার বরকন্দাজগণ। দৈনিক যুগান্তর লিখেছে,এ হামলায় ১৫৫,০০০ গুলি নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ ছুড়েছে ৮০,০০০ টিয়ার গ্যাসের শেল এবং ৬০,০০০ রাবার বুলেট। এছাড়া ছুড়া হয় ১৫,০০০ শর্টগান বুলেট এবং ১২,০০০ সাউন্ড গ্রেনেড। সরকার বলছে মাত্র ১০ মিনিট অপারেশন চলে। অথচ যুগান্তর লিখেছে হামলা হয়েছে তিন ঘন্টা ধরে, রাত ২:৩০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় ৫:৩০ মিনিটে। তিন ঘন্টার এ যুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ বুলেট, টিয়ার গ্যাস,রাবার বুলেট ও গ্রেনেড ব্যবহার করা হয় তা পাকিস্তান আমলের সমগ্র ২৪ বছরেও ব্যবহৃত হয়নি। দেশের নিরস্ত্র সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে এতবড় বর্বরতা কি কোন কালেই হয়েছে? জনগণ রাজস্ব দেয় এ জন্য যে, তাদের অর্থে প্রতিপালিত পুলিশ,র্যাব ও বিজিবী তাদের জীবনে নিরাপত্তা দিবে। কিন্তু এখানে ঘটেছে উল্টোটি। তাদের অর্থে কিনা বুলেট,কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়েছে তাদেরই বিরুদ্ধে।কইয়ের তেলে এরূপ কই ভাজার কাজটি এদেশে করে গেছে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকেরা। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা সে পথই ধরেছে। উল্লেখ্য যে, র্যাব-সদস্যরা এ কাজে প্রশিক্ষণও নিয়েছে ব্রিটিশদের থেকে।
পাগলীর প্রলাপ
শেখ হাসিনা সংসদে বলেন,“আপনারা দেখেছেন যে, গায়ে লাল রঙ লাগিয়ে পড়ে আছে আর পুলিশ যখন টান দিচ্ছে উঠে দৌড়াচ্ছে। দেখা গেল লাশ দৌড় মারল।এ ধরনের নাটকও সেদিন করা হলো।রুয়ান্ডার ভূমিকম্পে যে মানুষ মারা গিয়েছিল,সেই ছবি,১৯৭৯ সালে জর্জটাউনে দুই-আড়াই হাজার মানুষ ধর্মীয় অনুভূতির কথা বলে আত্মহত্যা করেছিল—সেই ছবি দেখানো হচ্ছে লাশের ছবি হিসেবে।” -(দৈনিক আমার দেশ ২০/০৬/১৩)। শেখ হাসিনা সে রাতে ঘরে বসে শাপলা চ্ত্ত্বরে লাশের দৌড় মারার চিত্র দেখেছেন! আস্ত উম্মাদিনীর প্রলাপ। তার কাছে লাশগুলো মনে হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের রুয়ান্ডা ও জর্জটাউনের মানুষ। কি তাজ্জবের বিষয়,বাংলাদেশী মুসল্লিদের লাশগুলো তার কাছে বাঙালী বলে মনে হয়নি! নিজ দেশের মানুষদের চিনতে তার এতটা ভ্রম? কোন সুস্থ্য মানুষ কি নিজ দেশের মানুষদের চিনতে কি এতটা ভূল করে? নিজ দেশের মানুষের লাশগুলোকে কোন বাঙালী শিশুও কি আফ্রিকা মহাদেশের মানুষের লাশ বলবে? প্রশ্ন হলো,এতবড় বদ্ধ পাগলী একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয় কি করে? যে দেশ বিশ্বে দূর্বৃত্তিতে ৫ বার প্রথম হয় সম্ভবত তেমন একটি দেশেই এমন একটি অদ্ভুত কান্ড সম্ভব!সভ্য দেশের মানুষেরা এমন পাগলিদের উপর কোন দায়িত্ব দেয়া দূরে থাক সত্ত্বর মানসিক চিকিৎসার জন্য কোন পাগলা গারদে পাঠায়। অথচ বাংলাদেশে তার উপর চাপানো হয়েছে বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম রাষ্ট্রের দায়ভার!
৫ই মে’র দিবাগত রাতের শত শত মানুষ হত্যা হাসিনার নজরে যেমন পড়েনি, তেমনি সেটি তার কাছে অপরাধও মনে হয়নি। ফলে ঐ কালো রাতটিতে শত শত মানুষ নিহত হলেও কারো বিরুদ্ধে কোন খুনের মামলা দায়ের হয়নি। যেন দেশে ঐ রাতে কোন কিছুই হয়নি। অথচ শত শত ফুটেজ রয়েছে যাতে এটি সুস্পষ্ট যে,ঐ রাতে যেখানে ভয়ানক হত্যাকান্ডটি ঘটেছে সেটি আফ্রিকার রুয়ান্ডা নয়। জর্জটাউনও নয়। বরং সেটি ঢাকার মতিঝিল। যারা গুলি করছে এবং পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করছে তারাও অন্য মহাদেশ থেকে আগত কোন খুনি বাহিনী নয়। ভূমিকম্পও নয়। বরং হত্যাকারি হলো বাংলাদেশী পুলিশ, র্যাব ও বিজিবী সদস্যরা। সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ সে ফুটেজ দেখেছে। বিশ্বের নানা দেশের পত্রিকাতেও সেগুলি ছাপা হয়েছে। আল জাজিরাসহ বহু টিভি চ্যানেল সেগুলি দেখিয়েছে। এখনও সেগুলি ইন্টারনেটে দেখা যায়। অথচ এতবড় এ খুনের বিচার নিয়ে সরকারের কোন আগ্রহ নেই। বিরোধীদলের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছিল বিচার বিভাগীয় তদন্তের। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছিল হেফাজতে ইসলাম এবং বহু মানবাধিকার সংস্থা। কিন্তু সরকার সে পথে এগুয়নি। এখন পুরো ঘটনাকেই ধামাচাপা দিচ্ছে। ধাপাচাপা দেয়ার সে লক্ষ্য নিয়েই হাসিনা সংসদে বলেছেন ঐ রাতে কিছুই হয়নি। যে কোন সভ্য দেশে এতগুলো মানুষ দূরে থাক, একসাথে এত পশু মারা গেলেও তার দ্রুত তদন্ত হয়। অথচ হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার পরও তা নিয়ে তদন্ত বা বিচারের আগ্রহ নেই বাংলাদেশ সরকারের। পৃথিবীর অন্যান্য মানুষেরাই বা এতে কি ভাববে? ডাকাত পাড়ায় শুধু ডাকাতিরই আয়োজন হয়,সেখানে বিচার বসে না। কারো শাস্তিও হয় না।তবে কি আওয়ামী ডাকাতদের শাসনামলে বাংলাদেশ তেমনি এক ডাকাত পাড়ায় পরিণত হয়েছে?
আরেক নিরেট মিথ্যাচার
অপরদিকে হাসিনা তার সংসদীয় ভাষনে অপরাধী সাব্যস্ত করেছেন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ করে জামায়াত ও শিবিব কর্মীদের। তাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ এনেছেন যে,তারা কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। তিনি বলেছেন,“এই কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। সোনার দোকান লুট করেছে। এর ভিডিও ফুটেজ আছে। জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরাই এটা করেছে।” -(দৈনিক আমার দেশ ২০/০৬/১৩)। হাসিনা এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য? বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের বইয়ের দোকানগুলো ছিল সমগ্র দেশে কোরআন-হাদীসের সব চেয়ে বড় মার্কেট।সে মার্কেট পুড়াতে জামায়াত শিবির বা হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা কেন যাবে? তাদের কর্মীরা তো দেশের নানাস্থান থেকে গ্রেফতার হচ্ছে ঘরে ইসলামি বই রাখার কারণে। বরং যারা কোরআনের তাফসির মাহফিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে এবং আলেমদের গ্রেফতার করছে, এমন কাজে তো আগ্রহ থাকবে তাদের।
প্রশ্ন হলো, কোরআন শরিফ পুড়ানোর ফুটেজ যদি সরকারের হাতে থেকেই থাকে তবে সে অপরাধের বিচার না করাই তো সরকারের আরেক অপরাধ। সরকার তবে কেন বসে আছে? বিচার কাজে বাধাটি কোথায়? বিরোধী দলও তো চাচ্ছে, কোরআন পুড়ানোর অপরাধীদের দ্রুত বিচার হোক। যারা কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে ও সোনার দোকান লুট করেছে সে বিচার করার দায়িত্ব তো সরকারের, বিরোধীদলের নয়। কিন্তু বিচার দূরে থাক, সরকার গত এক মাসে এখনও কি কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ খাড়া করতে পেরেছে? অথচ সরকার জামায়াত ও শিবিরের এমন হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করছে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোন প্রমাণ নাই। অপরাধে জড়িত থাকার কোন ফুটেজও নাই। প্রমাণের অভাবে পুলিশ কোন মামলাও খাড়া করতে পারছে না।ফলে বিনা বিচারে তাদেরকে আটক রাখছে। তাই প্রশ্ন জাগে,ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে কোরআন পুড়ানো ও সোনার দোকান লুটের যদি কোন ফুটেজই থাকতো তবে কি সরকার এতদিন বসে থাকতো? ১ম সংস্করণ ২২/০৬/১৩; ২য় সংস্করণ ৩/১১/২০২০।
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
- সংবিধানে প্রতিটি ব্যক্তির রায়ের ইজ্জত সুনিশ্চিত করত হবে
- একাত্তর প্রসঙ্গ, কিছু আলেমের বিভ্রান্তি এবং মুসলিমের জিহাদে কবিরা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018