বিবিধ প্রসঙ্গ -১১
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on April 9, 2020
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, সমাজ ও রাজনীতি
- No Comments.
১. শরিয়তের প্রতিষ্ঠা ও হুজুরদের নিরবতা
বাংলাদেশে হুজুরগণ ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়াজ করতে রাজী, কিন্তু শরিয়ত প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে মুহুর্তের জন্যও রাস্তায় নামতে রাজী নন। কারণ, ওয়াজে অর্থ মেলে, খ্যাতিও বাড়ে। অপর দিকে শরিয়তের প্রতিষ্ঠার কাজে নামাতে রয়েছে জেল-জুলুমের ভয়। এতে দ্বন্দ সৃষ্টি হয় সরকারের সাথে। অথচ শরিয়ত নিয়ে বাঁচাটি প্রতিটি ঈমানদারের উপর ফরজ। শরিয়তের পালন না হলে পূর্ণ ইসলাম পালনই হয় না। তাই শরিয়তের প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে রাস্তায় নামাটি জিহাদ। লক্ষণীয় বিষয় হলো, হুজুরগণ তাদের ওয়াজে নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেও দেশের আদালতে ব্রিটিশ কাফেরদের রচিত আইন মানা যে হারাম এবং শরিয়ত অনুযায়ী বিচার করা যে ফরজ সে বিষয়টিও তারা ওয়াজে তুলে ধরেন না।
কওমী মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে নিজেদের স্বার্থ হাছিলের বিষয়টি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেখা গেছে শেখ হাসিনার কাছ থেকে একখানি সার্টিফিকেট পাওয়ার পর। শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা এসেছে তা বাংলাদেশের শিশুরাও বুঝে। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে দেশ জুড়ে গুম, খুন, সন্ত্রাস, ব্যাংক লুট্ ও ফাঁসির রাজনীতি। মুর্তিতে মুর্তিতে বাংলাদেশকে বিন্দাবন বানানো হয়েছে। অথচ তা নিয়ে কওমী মাদ্রাসার হুজুরগণ নিরব। বরং এ ভোটডাকাতকে কওমী জননী খেতাবে ভূষিত করেছে। প্রশ্ন হলো, কোর’আন হাদিস থেকে কি তারা এটিই শিখেছেন?
পবিত্র কোর’আনে আল্লাহতায়ালা মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ জাতি বলেছেন। সেটির কারণ এ নয় যে, তারা বেশী বেশী নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত পালন করে। নামায-রোযা, হজ্ব-উমরাহ বহু ধোকাবাজ, ঘুষখোর, সূদখোর, ব্যাভিচারিকে পালন করতে দেখা যায়। বরং আল্লাহতায়ালার নিজের বর্ণনায় মুসলিমদের শ্রষ্ঠত্বের মূল কারণটি হলো, তারা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা দেয় এবং অন্যায়ের নির্মূল করে। যেমনটি বলা হয়েছে সুরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে। অথচ বাংলাদেশের কওমী হুজুরগণ অন্যায়কারীদের নির্মূলে না নেমে ভোটডাকাতের ন্যায় এক অন্যায়ের জননীকে ‘কওমী জননী’ খেতাব দিয়েছে! প্রশ্ন হলো এরূপ বিচার জ্ঞান নিয়ে তারা কোর’আন হাদীসের ব্যাখ্যা দেন কি করে? ইমামতিই বা করেন কি করে?
সুরা নাছে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর নিজের পরিচয়টি দিয়েছেন “মালিকিন নাছ” তথা মানব জাতির রাজা রূপে। রাজার রাজত্ব চলে আইনের উপর। তাই প্রশ্ন হলো, আইনের প্রয়োগ ছাড়া রাজত্ব চলে কি করে? মহান আল্লাহতায়ালার সে আইন হলো শরিয়ত। অথচ ৫৭টি মুসলিম দেশের কোথাও শরিয়ত মানা হয় না। প্রশ্ন হলো, মহান আল্লাহতায়ালার এ শরিয়তি আইন নাযিল হয়েছে কি স্রেফ কোর’আনে লিপিবদ্ধ থাকার জন্য? নবীজী (সাঃ) ও তাঁর মহান সাহাবাগণ শরিয়তের প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে গেছেন শরিয়তের প্রতিষ্ঠা কত জরুরী। নবীজীর (সাঃ)র জীবনে এটিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূন্নত যার কারণে মুসলিমগণ বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছিল। হুজুরগণ বহু সূন্নতের ওয়াজ করেন। অথচ নবীজী (সাঃ)র এ অতি গুরুত্বপূর্ণ সূন্নতটি নিয়ে তাদের মুখে কোন কথা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামের নামেও অনেক দল। যারা নিজেদের সেসব ধর্মীয় দলের নেতাকর্মী রূপে জাহির করেন, তাদের মুখেও এ নিয়ে কোন কথা নেই।আইন অমান্য করাটি প্রতি রাজ্যেই কঠোর শাস্তি যোগ্য অপরাধ। প্রশ্ন হলো, শরিয়ত অমান্যের বিশ্বজুড়ে যে তান্ডব, তাতে কি আযাবই অনিবার্য করে না? আযাব যেমন ভূমিকম্প, সুনামী, ঘুর্ণিঝড় রূপে আসতে পারে, তেমনি আসতে পারে মহামারি রূপেও। প্রশ্ন হলো, আজকের করোনা ভাইরাসের মহামারী কি আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে রহমত বলা যাবে?
২. জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব
কোর’আনে মহান আল্লাহতায়ালার ঘোষণা, “ইন্নামা ইয়াখশাল্লাহা মিন ইবাদিহিল ওলামা” অর্থঃ ‘সৃষ্টিকূলের মাঝে শুধু জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে।’ এখানে জ্ঞান বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা হলো কোর’আনের জ্ঞান। এর অর্থ দাঁড়ায়, যার মধ্যে কোর’আনের জ্ঞান নাই, তার মধ্যে আল্লাহর ভয়ও নাই। আল্লাহর ভ্য়ই ইবাদতের মাঝে প্রাণ সৃষ্টি করে। অপরদিকে জ্ঞানের অভাবে নামায়-রোযার ন্যায় ইবাদতও প্রাণহীন ও ভয়শূণ্য হয়। জ্ঞানী হওয়ার কাজটি তাই সবার উপর ফরজ। এটিই মুসলিম হওয়ার পথ। তাই নামায়-রোযা ফরজ করার বহু বছর আগে জ্ঞানার্জন ফরজ করা হয়েছে।
৩. নেতার যোগ্যতার বিষয় ও জনগণের দায়ভার
ইমামের কাজ সুষ্ঠ ভাবে নামায পড়ানো। তেমনি মুসলিম দেশে নেতার কাজ হলো, দেশকে ইসলামের নির্দেশিত পথে পরিচালনা করা। দায়িত্ব এখানে আল্লাহর আইনের প্রতিষ্ঠা। এটি এক গুরু দায়িত্ব। সে দায়িত্বের খেয়ানত হয় যদি রাষ্ট্বের ড্রাইভিং সিটে বসে দেশকে সেক্যুলারিজম, জাতীয়তাবাদ, সমাজবাদ বা অন্য কোন মতবাদের পথে চালানো করা হয়। প্রশ্ন হলো, যে নামাযই ঠিক মত পড়ে না তাকে কি কখনো ইমাম বানানো যায়? তেমনি যে ব্যক্তির রাজনীতিতে শরিয়ত প্রতিষ্ঠায় কোন অঙ্গীকার ও কোরবানী নাই -তাকে কি মুসলিম দেশের নেতা বানানো যায়? নেতা নির্বাচনে দেখতে হয় ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও মুসলিমের বিজয় বাড়াতে তার অবদান কতটুকু। সে কাজে তাঁর যোগ্যতাই বা কতটুকু? যে ব্যক্তি কোনদিন ইসলামের পক্ষে রাস্তায় নামলো না এবং একটি কথাও বললো না -সে ব্যক্তি মুসলিমের নেতা হয় কি করে? জনগণের কাজ স্রেফ রাজস্ব দেয়া নয়। সে রাজস্বের মাধ্যমে কাকে প্রতিপালন করা হচ্ছে -সেদিকেও কড়া দৃষ্টি দেয়া। নইলে নিজেদের রাজস্বের অর্থে নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনা হয়। বাংলাদেশে কি তাই হচ্ছে না?
ইমামতির চেয়েও বহুগুণ গুরুত্বপূর্ণ পদটি হলো মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের। ইমামের ভূলে রাষ্ট্র ধ্বংস হয় না, দেশবাসীও বিপদে পড়ে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারহীন হলে নাশকতা বাড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে। তখন মহা সংকটে পড়ে দেশবাসী। এবং বিজয় ও উৎসব বাড়ে ইসলামের শত্রুশক্তির। বাংলাদেশের অঙ্গণে সেটিই ঘটেছে। হাসিনার ভারতসেবী রাজনীতিতে বিপদ বেড়েছে ইসলামের পক্ষের শক্তির এবং উৎসব বেড়েছে ভারতের।
৪. আগ্রাসন হিন্দু সংস্কৃতির
মুর্তি, মিনার বা ছবিকে ফুল দিয়ে সন্মান দেখানো নিরেট হিন্দু সংস্কৃতি। এটি মুর্তি পূজা। বাঙালী মুসলিম জীবনে এরূপ পৌত্তলিকতা পূর্বে কখনো ছিল না। সাহাবাগণ এমন কি নবীজী (সাঃ)র কবরে ফুলের মালা নিয়ে হাজির হননি। মুসলিম বাঙালীর জীবনে এ পৌত্তলিক আচারটি ঢুকিয়েছে সেক্যুলারিস্টগণ। এবং তারা একা নয়। রাজনৈতীক অঙ্গণে এরূপ পৌত্তলিকতায় উৎসাহ দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বামপন্থিগণ। লক্ষ্য, মুসলিম বাংলার বুকে কালাচারাল জেনোসাইড। ভারত ভূক্তির জন্য এভাবেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। বাংলাদেশ পৃথক মানচিত্র পেয়েছে তার জলবায়ু্ ও আলোবাতাসের জন্য নয়। বরং বাঙালী মুসলিমের ইসলামী বিশ্বাস ও মুসলিম সংস্কৃতির কারণে। বাঙালী মুসলিমের সে বিশেষ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ঠটি তারা ধ্বংস করতে চায়। এ পৌত্তলিক প্রকল্পের শুরুটি ভাষা আন্দোলনের নামে। শুরু হয় ২১শে ফেব্রেয়ারিতে স্তম্ভের পদতলে ফুলের মালা দেয়া। এখন সে পৌত্তলিকতা শুধু ২১ শে ফেব্রেয়ারিতে সীমিত নয়। সীমিত নয় স্তম্ভের পদতলেও। এখন হচ্ছে প্রতি দিন। এবং ঘরে বাইরে সর্বত্র।
প্রশ্ন হলো, মুসলিম ইতিহাসে বিখ্যাত ব্যক্তির সংখ্যা কি কম? কিন্তু কাউকে কি এভাবে সন্মান দেখানো হয়? লক্ষ্য এখানে মুসলিমদের ইসলাম থেকে দূরে সরানো। লক্ষণীয় হলো, হুজুরগণ হিন্দু সংস্কৃতির এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। তারা ব্যস্ত নিজ নিজ ফেরকা ও দলের নামে নিজেদের ব্যবসা বাঁচা্নো নিয়ে। কারণ তারা জানে, এ পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে কিছু বললে সেক্যুলার মহলে তাদের ব্যবসায়ে ক্ষতি হবে। নিশ্চুপ সেসব তথাকথিত ইসলামী দলের নেতাকর্মীগণও যারা নিজেদের ইসলামের রক্ষক রূপে দাবী করে।
৫. ধর্মব্যবসায়ীদের থাবা
ধর্মব্যবসায়ীদের ৫টি প্রধান লক্ষণ: ১). এরা শরিয়ত প্রতিষ্ঠার কথা মুখে আনে না। প্রতিবাদ নাই, প্রচলিত কুফরি আইনের বিরুদ্ধেও। ২). ধর্মীয় ফিরকা, মাযহাব, ভাষা ও এলাকার নামে গড়ে উঠা বিভেদের দেয়াল ভাঙ্গার কথাও তারা বলে না। তাদের হৃদয়ে দুঃখ জাগে না মুসলিম উম্মাহর বিভক্তিতে। বরং বিরোধীদের বিরুদ্ধে গালীগালাজ করে বিভক্তিকে তারা আরো গভীরতর করে ৩). মুসলিম দেশগুলি শত্রুর হাতে অধিকৃত হলেও জিহাদের পক্ষে ওয়াজ করে না। ৪). দেশ স্বৈরাচারি জালেম শাসকদের হাতে অধিকৃত হলেও তাদের বিরুদ্ধে এরা নিশ্চুপ। ৫). কোর’আন বুঝাার পক্ষেও তারা বলে না। বরং জোর দেয় স্রেফ তেলাওয়াত করা এবং হিফজ করায়।
৬. ঈমানদারের যুদ্ধ
ঈমানদারকে শুধু নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাতের হুকুম মানলে চলে না। মানতে হয় যুদ্ধের হুকুমও। তাই সাহাবাদের জীবনে শুধু নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত ছিল না, যুদ্ধও ছিল। পবিত্র তেমন একটি হুকুম হলো: “কি হলো তোমাদের যে যুদ্ধ করছো না আল্লাহর রাস্তায় এবং সে সব দুর্বল লোকদের মুক্ত করতে যাদের মধ্যে রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু -যারা বলছে হে আমাদের রব, মুক্ত করুন জালেম অধিকৃত এ জনপদ থেকে; এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য প্রেরণ করুন একজন অভিভাবক এবং আপনার পক্ষ থেকে পাঠান সাহায্যকারী।” -(সুরা নিসা, আয়াত ৭৫)। মজলুম মুসলিমদের পক্ষ থেকে এমন ফরিয়াদ বিশ্বের নানা জালেম অধিকৃত দেশ থেকেই আসছে। কিন্তু মুসলিমদের মাঝে তা নিয়ে আলোড়ন কই?
