ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখতে হবে

ফিরোজ মাহবুব কামাল

ভারতের মুখোশ দিন দিন উম্মোচিত হচ্ছে এবং দেশটির হিন্দুত্ববাদী নেতাদের আসল চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে। বিষয়টি এখন সুস্পষ্ট, ভারতে হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী চরিত্র শুধু নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল বিজেপি ও আর.এস. এস নেতা-কর্মীদের নয়, এমনকি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদেরও। পশ্চিমবাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের রক্ষায় জাতিসংঘের শান্তি বাহিনীর মোতায়েন চেয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপর হতে দাবী জানিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এটি গুরুতর আগ্রাসনের বিষয়।

অথচ শান্তি বাহিনী ভারতে মোতায়েন করা উচিত। কারণ, ভারতের সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি বিপন্ন। সেদেশের সংখ্যালঘুদের জান ও মালের কোন নিরাপত্তা নেই। দাঙ্গা বাধিয়ে হাজার হাজার মুসলিমদের হত্যা করাই সে দেশের রাজনীতি। ২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তখন ৫ হাজারের বেশী মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। শত শত মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাধুরা প্রকাশ্য জনসভায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার হুমকি দিচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের মসজিদ ও  খ্রিস্টানদের গীর্জা নিয়মিত ধ্বংস করা হয়। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক জ্ঞানবাপি মসজিদকেও দখলে নেয়া হয়েছে। কারণ, তাদের দাবী মসজিদ প্রাঙ্গণে তারা নাকি শিব লিঙ্গ পেয়েছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং আইন প্রণীত হচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসার হাজার হাজার কোটি টাকার ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেয়ার লক্ষ্যে।

এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের প্রতিটি মসজিদই নাকি মন্দিরের উপর নির্মিত। সে বাহানায় তারা মসজিদগুলির ধ্বংস চায়। ষড়যন্ত্র হচ্ছে আজমিরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজার ও মাজার-সংলগ্ন মসজিদ ধ্বংসের। এমন ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলাদেশের মুসলিমরা কি নীরব থাকতে পারে? ০২/১২/২০২৪

   

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *