বিবিধ প্রসঙ্গ-৯
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on March 27, 2020
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, বাংলাদেশ
- No Comments.
১. যে অপরাধ ভারতকে বিজয়ী করায়
সমগ্র বিশ্বমাঝে মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক দেশ হলো ভারত। দেশটির সরকারের সামান্যতম আগ্রহ নাই মুসলিমদের জানমাল ও ইজ্জতের সুরক্ষায়। মুসলিমদের উপর কোথাও হামলা শুরু হলে পুলিশ বাহিনী সে হামলা না থামিয়ে নিজেরাই হিন্দু গুন্ডাদের পক্ষ নেয়। সে প্রামাণ্য চিত্রটি এবার দিল্লিতে দেখা গেল। সেখানে পুলিশ যেমন নিজেরা পিটিয়েছে ও গুলি চালিয়েছে তেমন গুন্ডাদের হাতে ইটের টুকরো তুলে দিয়েছে। ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে্ই মুসলিমগণ সেখানে বার বার গণহত্যার শিকার হচ্ছে। মুসলিম রমনীগণ হচ্ছে গণধর্ষণের শিকার। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। সমগ্র কাশ্মিরই এখন একটি জেল; প্রতিটি নাগরিক সেখানে গৃহবন্দী। বিপদের আরো কারণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই একজন ভয়ংকর অপরাধী। ১৯৯২ সালে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় অযোধ্যার বাবরী মসজিদ। সে কাজে গুন্ডা সংগ্রহের কাজ করেছিল মোদি। তার সে কাজে মোহিত হয়ে ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তাকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী রূপে নিয়োগ দেয়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ভয়াবহ দাঙ্গার আয়োজন করে গুজরাতে এবং সে দাঙ্গায় ২ হাজারের বেশী মুসলিম হত্যা করা হয় এবং পুড়িয়ে দেয়া হয় বহু হাজার মুসলিমের ঘরবাড়ী। সেখানে গণহারে ধর্ষিতা হয়েছে মুসলিম নারীরা। এরূপ গণহত্যা ও গণধর্ষণ আয়োজন করাতে বিজিপি-আর, এস. এস মহলে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা তু্ঙ্গে উঠে। ফলে ২০১৪ সালে তাকে দেয়া হওয়া হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ। উগ্র হিন্দুদের মাঝে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে নরেন্দ্র মোদি গত ফেব্রেয়ারিতে গুজরাতের মডেলের দাঙ্গা শুরু করে দিল্লিতে। হত্যা ও মুসলিমদের গৃহে ও দোকানে আগুণ দেএয়ার পাশাপাশি আগুণ দেয়া হয় দিল্লির ৯টি মসজিদে।
ভারতের মুসলিম বিরোধী চরিত্রটি তাই গোপন কিছু নয়। প্রশ্ন হলো, এরূপ মুসলিম গণহত্যাকারী ভারতের ঘরে যারা বিজয় তুলে দেয় এবং নিজ দেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় পণ্যের জন্য বাজার খুলে দেয় –তারা কি ঈমানদার? ঈমানদার হতে হলে তো মুসলিমের শত্রুদের ঘৃণার সামর্থ্য লাগে। লাগে মুসলিম স্বার্থের সুরক্ষা দেয়ার গভীর ইচ্ছা। অথচ সে সামর্থ্য ও ইচ্ছা একাত্তরে মুজিবের ন্যায় বাঙালী সেক্যুলারিস্টদের মাঝে দেখা যায়নি। মুসলিম বিরোধী এরূপ একটি দেশের সাথে যারা বন্ধুত্ব গড়ে তারা কি কখনো মুসলিম দেশের শাসক হওয়ার যোগ্যতা রাখে? হতে পারে কি মুসলিমের বন্ধু? অথচ ভারত বন্ধু গণ্য হচ্ছে মুজিবের ন্যায় হাসিনার কাছেও। এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে ভারতকে। সেদেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যত হত্যা, যত ধর্ষণ এবং যত নির্যাতনই হোক না –শেখ হাসিনা তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজী নয়। অথচ ভারত সরকারের নিন্দা করছে বহু ভারতীয় নেতাও। মুসলিম জীবনের অন্যতম মিশন হলো অন্যায় ও জুলুমের নির্মূল। তাই রাজা দাহিরের নির্যাতন থেকে সিন্ধুর হিন্দুদের বাঁচাতে মুসলিম বাহিনী জিহাদে নেমেছিল।
প্রতিবেশী দেশ রূপে বাংলাদেশীদের দায়িত্বটি বিশাল। বিপন্ন মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ। কিন্তু সে দায়িত্বটি পালিত হচ্ছে না। কারণ, ক্ষমতায় রয়েছে ভারতসেবী ইসলামের শত্রুগণ। হাসিনা ক্ষমতায় এসেছে ভোট ডাকাতি করে। ভারত এ নিয়ে নিশ্চু্প। বরং হাসিনার এরূপ ভোট ডাকাতির বিজয়ে প্রচণ্ড খুশি ভারত। কারণ ভারত চায়, দেশটিতে তার সেবাদাস ও সেবাদাসীগণ যে কোন রূপে ক্ষমতায় থাক এবং অব্যাহত থাকুক ভারতের প্রতি দাসত্বের রাজনীতি। তাছাড়া ভারত জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে শোচনীয় পরাজয় ঘটবে তার সেবাদাসদের।
২. প্রসঙ্গ বাঙালীর বিবেকবোধ, মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব
মানুষের বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার প্রকাশ ঘটে শত্রুকে শত্রু এবং বন্ধুকে বন্ধু রূপে বরণ করার মাঝে। তাই সুবুদ্ধির কোন মানুষই কোন নেকড়কে গলা জড়িয়ে চুমু খায় না। এবং নিজ ঘরে তুলে আদর করে চোর-ডাকাতকে। বরং হাতের কাছে যা পায় তা দিয়ে তাড়া করে। হিংস্র পশু ও চোর-ডাকাতদের প্রতি এটিই হলো সভ্য মানুষের সনাতন নীতি। তেমনি কোন বিবেকবান মানুষই স্বৈরাচারি শাসকের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে না। তাকে নেতার আসনেও বসায় না। কিন্তু বাংলাদেশে সে সভ্য বিচারটি হয়নি। ফলে শেখ হাসিনার ন্যায় ভোট-ডাকাতও দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়্যারে বসার সুযোগ পেয়েছে। এবং মুজিবের ন্যায় এক খুনি এবং স্বৈরাচারিও দেশের নেতা,পিতা ও বঙ্গবন্ধুর খেতাব পেয়েছে। কোন সভ্য দেশে কি এমনটি ভাবা যায়?
একদলীয় বাকশাল সরকার প্রতিষ্ঠা দিয়ে শেখ মুজিব কেড়ে নিয়েছিল দেশবাসীর স্বাধীনতা। এবং রাজনৈতিক দল গড়ার অধীকার কেড়ে নিয়েছিল ইসলামপন্থিদের। ইসলামপন্থিদের সাথে এরূপ অসভ্য ও অমানবিক আচরণ ঔপনিবেশিক কাফের শাসনামলেও হয়নি। মুজিবের শাসনামলে স্বাধীনতা পেয়েছিল কেবল মুজিবের অনুগত দুর্বৃত্ত দলীয় বাহিনী এবং তার প্রভুরাষ্ট্র ভারত। এবং যারাই মুজিবের বাকশালী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আ্ওয়াজ তুলেছে্ তারা্ই গ্রেফতারি, হত্যা ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রক্ষিবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে তিরিশ হাজারেরও বেশী রাজনৈতিক নেতাকর্মী। মুজিবের রাজনীতির মূল কথা ছিল ভারতের প্রতি নিঃশর্ত