৭. সবচেয়ে বড় জনসেবা
মানব সেবার সবচেয়ে বড় খাতটি স্কুল-কলেজ ও মসজিদ-মাদ্রাসা গড়া নয় এবং মিসকিন খাওয়ানোও নয়। এ ধরণের কাজগুলি মুনাফিকও করতে পারে। বরং সেবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতটি হলো দেশকে দুর্বৃত্তদের দখল থেকে মুক্ত করা। তখন জনসেবার সে প্রয়োজনীয় কাজগুলি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি করে।
৮.আগ্রাসী ভারত ও বিপন্ন স্বাধীনতা
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমগণ স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচুক সেটি ভারতীয় হিন্দুগণ কোন কালেই চায়নি। তারা চায় অখন্ড ভারত। সে বিষয়টি কোন গোপন বিষয়ও নয়। নাগপুরে বিজিপির আদি সংগঠন আর.এস.এস’য়ের কেন্দ্রীয় অফিসে দক্ষিণ এশিয়ার যে মানচিত্রটি ঝুলানো রয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামে কোন দেশই নাই। (সূত্র: আল জাজিরা ইংলিশ)। তাই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হোক সেটি যেমন চায়নি, দেশটি বেঁচে থাকুক সেটিও চায়নি। কাশ্মিরী মুসলিমদের স্বাধীনতা হরণের সে লক্ষ্য নিয়েই ৭ লাখ ভারতীয় সৈন্য যুদ্ধ করছে কাশ্মিরে। এটি শুধু বিজিপি’র লক্ষ্য নয়, কংগ্রেসসহ সকল ভারতীয় সংগঠনেরই।
১৯৭১’য়ে ভারতীয়দের যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল,সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ভাঙ্গা ও পূর্ব পাকিস্তান দখলে নিয়ে এক বাঁদি রাষ্ট্র জন্ম দেয়া। তাই একাত্তরের যুদ্ধে মুজিবকে রণাঙ্গণে থাকতে হয়নি। তাকে স্বাধীনতার ঘোষণাও দিতে হয়নি। মুক্তি বাহিনীকে কষ্ট করে একটি জেলা বা মহকুমাও স্বাধীন করতে হয়নি। তারা ছিল সাইড শো রূপে। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা নিয়ে বেঁচে থাকুক সেটি ভারত যেমন একাত্তরে চায়নি, আজও চায় না। তারা চায় বাংলাদেশে একটি নতজানু সরকার। এমন একটি সরকার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসলেও ভারত তাতে খুশি।
৯. প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা
জীবনটি ঘন অন্ধকারে এমন এক ব্রিজ পাড়ি দেয়ার ন্যায় যাতে রয়েছে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র। কার পা কখোন কোন ছিদ্রে পড়বে তা কেউ জানে না। যার পা পড়বে সে আর ফিরে আসবে না, সরাসরি মৃত্যুর কোলে গিয়ে পড়বে। দেরিতে হলেও কারোই এ ছিদ্রে পড়া থেকে রক্ষা নাই। সে ছিদ্রগুলো যেমন করোনা ভাইরাসের হতে পারে, তেমনি হতে পারে হার্ট স্ট্রোক, ব্রেন স্ট্রোক, নেউমোনিয়া, ক্যান্সারের ন্যায় মারাত্মক ব্যাধির। হতে পারে ভূমিকম্প, সুনামী, টর্নেডোর। প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা তো এটাই, সব সময় সে ছিদ্রে পড়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়া। ভয়টি এখানে মৃত্যুর নয়, বরং সেটি হতে হবে মহান আল্লাহর কাছে জবাবদেহীতার। মহান আল্লাহতায়ালার খলিফা রূপে যথাযথ দায়িত্ব পালনই সেদিনের সে মহা বিপদ থেকে রক্ষা দিতে পারে। মহান আল্লাহতায়ালার কাছে হিসাব দেয়ার আগেই তাই নিজের হিসাব নিজেই নেয়া উচিত।
১০.শ্রেষ্ঠ নেক কর্ম