গোলামী। মুজিব ভারতকে দিয়েছিল ফারাক্কার মুখে পদ্মার বুক থেকে পানি তুলে নেয়ার অধিকার। দিয়েছিল বাংলাদেশের ভূমি বেরুবাড়ী। দেশের সীমান্ত বিলুপ্ত করে ভারতকে দিয়েছিল লুন্ঠনের অবাধ স্বাধীনতা। সে ভারতীয় লুটপাটের ফলেই নেমে আসে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ -যাতে মৃত্য হয় বহু লক্ষ বাংলাদেশীর। মুজিবের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু প্রবল ভাবে বেঁচে আছে মুজিবের ভারতসেবী রাজনীতি। এবং সেটি বাঁচিয়ে রেখেছে মুজিব কণ্যা হাসিনা।
এখানেই প্রশ্ন উঠে। শেখ মুজিবের ন্যায় একজন স্বৈরাচারি খুনি ভোট-ডাকাত হাসিনার পিতা হতে পারে। বন্ধু হতে পারে আগ্রাসী ভারতেরও। কিন্ত বন্ধু বা পিতা হতে পারে কি কোন বিবেকমান বাংলাদেশীর? এ প্রশ্নটি উঠা উচিত তাদের পক্ষ থেকে যাদের মধ্যে বিবেক ও সাহস বলে এখনো কিছু বেঁচে আছে এবং যারা পরওয়া করে না ভোট-ডাকাত দুর্বৃত্তদের গালিগালাজের। চোর-ডাকাত, ভোট-ডাকাত ও ফ্যাসিস্টদের নেতা, নেত্রী, পিতা বা বন্ধু বলায় তাদের চারিত্রিক কালীমা কমে না, কিন্তু এরূপ চাটুকারিতায় মারা পড়ে স্তাবকের বিবেক, ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধ। তাই দেশে যখন কোন চোর, ডাকাত, ভোট-ডাকাত ও ফ্যাসিস্টগণ নেতা, পিতা, বন্ধু বা প্রধানমন্ত্রী রূপে প্রতিষ্ঠা পায় -তখন কি বুঝতে বাঁকি থাকে বিপুল সংখ্যক দেশবাসীর মাঝে বিবেক, ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধ কতটা মৃত?
৩.স্বাধীনতা স্রেফ গোলামীর
স্বৈরাচারি শাসকদের স্বাধীনতা প্রতি যুগেই ছিল। কিন্তু তাদের শাসনে স্বাধীনতা ছিল না জনগণের। জনগণকে সে স্বাধীনতা দিয়েছিল গণতন্ত্র। সেটি যেমন ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসনোর স্বাধীনতা, তেমনি নামানোর। ভোটডাকাত শেখ হাসিনা সে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এর আগে শেখ মুজিবও সে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনের প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার লক্ষ্যে মুজিব নিষিদ্ধ করেছিল সকল বিরোধী দলীয় পত্রিকা। কেড়ে নিয়েছিল মিটিং-মিছিলের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে এ ছিল মুজিবের অতি নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ। এরূপ অসভ্য ও অপরাধী শাসককে সভ্য নাগরিকগণ ঘৃণা করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে সেটি হয়নি। কারণটি বোধগম্য। ডাকাতদের কাছে নৃশংস ডাকাত সর্দারও যেমন হিরো রূপে গৃহীত হয়, তেমনি স্বৈরাচারি মুজিবও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী রূপে গণ্য হচ্ছে ভোট-ডাকাত বাকশালীদের কাছে।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার কাছে স্বাধীনতার অর্থ হলো ভারতের প্রতি আত্মসমর্পণের স্বাধীনতা। সে আত্মসমর্পণ জাহির করতে পত্রিকায় লেখালেখিতে যেমন বাধা নাই, তেমনি বাধা নেই টেলিভিশনের পর্দায় কথা বলায় বা রাজপথের মিছিলে। কিন্তু ভয়ানক অপরাধ গণ্য হয়, সে আরোপিত গোলামীর বিরুদ্ধে কথা বলা। যারাই ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে তাদের পিটাতে পুলিশ এবং শেখ হাসিনার দলীয় গুন্ডাগণ একত্রে ময়দানে নামছে। অপর দিকে আদালতের গোলাম বিচারকদের কাজ হয়েছে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা নয়; বরং সরকার দলীয় গুন্ডা ও খুনিদেরকে আইনের হাত থেকে বাঁচানো। এরূপ গোলামদের হাতেই বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবারার ফাহাদকে শহীদ হতে হলো। গোলামগণ প্রতি যুগে এমনটিই করে তাদের বিদেশী প্রভুদের খুশি করতে।
৪. ঈমানদারের ইসলাম ও মুনাফিকের ইসলাম
বেঈমানের জীবনে মূল লড়াইটি হলো নিজ দল, নিজ নেতা ও নিজ দলীয় আদর্শকে বিজয়ী করায়। অপর দিকে ঈমানদারের লড়াইটি আল্লাহর দ্বীন তথা শরিয়তকে বিজয়ী করায়। যে দেশে ঈমানদার ও বেঈমানদের বসবাস সে দেশে এ দু’টি বিপরীত এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতির অঙ্গণে সৃষ্টি হয় প্রচন্ড মেরুকরণ। এমন মেরুকরণের রাজনীতিতে থাকে মাত্র দু’টি পক্ষ। একটি আল্লাহর পক্ষ, অপরটি শয়তানের পক্ষ। মহান আল্লাহর নিজের ভাষায় হিযবুল্লাহ (আল্লাহর দল) ও হিযবুশশায়তান (শায়তানের দল)। নিরপেক্ষ বলে কেউ থাকে না। বাংলাদেশে শয়তানের পক্ষটি বিজয়ী। তাদের বিজয়ের ফলেই মহান আল্লাহতায়ালার শরিয়তি আইন আজ পরাজিত। এবং আদালতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে কাফেরদের রচিত আইন। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা পাক -এ শয়তানী পক্ষটি তা কখনোই চায় না।
বাংলাদেশে নিজেকে মুসলিম রূপে দাবী করে এমন মানুষের সংখ্যা ১৬ কোটি। কিন্তু মুসলিম হওয়ার অর্থ্ কি -তা নিয়েই তাদের অজ্ঞতাটি গভীর। তারা ভাবে, মুখে কালেম ও তাসবিহ পাঠ এবং নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাত পালনের মধ্যেই পরিপূর্ণ ইসলাম। এবং মনে করে রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও যুদ্ধবিগ্রহের অঙ্গণে অন্য কিছু না করলেও চলে। অথচ মুসলিম হওয়ার অর্থ বিশাল। সেটি মহান আল্লাহতায়ালার এজেন্ডাকে আমৃত্যু হৃদয়ে নিয়ে জীবনের প্রতি অঙ্গণে বাঁচা। সে এজেন্ডার বিজয়ে থাকতে হয় নিজের জান, মাল ও সর্বপ্রকার সামর্থ্যের বিনিয়োগ। সে এজেন্ডার অপরিহার্য বিষয় হলো ৫টি। ১).এমন এক পরিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা যেখানে থাকবে একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্ব এবং সে রাষ্ট্রে বিলুপ্ত হবে জনগণ, পার্লামেন্ট, স্বৈরাচারি শাসক বা রাজার সার্বভৌমত্ব। ২). রাষ্ট্র চলবে শুরা বা পরামর্শের ভিত্তিতে; রাষ্ট্রীয় প্রধান সার্বভৌম হবে না, বরং হবে নবীজী (সাঃ)র খলিফা বা প্রতিনিধি। প্রায়োরিটি পাবে নবীজী (সাঃ)র আদর্শের প্রতিষ্ঠা ৩). প্রতিষ্ঠা পাবে শরিয়ত ও হুদুদের আইন, ৪). নানা ভাষা, নানা গোত্র ও নানা ভৌগলিক পরিচয়ের নামে গড়ে উঠা বিভক্তির দেয়ালের বিলুপ্তি এবং সচেষ্ট হবে একতার প্রতিষ্ঠায়, ৫), থাকবে অন্যায়ের নির্মূল এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার লাগাতর জিহাদ। নবীজী (সাঃ) এবং তার খলিফাদের জীবনে ইসলাম বলতে বুঝাতো এ এজেন্ডাগুলি নিয়ে বাঁচা। কিন্তু মুনাফিকের জীবনে ইসলামের চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের জীবনে এর কোনটিই থাকে না। কেবল থাকে “আমিও মুসলিম” এ কপট দাবী। এবং ময়দানে থাকে ইসলামকে পরাজিত রাখার লড়াইয়ে তাদের জান, মাল ও মেধার বিনিয়োগ।
৫.জান্নাতের পথ ও জাহান্নামের পথ
মুসলিম হওয়ার অর্থটি বিশাল ও বিপ্লবাত্মক। সেটি আমৃত্যু এক পরম দায়বদ্ধতা নিয়ে বাঁচা। সে দায়বদ্ধতাটি প্রতি পদে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। দোযগের আগুণ থেকে বাঁচতে হলে এ ছাড়া ভিন্ন পথ নাই। নইলে মরতে হয় শয়তানের অনুসারি এক বেঈমান রূপে। ঈমানের চুড়ান্ত পরীক্ষাটি কখনোই নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাতে হয় না। সেটি হয় কে কোন পক্ষ দাঁড়ালো ও প্রাণ দিল তা থেকে। নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত, দান-খয়রাত মুনাফিকদের জীবনেও থাকে। ফলে কাফেরদের গড়া স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের সংখ্যা কি কম? কিন্তু তাদের মধ্যে যে গুণটি থাকে না তা হলো, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সামর্থ্য। বাংলাদেশে যারা নিজেদেরকে মুসলিম রূপে দাবী করে তাদের মধ্যে এরূপ সামর্থ্যের অভাবটি বিকট। সে সামর্থ্য না থাকার কারণেই তথাকথিত ১৬ কোটি মুসলিমের দেশে ইসলাম আজ পরাজিত। এবং দেশ অধিকৃত ভোটডাকাতদের হাতে।
অথচ ঈমানদারগণ বাঁচে ভিন্নতর পরিচয় নিয়ে। তাদের অন্তরে থাকে নবী-রাসূল ও নেক বান্দাদের প্রতি যেমন গভীর ভালবাসা তেমনি থাকে চোর-ডাকাত, ভোট-ডাকাত ও গুম-খুনের রাজনীতির দুর্বৃত্তদের প্রতি প্রবল ঘৃণা। জান্নাতের পথে চলতে হলে ছাড়তে হয় দুর্বৃত্তদের পথ। আলো ও আঁধার কখনোই একত্রে চলে না। তেমনি একত্রে চলে না নবীপ্রেম ও দুর্বৃত্তপ্রেম। দুর্বৃত্তপ্রেম প্রবল হওয়ার কারণেই মুজিবের ন্যায় একজন গণতন্ত্র হত্যাকারি ও ভারতসেবী ফ্যাসিষ্টও জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধুর খেতাব পায়। অথচ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ঘৃনার সামর্থ্য না থাকলে ঈমানদার হওয়াই অসম্ভব। অসম্ভব হয় মানব হওয়াও। পবিত্র কোর’আনে এরূপ বেঈমানদের গবাদীপশুরও চেয়েও অধম বলা হয়েছে। কারণ, গবাদী পশু ঘাস খায় এবং জবাই হয় বটে, তবে দুর্বৃত্তদের পক্ষে ভোট দেয় না, মিছিল করে না ও তাদের পক্ষে লাঠিও ধরে না। ২৭/০৩/২০২০
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখতে হবে
- সম্প্রতি বাংলাদেশে যা দেখলাম
- বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নবিলুপ্তি ও সংকট
- বাঙালি মুসলিমের শক্তি এবং ভারতের বাংলাদেশ ভীতি
- রাষ্ট্র কিরূপে ফিতনা ও নাশকতার হাতিয়ার?
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- December 2024
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018