জ্ঞানদান, অর্থদান, সেবাদান ও চিকিৎসাদান –এসবই উত্তম নেক আমল। এরূপ নেক আমলগুলির সামর্থ্য অর্জনও নেক আমল। তবে সবচেয়ে সেরা নেক আমলটি হলো ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। তখন রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিটি কর্মী পরিনত হয় নেক আমলের হাতিয়ারে। তখন প্রতিষ্ঠা পায় শরিয়ত। এতে রাষ্ট্র পরিণত হয় একটি কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র। নবীজী (সাঃ) মদিনায় হিজরতর পর এমন একটি রাষ্ট্রেরই প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো এমন একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় জান, মাল ও বুদ্ধিবৃত্তির বিনিয়োগ। নইলে রাষ্ট্র অধিকৃত হয় শয়তানী শক্তির হাতে। যেমনটি হয়েছে বাংলাদেশ। তখন গুম, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।
১১.ভারতের বলদ বিজ্ঞানী
মুসলিমগণ আর কতকাল শত্রুর দলে যোগ দিয়ে মুসলিম মারতে থাকবে? এটি যে হারাম সে বোধই বা ক’জনের? যোগ্যতা থাকলে সেটি ব্যয় হওয়া উচিত ইসলাম ও মুসলিমের বিজয় বাড়াতে, শত্রুর শক্তি বাড়াতে নয়। তেমনি এক বলদ বিজ্ঞানীর নাম আবদুল কালাম। সে ভারতকে দিয়েছে মিজাইল প্রযুক্তি যার টারগেট হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এটি কোন ফিলিস্তিনীর পক্ষ থেকে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর জন্য মিজাইল তৈরী করে দেয়ার মত।
অথচ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতীয় হিন্দুদের ঘৃনা এতটাই তীব্র যে, খবর বেড়িয়েছে ঘরে পানির কল বিকল হলে হিন্দু মিস্ত্রি সেটি সেরে দিতে রাজী হচ্ছে না। মুসলিম হওয়ার কারণে হাসপাতাল ভর্তি করছে না প্রসূতি মা’কে। সম্প্রতি তেমন একটি ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে। ভর্তি না করায় নবজাতক শিশুর জন্ম ও মৃত্যু হয়েছে এ্যামবুলেন্সের মাঝে। খবরটি ছেপেছে গত ৫ই এপ্রিল কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। সম্প্রতি দিল্লিতে শত শত মুসলিমকে হত্যা করা হলো এবং তাদের ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে দেয়া হলো পুলিশের চোখের সামনে। অপর দিকে বিজিপি সরকার প্রকল্প নিয়েছে ভারতের নাগরিক তালিকা থেকে পরিকল্পিত ভাবে মুসলিমদের বাদ দেয়ার। ৮/৪.২০২০
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- বাঙালি মুসলিমের সংকটের শুরু কিরূপে?
- রাজনীতিতে কবিরা গুনাহ ও দুর্বৃত্তকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর আযাব
- আল্লাহর আনসার এবং শয়তানের আনসার
- নবীজী (সা:)’র সফল রাজনীতি এবং আজকের মুসলিমদের ব্যর্থ রাজনীতি
- মুসলিম দেশে বিজয় শয়তানের এবং পরাজয় নবীজী (সা:)’র ইসলামের
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Fazlul Aziz on The Israeli Crimes, the Western Complicity and the Muslims’ Silence
- Fazlul Aziz on India: A Huge Israel in South Asia
- Fazlul Aziz on ইসলামী রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং অনৈসালিমক রাষ্ট্রের অকল্যাণ
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন, হিন্দুত্ববাদ এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ
- Fazlul Aziz on Gaza: A Showcase of West-led War Crimes and the Ethnic Cleansing
ARCHIVES
- December 2024
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- July 2024
- June 2024
- May 2024
- April 2024
- March 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- July 2023
- June 2023
- May 2023
- April 2023
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018